পরিশ্রম মানুষের স্বাভাবিক ধর্ম। বিশ্ব প্রকৃতির দিকে নজর দিলে দেখা যায় চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ক্ষুদ্র প্রাণীটি পর্যন্ত নিজ নিজ কর্তব্য সম্পাদনে যথারীতি ব্যপৃত। বলা হয়ে থাকে পরিশ্রমই সৌভাগ্যের পশুতি। স্বাস্থ্য, ধন, মান-মর্যাদা সবকিছুই পরিশ্রমের উপর নির্ভরশী।ল পরিশ্রম ব্যতিরেকে কোন লোকই জীবনে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারে না। শ্রম মূলত দুই প্রকার। শারীরিক শ্রম ও মানসিক শ্রম। এরা অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। কাজেই উভয়ের চর্চা অপরিহার্য। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল প্রকার জিনিসই শারীরিক শ্রমের দ্বারা অর্জিত হয়। জীবনে সুস্থ দেহের অধিকারী হতে হলেও শ্রম অত্যাবশ্যক। কারণ নিয়মিত পরিশ্রমের দ্বারায় স্বাস্থ্য রক্ষা হয়।
পরিশ্রমী ব্যক্তির দীর্ঘজীবী হয়, পরিশ্রম করার কারণে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো পরিচালিত হয় বলে মানুষের কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়, কর্মদক্ষতা বাড়ে এবং বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ সাধন ঘটে। সমভাবে মানসিক পরিশ্রম প্রয়োজন। মানসিক পরিশ্রম দ্বারা লোকের হিতকর কাজ সম্পাদিত হয়। পরিশ্রমী ব্যাক্তি নির্ভীক। কারণ দৈহিক ও মানসিক বলে বলিয়ান হেতু সেসব শক্তির সঙ্গে মোকাবেলা করতে সক্ষম। পরিশ্রমের ফলে মানুষ একটা সুন্দর সুখী জীবন যাপন করতে সক্ষম হয়। মানুষদের নিজেই নিজের ভাগ্য নিয়ে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে বলেই সে হয় গর্বিত। পরিশ্রমের ফলে মানুষের হৃদয়ের মনোমালিন্য বিদুরত হয়। আত্মশক্তির বিকাশ হয়। সমাজের আদর্শ স্থানীয় এবং শ্রদ্ধেয় হয়।
বলা হয়ে থাকে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। শ্রম বিমুখতা নানা দোষের আকর। স্বাস্থ্যহানি, অবনতি ও দারিদ্র্যের মূল কারণ হচ্ছে আলোস্য। শ্রম বিমুখ ব্যক্তি নিজেকে সর্বদা হীন মনে করে। পৃথিবীতে প্রতিভা বলে একটি জিনিস আছে, তা সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু পরিশ্রমের কাছে প্রতিভার কোন মূল্য নেই। প্রতিভাবান কোন ব্যক্তি যদি পরিশ্রম বিমুখ হয়, তবে তার প্রতিভা কোন কাজে আসে না। সুতরাং প্রতিভা অর্থহীন হয়ে পড়ে। তাই পরিশ্রম প্রতিভাবান ব্যতীত অধিকতর সম্মানের যোগ্য। সাধনার কাছে প্রতিভা হার মানতে বাধ্য। নিউটন বলেছেন, ” আমার আবিষ্কার, আমার সাধনার ফল।” ইতিহাস পাঠে জানা যায় প্রতিভা হীন ব্যক্তিও স্বীয় পরিশ্রম ও সাধনা বলে জগতে অনেক কিছু আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। মানুষের যত আবিষ্কার, যত উদ্ভাবন সবকিছুতেই রয়েছে পরিশ্রম। আমরা যেসব পাঠ্য বই পাঠ করে জ্ঞান অর্জন করি, সেসবো পরিশ্রমে ফল। শ্রুতি হিসেবে আমরা পাই তাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে সকল কাজে পরিশ্রমের অত্যাধিক প্রয়োজন। পরিশ্রম পাওয়া জিনিস উপভোগ্য। কর্মীরা কর্মে আনন্দ পান। পরিশ্রমের ফলে ফকির ধনী হতে পারে। পৃথিবীতে যে জাতির যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। আমেরিকার উন্নতির মূলে তাদের কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিশ্রমের মর্যাদা অপরিহার্য। শ্রমের প্রতি মর্যাদাবোধ না থাকলে ব্যক্তিগত ও জাতীয় কল্যাণ অসম্ভব। পরিশ্রম মানুষের দৈহিক ও মানসিক শক্তি এবং পুষ্টির একমাত্র উপায়। মানব জীবন ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং ক্ষণস্থায়ী জীবনকে পরিশ্রম করে কাজে লাগিয়ে নেওয়াটাই জীবনের সার্থকতা।
