প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই সশস্ত্র বাহিনী দিবস রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে চান। আসলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস রচনাটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রচনা প্রতিযোগিতায় দেওয়া হয়। তাই অনেক শিক্ষার্থীর এই রচনাটি খুঁজে থাকেন। মূলত যারা এই রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে চান বা এই রচনাটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় লিখে ভালো করতে চান, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালোমতো পড়েন, তাহলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা সম্পর্কে খুবই সুন্দর একটি ধারণা লাভ করতে পারবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনাটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যেকোনো রচনা পরীক্ষার খাতায় লিখে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য অবশ্যই সেই রচনাটির মূল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তাছাড়া উপস্থাপনের পদ্ধতিটিও হতে হবে খুবই সুন্দর। কারণ সুন্দর পদ্ধতিতে উপস্থাপন করলে এবং মূল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে লিখতে পারলে অবশ্যই সে রচনাটিতে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে রচনা লেখায় খুব একটা বেশি মনোযোগী হয় না। এজন্য তারা রচনায় ভালো নম্বরও পায় না। আর রচনায় ভালো নম্বর না পাওয়ার জন্য পুরো বাংলা ব্যাকরণ পরীক্ষাতে রেজাল্ট খারাপ করে। তাই যারা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চান এবং রচনা লিখে ফুল মার্কস পেতে চান, তারা অবশ্যই রচনার প্রতি মনোযোগী হবেন। কেননা রচনায় খারাপ করলে পুরো বিষয়টি খারাপ হয়ে যাবে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আমাদের বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশের সরকারসহ সকল মানুষ এই দিনটিকে অনেক আনন্দের সাথে পালন করে। এই দিনটিতে বিভিন্ন রকম রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেখানে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রচনা লিখতে দেওয়া হয়। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা এই রচনাটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
১৯৭১ সালের ২১ শে নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এই কারণে এই দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে বঙ্গভবন, সামরিক বাহিনী সদর দপ্তর, ঢাকা সেনানিবাস এবং দেশের বিভিন্ন সামরিক প্রতিষ্ঠানে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে যে কয়েকটি দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবস অন্যতম। এটা সংকোচহীনভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চালিকাশক্তি ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এদের স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহ শুরু হলে প্রশিক্ষিত বাঙালি সদস্যদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২১ শে নভেম্বর সেনাবাহিনীর সাথে নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মািলিত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। সেজন্য প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ২১শে নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস। ১৯৭১ সালের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সেনারা ভারতীয় সেনাদের সাহায্য নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা করে বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য ১৯৮৬ সালে প্রথমবার ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। তারপর থেকে প্রতিবছর ২১শে নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আর এজন্য বাঙালি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সেনা সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিবছর এই দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।