মে দিবস অনুচ্ছেদ

আজকে আমাদের পোস্টটির আলোচ্য বিষয় মে দিবস অনুচ্ছেদ। মে দিবস অনুচ্ছেদটি অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। এজন্য অনেক শিক্ষার্থী এই অনুচ্ছেদটি খুজে। আপনিও কি এই অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আমাদের আজকের পোস্টের মাধ্যমে মে দিবস অনুচ্ছেদটি খুবই সহজভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে এখান থেকে খুব সহজেই এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে সুন্দর একটি ধারণা অর্জন করতে পারবেন।

সাধারণত ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনুচ্ছেদ বিষয়টি পড়ানো হয়। আর এটা বাংলা ব্যাকরণের একটি বিশেষ টপিক। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝতে পারে না। আবার কিভাবে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এটাও অনেকেই জানে না৷ এজন্য কোন কোন শিক্ষার্থী দেখা যায় অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বরও পায় না। তাই সবার কথা মাথায় রেখে অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় এখানে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখান থেকে অনুচ্ছেদ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে পরিক্ষার খাতায় লিখলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

আমরা জানি, প্রতিবছর মে মাসের ১ তারিখে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ এই দিনটি উৎযাপন করে। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উৎযাপিত দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবি মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে সাংগঠনিকভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। মে দিবস প্রত্যকটি শ্রমিকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন, স্মরণীয় একটি দিন। তাই এই দিনটিকে সকলেই বিশেষ শ্রদ্ধার সাথে পালন করে থাকে। তবে এই মে দিবসের পিছনের যে শ্রমিকদের সংগ্রামী ইতিহাস রয়েছে, সেই বিষয়টি অনেকেই জানে না। আবার অনেকেই মনে করে মে দিবস বোধ হয় মেয়েদের সাথে জড়িত। কিন্তু মে দিবস আসলে মেয়েদের সাথে নয়, বরং শ্রমিক আন্দোলনের সাথে জড়িত।

১৯৮৬ সালের মে মাসে আমেরিকার শিকাগো শহরে শিল্পপতিদের শোষনের বিরুদ্ধে আত্মদানকারী শ্রমিকরা স্লোগান তোলে। তারা যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সেজন্য তাদের কর্মঘন্টা যেন অমানবিক না করে সময় কমিয়ে দিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে বিশ্রামেরও সময় দেওয়া হয়। শ্রমিকরা দাবি করে তাদের সারাদিনের মধ্যে ৮ ঘন্টা কাজ, ৮ ঘন্টা ঘুম আর বাকি ৮ ঘন্টা যেন বিশ্রাম বা প্রয়োজনীয় কাজ করা যায় এরকম করে দেওয়া৷ কিন্তু মালিক পক্ষ বা শিল্পপতিরা শ্রমিকেদর এই দাবি মেনে নিয়েছিলেন না। এজন্য শ্রমিকরা আন্দোলন করেছিলেন।

শিল্পপতিরা শ্রমিকদের এই আন্দোলন কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ফলে শিকাগো শহরে হে মার্কেট চত্ত্বর শ্রমিকদের রক্তে রন্ঞ্জিত হয়। শ্রমিকদের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া জন্য পুঁজিবাদী সরকার এবং তার প্রতিনিধিরা সম্ভাব্য সকল ধরণের চেষ্টায় করেছিলেন। শ্রমিক নেতাদের ফাসিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অদম্য শ্রমিকেরা তাদের জীবন দিয়ে সফলতা অর্জন করে। বারো -তেরো ঘন্টা বা সারাদিন কাজের পরিবর্তে তারা আট ঘন্টা কর্মদিবসের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। তাছাড়া তাদের জীবন ধারণের জন্য বিভন্ন সুযোগ – সুবিধাও আদায় করে নেয় শ্রমিকেরা। তাই এই দিনটি ইতিহাসের পাতায় আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।

মূলত এই দিনটি শ্রমিকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনার প্রতিক। তাছাড়া মে দিবস আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়ও বিশেষভাবে সহায়তা করে। তাই তো প্রতিবছর নানা রকম আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই দিনটি শ্রদ্ধার সাথে উৎযাপন করে । আসলে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মূলত সারা বিশ্বের শ্রমিকদের কাছে এবং শ্রমজীবি বিভিন্ন সংগঠনের কাছে এই দিনটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। তারা এই দিনটি উৎযাপনের মাধ্যমে তাদের অধিকার সম্পর্কে আরো বেশি সোচ্চার হয়ে ওঠে। এগুলোই মূলত এই অনুচ্ছেদটির মূল বিষয়। আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।