আজকে আমাদের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে। আপনি কি এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে চান? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হবে বলে আশা করছি। কারণ এই পোস্টটা মূলত সাজানো হয়েছে স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদটি নিয়ে। আপনি এখান থেকে খুব সহজে এই অনুচ্ছেদটা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
সাধারনত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধরনের অনুচ্ছেদ পড়ানো এবং শিখানো হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা অনুচ্ছেদ বিষয়টা ঠিক মতো বুঝতে পারে না। আর না বুঝতে পারার কারণে অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনুচ্ছেদ মুখস্ত করে না বুঝেই। এর ফলে যে বিষয়গুলো সে পড়েছে সে বিষয়গুলোর মধ্যে যদি পরীক্ষায় না আসে, তাহলে সে কিছুই লিখতে পারে না। এরফলে দেখা যায় অনেক সময় অনেক পরিশ্রম করার পরও শিক্ষারর্থীরা ভাল রেজাল্ট করতে পারে না। তাই অবশ্যই কোন বিষয় পড়ার সময় বুঝে নিতে হবে যেন সে বিষয়টি সম্পর্কে যেকোনো সময় বিস্তারিত লিখতে পারা যায়।
স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর ২৬শে মার্চ তারিখে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। কারণ এই দিনটিতে বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন প্রথম বাঙালি জাতিকে স্বাধীন জাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং তার পরে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পর থেকে পাকিস্তানি গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম পরিচালনা করে। আর দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর প্রায় ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এবং প্রায় আড়াই লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করেছে। তাই এই দিনটা আমাদের বাঙালি জাতির নিকট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিনটিকে ছুটি ঘোষণা করা হয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় ঢাকা শহর দেশের বিভিন্ন স্থানে। মধ্যরাতে হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতার এর আগে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরপরই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে শতঃস্ফূর্ত মুক্তির সংগ্রাম। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয় সংগ্রামের পর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুতায় ঘটে। বর্তমানে ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দেন। সর্বস্তরের জনতা জাতীয় স্মৃতিসৌধ ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
প্রতিবছর নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে ২৬ শে মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। এই দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা করা হয় এবং শিক্ষকরা এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন ধারণা দেন। আবার শিক্ষার্থীরাও এই দিনটিতে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করে। আর নিজেদের ভিতরে দেশ প্রেম জাগ্রত হয়ে ওঠে। তাই স্বাধীনতা দিবস প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিতে মূলত স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আত্মত্যাগ করেছেন, তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদটিতে মূলত এই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে যদি উপস্থাপন করা যায়, তাহলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। আমাদের আজকের পোস্টটিতে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত অনুচ্ছেদটি অনেক সুন্দর ভাবে আর সহজ ভাবে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে যে কেউ খুবই সহজ ভাবে এই অনুচ্ছেদটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।