ইসলাম ধর্মে পরিশ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রমিককে অনেক বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) নিজেও শ্রমিকের মতো বহু পরিশ্রমের কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি মাঠে মেষ চড়িয়েছেন। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকাবার আগে তার পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে ইসলাম শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শ্রমের যত প্রকারভেদ দিয়ে থাক না কেন, পৃথিবীতে কোন শ্রমের গুরুত্ব কম নয়। অন্যান্য ধর্মেও শ্রমকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে হিন্দু ধর্মেও কর্মবাদ এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ অর্থাৎ কর্ম করা ও কর্মের মূল্যায়ন। বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট ধর্মেও শ্রমিকদের সম্মান করা হয়েছে।
শ্রমিক সমাজ আজ বহু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানবিক শ্রমকে তার যোগ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কালের যাত্রায় একমাত্র তারাই আজ সমাজের রথ কে গতি দিতে পেরেছে। একমাত্র তারাই পারে সমাজের কর্মমুখরতার ঢেউ আনতে। তাই আজ শ্রমের জয় বিঘোষিত হচ্ছে দিকে দিকে। শ্রমিক দুনিয়ার প্রতি সকলের দৃষ্টি আজ আকৃষ্ট হয়েছে।
পরিশ্রম মানুষের স্বাভাবিক ধর্ম। বিশ্ব প্রকৃতির দিকে নজর দিলে দেখা যায় চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ক্ষুদ্র প্রাণীটি পর্যন্ত নিজ নিজ কর্তব্য সম্পাদনে যথারীতি ব্যপৃত। বলা হয়ে থাকে পরিশ্রমই সৌভাগ্যের পশুতি। স্বাস্থ্য, ধন, মান-মর্যাদা সবকিছুই পরিশ্রমের উপর নির্ভরশী।ল পরিশ্রম ব্যতিরেকে কোন লোকই জীবনে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারে না। শ্রম মূলত দুই প্রকার। শারীরিক শ্রম ও মানসিক শ্রম। এরা অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। কাজেই উভয়ের চর্চা অপরিহার্য। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল প্রকার জিনিসই শারীরিক শ্রমের দ্বারা অর্জিত হয়। জীবনে সুস্থ দেহের অধিকারী হতে হলেও শ্রম অত্যাবশ্যক। কারণ নিয়মিত পরিশ্রমের দ্বারায় স্বাস্থ্য রক্ষা হয়।
পরিশ্রমী ব্যক্তির দীর্ঘজীবী হয়, পরিশ্রম করার কারণে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো পরিচালিত হয় বলে মানুষের কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়, কর্মদক্ষতা বাড়ে এবং বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ সাধন ঘটে। সমভাবে মানসিক পরিশ্রম প্রয়োজন। মানসিক পরিশ্রম দ্বারা লোকের হিতকর কাজ সম্পাদিত হয়। পরিশ্রমী ব্যাক্তি নির্ভীক। কারণ দৈহিক ও মানসিক বলে বলিয়ান হেতু সেসব শক্তির সঙ্গে মোকাবেলা করতে সক্ষম। পরিশ্রমের ফলে মানুষ একটা সুন্দর সুখী জীবন যাপন করতে সক্ষম হয়। মানুষদের নিজেই নিজের ভাগ্য নিয়ে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে বলেই সে হয় গর্বিত। পরিশ্রমের ফলে মানুষের হৃদয়ের মনোমালিন্য বিদুরত হয়। আত্মশক্তির বিকাশ হয়। সমাজের আদর্শ স্থানীয় এবং শ্রদ্ধেয় হয়।
