আজকের পোস্টটি মূলত শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির এই ভাব সম্প্রসারণটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর কিভাবে লিখলে ভাব সম্প্রসারণটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে আর কম সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যাবে, সেই সমস্ত নিয়মে আজকের পোস্টটি সাজানো-গোছানো আছে।
সংকীর্ণ হৃদয়ের অধিকারীরা তুচ্ছ উপকারের জন্য আত্মগৌরব অনুভব করতে চায় এবং সামান্য উপকারের দৃষ্টান্তকে বড় বলে তুলে ধরতে চায়। দিঘির জলরাশি থেকেই শৈবালের জন্ম। সেই শৈবালে রাতের বেলায় শিশির পরে এবং শিশিরের ফোঁটা গড়িয়ে পড়ে দিঘির জলে। এই শিশিরের পরিমাণ এত সামান্য ও নগণ্য যে তা দিয়ে দিঘির জল বৃদ্ধি হয় না। কিন্তু শৈবাল দম্ভভরে এই কথাটা সবাইকে জানাতে চাই। মূলত এটায় এই ভাব সম্প্রসারণির মূল বিষয়।
এখান থেকে আপনি এই ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়বস্তু খুব সুন্দরভাবে আয়ত্ত করতে করে নিতে পারবেন খুব সহজে। আপনি কি এই ভাব সম্প্রসারণটি খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের পোষ্টের মূল বিষয়বস্তুই হলো এই ভাব সম্প্রসারণটি।
পরের বৃহৎ উপকার শিকার না করে নিজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলো দম্ভকরে প্রচার করাই হচ্ছে অকৃতজ্ঞ লোকের কাজ। অকৃতজ্ঞ মানুষ কখনোই তাদের যে উপকার করে সেই ব্যক্তির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে চায়না। বরঞ্চ সে যদি কোন ভাবে কোন ক্ষুদ্র কাজেও কারো উপকার করে থাকে, তবে সেই কাজের জন্য সে অনেক বেশি গর্ব বা দম্ভ করে প্রচার করতে থাকে। অহংকার করে যে সে এভাবে তাকে হেল্প করেছে। এটা কখনোই করা উচিত নয়। এটা অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির আচরণের বহিঃপ্রকাশ। আর যারা প্রকৃত অর্থে কৃতজ্ঞ ব্যক্তি এবং ভালো মানুষ, তারা কখনো তাদের উপকারের হিসাব রাখে না। তারা দম্ভ করে প্রচার করে বেড়ায় না।
এখানে মূলত শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করে শির, লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলাম শিশির এই কথাটির মাধ্যমে অকৃতজ্ঞদের দম্ভ বা অহংকারী মনোভাব কে বোঝানো হয়েছে। অকৃতজ্ঞরা যেমন উপকারীর উপকার শিকার করে না, অপরদিকে নিজে নিজে যদি কাউকে ক্ষুদ্র অর্থেও উপকার করে থাকে সেই কথা প্রচার করে থাকে। সেই রকম ভাবে এখানে বোঝানো হয়েছে একটি শৈবাল হচ্ছে একটি ক্ষুদ্র জিনিস আর এখানে শৈবাল এক ফোঁটা শিশির দিঘিকে দান করেও সে দম্ভ করে বা অহংকারমূলকভাবে খুশিতে শির উঁচু করে শৈবালদের দেওয়া এক ফোঁটা শিশিরের কথা মনে রাখতে বলেছে। অপরদিকে দিঘিতে প্রচুর পানিতে পরিপূর্ণ থাকার পরেও দিঘি নীরব। সে কিছুই বলেনি। এখানে মূলত অকতৃজ্ঞ ব্যক্তির দাম্ভিকতা আর কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপকার করার বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
আজকের আলোচনাকৃত ভাব সম্প্রসারণটি হলো শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির এই ভাব সম্প্রসারণটি প্রত্যেকটা শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাধণভাবে বলা যায় প্রায় ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ প্রত্যেকটা ক্লাসের শিক্ষার্থীদেরই এই ভাব সম্প্রসারণটি পড়ানো হয়। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত এই ভাব সম্প্রসারণটি সুন্দরভাবে পড়ে আয়ত্ত্বে রাখা। যেন যেকোন ক্লাসের পরিক্ষাতেই সুন্দরভাবে লিখা যায় আর ভালো নম্বরও পাওয়া যায়।
একবার যদি বুঝে নেওয়া যায়, তাহলে যেকোন সময়ই এ বিষয়ে সুন্দরভাবে লিখা যাবে। তাই আপনি এখান থেকে এই ভাব সম্প্রসারণটি দেখে নিতে পারেন। ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য একটি ভাব সম্প্রসারণ অবশ্যই সুন্দরভাবে পরিক্ষার খাতায় উপস্থাপন করা উচিত। কিন্তু অনেকেই ভালো পড়লেও পরিক্ষার খাতায় ঠিকমতো উপস্থাপন করতে পারে না। তাই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা জানতে হবে। এজন্য আপনি আমাদের আজকের পোস্টের সাহায্যে নিতে পারেন।