বর্তমান সময়ে মাদক একটি আতঙ্কের নাম। এই মাদক গ্রহণের ফলে নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে আজ যুব সমাজ। এভাবে চলতে থাকলে যুবসমাজ একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আমাদের সকলের উচিত যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। আর আমাদের সমাজ থেকে মাদকাসক্তি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এই যুবকেরাই।।বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে এসে মাদকাসক্তির মরণ ছোবলে মানব সভ্যতা আজ হুমকির সম্মুখীন। উন্নত, উন্নয়নশীল, অনুন্নত সকল প্রকার রাষ্ট্রেই মাদকদ্রব্য সেবন এবং এর কুফল এক বিশাল অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
কেননা মাদকদ্রব্যের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে মানুষ চরম অধঃপতনে গমন করে। এতে ব্যক্তিগত জীবনে যেমন হতাশা নেমে আসে, তেমনি সমাজ এবং জাতীয় জীবনেও ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। আর এ সকল বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত মাদকাসক্তি প্রতিরোধে যুব সমাজের ভূমিকা রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি এই রচনাটি সম্পর্কে যারা বিভিন্ন বিষয় জানতে চান, আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে। তাই আপনারা যারা এই রচনাটি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে চান তারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন।
একটি সমাজ থেকে যে কোন ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য এবং সামাজিক উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি যারা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা হলো সেই সমাজের যুবসমাজ। সাধারণত যে কোন কাজকে ভয় করেনা যুবকেরা। তারা অনেক সাহস এবং শক্তির অধিকারী হয়ে থাকে। তাই তাদের হাত ধরেই যেকোনো ধরনের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। আর তারা যদি সচেতন হয় এবং সতর্কতার সাথে মাদকাসক্তি মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়, তাহলে অবশ্যই সমাজ থেকে এবং দেশ থেকে চিরতরে মাদকাসক্তি দূর করা সম্ভব হবে। তাই তো সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি যুবকদেরও মাদকাসক্তি নির্মূলের জন্য এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন সমাজ থেকে চিরতরে মাদককে না করা যায়।
মাদক থেকে একটি দেশকে বাঁচানোর জন্য সবচেয়ে জরুরী বিষয় হচ্ছে মাদকের ভয়ংকর পরিণতির কথা সবাইকে জানাতে হবে। যেন মাদকের ভয়ংকর পরিণতিতে ভীত হয়ে মানুষ মাদক গ্রহণ থেকে বের হতে থাকে। তাছাড়া মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতা দূর করার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে হবে এবং সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের সমাজের বিশাল জনগোষ্ঠীর অসচেতন। এই অসচেতনতার জন্য অনেক সময় দেখা যায় যে তারা না বুঝেই মাদক গ্রহণ করে এবং এক সময় মাদকের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাই আমাদের সমাজের এই বিশাল অসচেতন জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে তুলতে পারলে মাদকের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
মাদকের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে সমাজকে এবং দেশকে রক্ষা করার জন্য সরকারকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। তাছাড়া মাদক বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে। আর মাদকের সহজলভ্যতা দূর করার জন্য সরকারকে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। তাছাড়া মাদক গ্রহণকারী এবং মাদক বিক্রেতা কে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দানের মাধ্যমে মাদককের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্যরবিভিন্ন ধরনের আইন তৈরি করতে হবে। আর এ সকল আইনগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে যেন মাদক বিক্রেতা এবং মাদক গ্রহণকারী উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আসে। এ সকল দিকগুলো যদি সুন্দরভাবে পালন করা যায় তাহলে মাদককে নির্মূল করা সম্ভব হবে।
আমাদের সকলের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে থাকা। মাদক গ্রহণকারীকে মাদকের পরিণতি সম্পর্কে জানিয়ে তাদের মাদক গ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য আমাদের নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। একটি সমাজ এবং দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য সে সমাজ বা দেশ থেকে মাদক চিরতরে নির্মূল করতে হবে।