আইয়ামে বীজের রোজা

ইসলাম ধর্মে মোট পাঁচটি স্তম্ভ আর সেই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি। তবে একজন মুসলমান ব্যক্তি কে রমজান মাসের রোজা ব্যতীত আরো অনেক ধরনের রোজা পালন করতে হয়। আর সেই রোজা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আইয়ামে বীজের রোজা। ইসলাম ধর্মে আইয়ামে এ বীজের রোজা গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি এই রোজা পালন করে সে অশেষ ছোয়াবের মালিক হতে পারে। যদিও এ রোজা পালন করা ফরজ নয় এটা একটি নফল ইবাদত তবুও এই রোজার গুরুত্ব অনেক বেশি।

পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় মুমিন মুসলমান ব্যক্তিকে মহান আল্লাহতালা সন্তুষ্টি লাভের আশায় রমজান মাসের ফরজ রোজার পাশাপাশি আইয়ামে বীজের নফল রোজা গুলো পালন করা দরকার। তবে আমরা মুসলমান হওয়া সত্বেও অনেকেই আমরা কখন কোন দিনে বা কিভাবে আইয়ামে বীজের রোজা পালন করতে হয় সে সম্পর্কে জানিনা। তাই আমরা এখন আপনাদের কে জানিয়ে দেবো আইয়ামে বীজের রোজা সম্পর্কে। আপনারা যারা এই রোজার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদের পুরো আলোচনা সঙ্গে থাকুন তাহলে আপনি জেনে নিতে পারবেন এই রোজার সম্পর্কে।

সাধারণত একজন মুমিন মুসলমান ব্যক্তিকে আরবি ১২ মাস কে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের ইবাদত পালন করতে হয়। আর সেই ইবাদত গুলোর মধ্যে একটি হল আইয়ামে বীজের রোজা। প্রত্যেক মাসে তিনটা করে এই রোজা পালন করতে হয়। আরবি চন্দ্র মাসের ১৩ ১৪ ও ১৫ তারিখে এই রোজা পালন করতে হয়। তবে এ রোজা নফল হলেও কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত ভাবে এই রোজা পালন করে তাহলে মহান আল্লাহতালা তার ওপর খুশি হয়ে তাকে সারা বছর রোজা রাখার নেকী দান করবেন। এই রোজার গুরুত্ব এতটাই বেশি যারা এ রোজা পালন করবে জান্নাতের একটি দরজা তার জন্য খোলা থাকবে। তাই এই রোজা পালন করা দরকার।

আইয়ামে বীজের রোজা

আরবি প্রতি মাসে তিনটি করে নফল রোযা রাখা অত্যন্ত ফযীলত পূর্ণ আমল। তা মাসের শুরুতে হোক মাঝখানে হোক বা শেষে হোক। যেহেতু আইয়ামে বীজের রোজা পুরোটা আরবি মাসের হিসাব অনুযায়ী একজন মুসলিম ব্যক্তিকে রাখতে হবে। তাই আরবি মাস কবে শুরু হচ্ছে কবে শেষ হচ্ছে আরবি মাসের কত তারিখ এই বিষয় গুলো আগে থেকে জেনে নিতে হবে। প্রত্যেকটি ইবাদতের একটি নিজস্ব সময় রয়েছে সেই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ইবাদত না করলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই এ রোজা পালন সঠিক সময় করতে হবে। যেন ইবাদতটি আল্লাহতালা কবুল করে নেয়।

যেহেতু আরবি মাসের প্রত্যেকটি মাসে আইয়ামে বীজের রোজা পালন করতে হয় তবে এ রোজা পালন করার ক্ষেত্রে একটি মাসে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে আর তা হলো রমজান মাস এর ক্ষেত্রে। রমজান মাসে যেহেতু পূর্ণ এক মাস রোজা ফরজ তাই রমজানে আইয়ামে বীজের রোজা নেই। যে ব্যক্তি মহান আলো তালা সন্তুষ্টি লাভের আশায় প্রতিমাসে আইয়ামে বীজে রোজা পালন করে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় সেই মুমিন ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভ করে এবং তার বিপদ আপদ থেকে তাকে রক্ষা করে। তাই সম্ভব হলে অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে এই রোজা পালন করতে হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য একজন মুমিন মুসলমান ব্যক্তি অনেক ধরনের ইবাদত করে। আর এই ইবাদত গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রোজা। কারণ মহান আল্লাহতালার কাছে নামাজের পরে যে ইবাদতটি অধিক পছন্দের তা হলো রোজা। তবে শুধু রমজান মাসের রোজা নয় এই রোজা ব্যতীত আল্লাহতালা মুমিন মুসলমান ব্যক্তি দের অনেক ধরনের রোজা পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। তাই আমরা আরবি প্রতি মাসে আইয়ামে বীজের রোজা পালন করার চেষ্টা করব কারণ এ রোজা পালনে অশেষ ফজিলত আছে।

আপনারা যারা আইয়ামে বীজের রোজা পালন করবেন বলে ভাবছেন আমাদের আজকের আলোচনাটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম এ রোজা টি সম্পর্কে। আপনারা যারা এই রোজার সম্পর্কে জানেন না অবশ্যই আমাদের পুরো আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি এই রোজার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। রোজা যেহেতু মহান আল্লাহতালার খুব পছন্দের ইবাদত। তাই আরবি প্রতিমাসে আইয়ামে বীজের রোজা পালন করার চেষ্টা করবো।