আজকে আমাদের পোস্টটি সাজানো হয়েছে মূলত স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অনুচ্ছেদের মাধ্যমে। সাধারণত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অনুচ্ছেদ পড়ানো হয়। আর শিক্ষার্থীরা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে ষষ্ঠ শ্রেণীতেই। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনুচ্ছেদ বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারেনা। আবার অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণভাবে লিখে সুন্দর নম্বর অর্জন করতে পারে না। এজন্য যে সকল শিক্ষার্থীর অনুচ্ছেদ বিষয়টিতে সমস্যা রয়েছে, তারা যেন খুব সহজেই অনুচ্ছেদ বিষয়টি আয়ত্ত করতে এবং অনুচ্ছেদে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে এই কথাটি কথা বিবেচনা করে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে।
স্বশিক্ষার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব এই অনুচ্ছেদটি প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। তাই সবারই উচিত এই অনুচ্ছেদটি একবার হলেও পড়ে নেওয়া উচিত। আসলে বই পড়ার দ্বারা মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করা সম্ভব। বই পড়া ছাড়া কোনভাবেই মানুষ আলোকিত হতে পারে না। মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত হতে পারে না। তাই বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। আর বই পড়ার মাধ্যমে স্বশিক্ষা অর্জন করা সম্ভব হবে। আর স্বশিক্ষিত লোক মাত্র সুশিক্ষিত হয়। এজন্য একজন মানুষ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য বই পড়তে হবে এবং জ্ঞানার্জন করতে হলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। মূলত এই অনুচ্ছেদের যারা এই বিষয়টি বুঝানো হয়েছে।
একটি অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য অনুচ্ছেদটি অবশ্যই সাজানো গুছানো হতে হবে এবং অনুচ্ছেদটি উপস্থাপনের পদ্ধতি হতে হবে খুবই চমৎকার। যে যত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবে, সে তত সুন্দরভাবে নম্বর অর্জন করতে পারবে। তাই শুধু পড়লে হবে না, পড়ার সময় বুঝে নিতে হবে এবং বুঝার পরে খাতায় উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল শিখতে হবে। উপস্থাপন করতে না জানলে যতই মুখস্ত করা যাক না কেন, খাতায় যদি ঠিকমতো উপস্থাপন করতে না পারা যায়, তাহলে কখনো ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হবে না।
তাই পড়ার পাশাপাশি উপস্থাপনের দিকে নজর দিতে হবে আর আমাদের ওয়েবসাইটে সুন্দরভাবে লেখা উপস্থাপনের বিভিন্ন পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে আপনি বিভিন্ন লিখা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার পদ্ধতি শিখে নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
বই পড়া ছাড়া কখনো সভ্য জাতি হিসেবে কোন জাতিই গড়ে উঠতে পারবে না। যে জাতে যত বেশি বই পড়ে, সে জাতি তত বেশি উন্নত। মানুষের জ্ঞানকে আরো বিকশিত করতে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সবার উচিত আত্মন্নোয়ন এবং সমাজ ও দেশের মঙ্গল সাধনের জন্য বই পড়া। বই পড়া মানুষকে নতুন করে হাজার বছর বেঁছে থাকতে শেখায়। নিজেকে চিনতে শেখায়। সে বইয়ের মধ্যে নিজের আনন্দ খুঁজে পায়, বইকে নিজের সঙ্গী হিসেবে স্থান দিয়েছে, বইয়ের জ্ঞান আস্বাদন করতে সক্ষম হয়েছে, সে জানে বই পড়ার মজা কতটা।
আর স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। নিজের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য বই পড়াটা জরুরি। আবার শুধু পাঠ্যবই পড়লেই হবে না৷ পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পড়বে হবে। বই পড়ার মাধ্যমে যেমন সাহিত্য বোঝা যায়, তেমনিভাবে বিজ্ঞান, গণিত, রাজনীতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য সব বিষয়ে জানতে হলে বই পড়তে হবে।
নিজেকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই নিজের জ্ঞান ভান্ডারকে বিকশিত করে নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে, স্বশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে বই পড়ার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। মূলত এই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে এই অনুচ্ছেদে লিখতে পারলেই ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। আশা করি আজকের পোস্টের দ্বারা আপনি স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।