বলা হয়ে থাকে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। শ্রম বিমুখতা নানা দোষের আকর। স্বাস্থ্যহানি, অবনতি ও দারিদ্র্যের মূল কারণ হচ্ছে আলোস্য। শ্রম বিমুখ ব্যক্তি নিজেকে সর্বদা হীন মনে করে। পৃথিবীতে প্রতিভা বলে একটি জিনিস আছে, তা সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু পরিশ্রমের কাছে প্রতিভার কোন মূল্য নেই। প্রতিভাবান কোন ব্যক্তি যদি পরিশ্রম বিমুখ হয়, তবে তার প্রতিভা কোন কাজে আসে না। সুতরাং প্রতিভা অর্থহীন হয়ে পড়ে। তাই পরিশ্রম প্রতিভাবান ব্যতীত অধিকতর সম্মানের যোগ্য। সাধনার কাছে প্রতিভা হার মানতে বাধ্য। নিউটন বলেছেন, ” আমার আবিষ্কার, আমার সাধনার ফল।” ইতিহাস পাঠে জানা যায় প্রতিভা হীন ব্যক্তিও স্বীয় পরিশ্রম ও সাধনা বলে জগতে অনেক কিছু আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। মানুষের যত আবিষ্কার, যত উদ্ভাবন সবকিছুতেই রয়েছে পরিশ্রম। আমরা যেসব পাঠ্য বই পাঠ করে জ্ঞান অর্জন করি, সেসবো পরিশ্রমে ফল। শ্রুতি হিসেবে আমরা পাই তাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে সকল কাজে পরিশ্রমের অত্যাধিক প্রয়োজন। পরিশ্রম পাওয়া জিনিস উপভোগ্য। কর্মীরা কর্মে আনন্দ পান। পরিশ্রমের ফলে ফকির ধনী হতে পারে। পৃথিবীতে যে জাতির যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। আমেরিকার উন্নতির মূলে তাদের কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিশ্রমের মর্যাদা অপরিহার্য। শ্রমের প্রতি মর্যাদাবোধ না থাকলে ব্যক্তিগত ও জাতীয় কল্যাণ অসম্ভব। পরিশ্রম মানুষের দৈহিক ও মানসিক শক্তি এবং পুষ্টির একমাত্র উপায়। মানব জীবন ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং ক্ষণস্থায়ী জীবনকে পরিশ্রম করে কাজে লাগিয়ে নেওয়াটাই জীবনের সার্থকতা।
ইসলাম ধর্মে পরিশ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রমিককে অনেক বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) নিজেও শ্রমিকের মতো বহু পরিশ্রমের কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি মাঠে মেষ চড়িয়েছেন। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকাবার আগে তার পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে ইসলাম শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শ্রমের যত প্রকারভেদ দিয়ে থাক না কেন, পৃথিবীতে কোন শ্রমের গুরুত্ব কম নয়। অন্যান্য ধর্মেও শ্রমকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে হিন্দু ধর্মেও কর্মবাদ এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ অর্থাৎ কর্ম করা ও কর্মের মূল্যায়ন। বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট ধর্মেও শ্রমিকদের সম্মান করা হয়েছে।
শ্রমিক সমাজ আজ বহু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানবিক শ্রমকে তার যোগ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কালের যাত্রায় একমাত্র তারাই আজ সমাজের রথ কে গতি দিতে পেরেছে। একমাত্র তারাই পারে সমাজের কর্মমুখরতার ঢেউ আনতে। তাই আজ শ্রমের জয় বিঘোষিত হচ্ছে দিকে দিকে। শ্রমিক দুনিয়ার প্রতি সকলের দৃষ্টি আজ আকৃষ্ট হয়েছে।