রচনা লেখার নিয়ম

সাধারণত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রচনা লিখতে শিখে। কেননা বাংলা বিষয়টির অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে রচনা লিখন। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় ঠিকমতো রচনা লিখতে পারেনা বা কিভাবে রচনা লিখাটি উপস্থাপন করলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এ বিষয়টিও অনেক শিক্ষার্থীর জানেনা। তাই আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আলোচনা করেছি রচনা লিখার বিভিন্ন নিয়ম সমূহ। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলা রচনা লেখার বিস্তারিত নিয়ম খুবই চমৎকারভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যে সকল শিক্ষার্থীর রচনা লিখতে সমস্যা বা কিভাবে রচনা লিখলে ভালো নম্বর পাবে এই বিষয়গুলো জানা জরুরি, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি বিশেষভাবে উপকারী হবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

যেকোনো লেখা মুখস্ত করার চেয়ে বুঝে পড়া অধিক ভালো। বর্তমান সময় দেখা যায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী না বুঝে যে কোন বিষয় মুখস্ত করে, যা কখনো উচিত নয়। আর মুখস্তকৃত বিষয়গুলো থেকে যদি পরীক্ষায় কমন না আসে, তাহলে তা লেখা যায় না। কেননা গ্রন্থগত বিদ্যা কখনো প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে না। এজন্য আমাদের যাদের মুখস্ত করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের মুখস্তের অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে বুঝে পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যে কোন বিষয়ে যদি বুঝা যায়, তাহলে সেই বিষয় সম্পর্কে খুব সহজে বিস্তারিত লিখা সম্ভব হয়। তাই আমাদের সর্বপ্রথম বুঝা বিষয়টি খুবই জরুরী। আর তাই রচনার ক্ষেত্রেও আমাদের সেই রচনার মূল বিষয় বুঝতে হবে আর রচনার মূল বিষয় বুঝতে পারলে সেই রচনাটি সম্পর্কে সুন্দরভাবে লেখা সম্ভব হয়। তাই আমরা পড়ার সময় অবশ্যই না মুখস্ত করে বুঝে বুঝে পড়বো।

আবার রচনা লিখে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য লিখার কৌশল বা উপস্থাপনের কৌশলটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে সকল শিক্ষার্থী সুন্দর ভাবে পরীক্ষার খাতায লিখে যেকোন বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে, তারা সব সময় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে। তাই অবশ্যই পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপনের কৌশল টার দিকেও মনোযোগী হওয়াটা জরুরী। আবার হাতের লেখার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থীর হাতে লেখা সুন্দর, তারা একটু বেশিই নম্বর পায়। আন তাই পড়াশোনার পাশাপাশি হাতের লেখাটা সুন্দর করার জন্য অনুশীলন করতে হবে।

আবার অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে রচনা লেখার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হয় না। আবার পরীক্ষার সময় রচনা লেখায় বেশি সময়ও দেয় না। এর ফলে বাংলা বিষয়টিতে ভালো নম্বর অর্জন করা ও সম্ভব হয় না। রচনায় অনেক বেশি নম্বর থাকে। এজন্য রচনা লেখার প্রতি আমাদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। আর খুবই যত্ন সহকারে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে রচনা লিখতে হবে, যেন রচনায় ভালো নম্বর পাওয়া যায়। কেননা রচনায় ভালো নম্বর পাওয়া গেলেই বাংলা ব্যাকরণেও ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব হবে। আর ভালো রেজাল্টের জন্য অবশ্যই রচনার নম্বরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আর রচনাতে যেহেতু বেশি নম্বর থাকে, তাই রচনা লিখাটা একটু বড় করতে হবে। কেননা অনেক ছোট করে লিখলে মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করা সম্ভব হয় না। আর মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে না পারলে কখনোই ভালো নম্বর অর্জন করা যায় না। তাই পর্যাপ্ত সময় নিয়ে এবং সুন্দরভাবে রচনা লিখতে হবে। আর এভাবে যদি পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আর সুন্দরভাবে যেকোন রচনার মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করা যায়, তাহলে অবশ্যই ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।

আশা করি আমাদের আজকের বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এই বিষয়গুলোই মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মূল বিষয়বস্তু। আশা করি এই আর্টিকেলটির আপনাদের জন্য অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এতক্ষণ ধৈর্য্যসহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।