আমাদের ওয়েবসাইটটি বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমাদের পোষ্টের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনাটি। অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী এই রচনাটি খুঁজে থাকেন, কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনাটি সুন্দরভাবে সাজানো গুছানো পায় না। এজন্য অনেকেই রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে না। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে মূলত আজকে খুব সহজভাবে আমাদের পোস্টটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনাটি আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রচনাটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এসে থাকে। বিশেষ করে স্কুল কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিভিন্ন রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেইসব রচনা প্রতিযোগিতায় এ রচনাটি লিখতে দেয়া হয়। তাই অনেক শিক্ষার্থী এই রচনাটি খুঁজে থাকেন। এজন্য আজকে আমাদের এই পোস্টটি আমরা বেছে নিয়েছি শহীদ বুদ্ধিজীবত রচনাটি আলোচনা করার জন্য। আপনারা যদি বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য এই রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পোস্টের সহায়তা নিতে পারেন। কেননা এখানে খুবই সুন্দর ভাবে আর খুবই সহজ ভাবে এই রচনাটি আলোচনা করা হয়েছে। এ সকল তথ্যগুলো আপনি প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা পরীক্ষায় লিখেও ভালো অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করছি।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে বাংলাদেশ পালন করে আসছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে বা খুন করে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর তারা যেহেতু প্রায় হেরেই যাচ্ছে সুতরাং এদেশের বুদ্ধিজীবী মানুষদের না বাঁচিয়ে রাখা, যেন বাংলাদেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়ে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে না পারে। এই পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বুদ্ধিজীবী দের বা বাংলাদেশের মেধাবী ব্যক্তিদের ১৪ই ডিসেম্বর তারিখে ধরে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। আবার তাদের বিভিন্ন জায়গায় হত্যা করে ফেলে রাখে বিশেষ করে বদ্ধভূমি গুলোতে তাদের গণ কবর পাওয়া যায় এখনও।
সে সকল বুদ্ধিজীবীদের যদি এভাবে হত্যা করা না হতো, তবে হয়তো বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো। বাংলাদেশ আরও উন্নতি চরম শেখরে পৌছাতে পারতো আরো আগে। সেসব বুদ্ধিজীবীদের হারিয়ে বাংলাদেশ যুদ্ধ পরবর্তীতে অনেকটা নিঃস্ব হয়ে পড়ে এবং প্রায় মেধাশূন্য হয়ে পড়েছিল। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিল বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। তাদের হারানোটা আমাদের দেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর হয়েছিল। বাংলাদেশে তাদের অসংখ্য অবদান রয়েছে। বাঙালি জাতি তাদের কখনো ভুলতে পারবেনা। এজন্যই প্রতি বছরই ১৪ই ডিসেম্বর তারিখে যথাযথ সম্মানের সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য বিভিন্ন দোয়া কামনা করা হয়।
বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গ অর্থাৎ চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক এসব ব্যক্তিদেরকে সেদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। এই ক্ষতি কখনই পোষানো যাবে না। বাংলাদেশের সোনালী সন্তানদের তারা এভাবে হত্যা করেছিল যা কখনোই কাম্য নয়।
সাধারণত রচনায় অনেক বেশি নাম্বার থাকে। আর একটি রচনায় ভালো নম্বর বা ফুল নম্বর পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রচনাটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে এবং হাতের লেখা সুন্দর হতে হবে। আর রচনাটি অবশ্যই বড় করার প্রয়োজন। কারণ এতে নম্বর অনেক বেশি। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে রচনা তেমন গুরুত্ব দেয় না এবং পর্যাপ্ত সময় নিয়ে রচনা লিখে না। এর ফলে লেখা খারাপ হয়ে যায় আর পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে সুন্দরভাবে রচনা লিখতে পারলে তা ভালো রেজাল্ট করতে অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আর তাই যে কোন রচনা লেখায় গুরুত্ব দেয়া উচিত।