মুজিব বর্ষে গাছ রোপন রচনা

গাছ আমাদের পরম বন্ধু । পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গাছ। পরিবেশকে সতেজ রেখে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে রাখার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করে এই গাছ । তাই আমাদের গাছ লাগানোর জন্য উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। এজন্য পরিবেশকে মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখতে আমাদের গাছ লাগাতে হবে । আর মুজিববর্ষে গাছ রোপন করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত মুজিব বর্ষ গাছ রোপন এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে। এখানে মুজিব বর্ষে বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে খুবই সহজ এবং সাবলীলভাবে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে যাবেন। তাই আপনি যদি মুজিব বর্ষ গাছ রোপন রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান , তবে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন । আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন।

মুজিববর্ষকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়েছে বৃক্ষ রোপনের । একটি মহান উদ্যোগ হচ্ছে বৃক্ষরোপণ করা । বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে আমরা আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য ভূমিকা পালন করতে পারি । বৃক্ষ আমাদের অত্যন্ত কাছের বন্ধু। বৃক্ষ আমাদের পরিবেশকে সচেষ্ট রাখে। বিভিন্ন প্রতিকূলতার হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। তাছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচাতে বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ আমাদের আবহাওয়াকে শীতল রাখে। আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে অক্সিজেন। সে অক্সিজেনের সরবরাহ করে বৃক্ষ। তাছাড়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড পৃথিবীর আবহাওয়াকে আরো খারাপ করে ফেলে। সেই ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড বিক্ষোভ গ্রহণ করার মাধ্যমেও আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করছে। তাই আমাদের বৃক্ষ রোপনের জন্য উদ্যোগে হওয়া প্রয়োজন এবং বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন।

মুজিব বর্ষে তাই বৃক্ষরোপণকে অন্যতম প্রধান কাজ হিসেবে ধরা হয়েছে। আর বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপন করার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়াও এই মুজিব বর্ষে এসে বৃক্ষ রোপনের প্রয়োজনীয়তা মানুষের সামনে গভীরভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ বৃক্ষ রোপনের প্রতি আগ্রহী হয়। আর বেশি বেশি করে গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে রক্ষা করে বিভিন্ন প্রতিকূলতার হাত থেকে। তাই এই মুজিব বর্ষে বৃক্ষরোপণকে অন্যতম প্রধান কাজ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। এই অব্যাহতাকে ধরে রাখতে আমাদের এই মহান কাজটি করে যেতে হবে। কেননা এই কাজের মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে আমাদের বসবাসের উপযোগী করে রাখতে পারব।

দিন দিন আমরা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করছি। এর ফলে পরিবেশ তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারিয়ে মানুষের বসবাসের অউপযোগী হয়ে পড়ছে। এই পরিবেশকে যদি এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো না যায় তাহলে আমরা একসময় ধ্বংসের মুখে পতিত হব। বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হতে হবে। তাই এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

মুজিববর্ষের সকল পর্যায়ের মানুষ বৃক্ষ রোপনের প্রতি সচেতন হচ্ছে এবং বৃক্ষরোপনে আগ্রহী হয়ে অনেক বৃক্ষরোপণ করছে। এটা অনেক বেশি আনন্দের খবর। কেননা বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে রক্ষা করছি। আর পরিবেশকে রক্ষা করা মানে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকে রক্ষা করা। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। যা আমাদের জন্য খুবই জরুরী একটি বিষয়। আমাদের সবারই উচিত বৃক্ষ রোপন সম্পর্কে সচেতন হওয়া। আর বেশি বেশি করে কাজ লাগানো। সেই সাথে আশেপাশের মানুষকে গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা। যেন পরিবেশ তার নিজস্ব সতেজতা বজায় রাখতে পারে এই বৃক্ষের মাধ্যমে। মূলত এগুলোই আজকের আর্টিকেলটির মূল বিষয়। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।