আমাদের ওয়েবসাইটটি বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টটি সাজিয়ে তুলেছি অনুচ্ছেদ লিখার আকর্ষনীয় সব নিয়মের মাধ্যমে। তবে এই পোস্টের মাধ্যমে মূলত আলোচনা করা হয়েছে মাদকাসক্তি অনুচ্ছেদটি। আপনি কি মাদকাসক্তি অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারি হতে পারে। কেননা এই পোস্টের মাধ্যমে মাদকাসক্তি অনুচ্ছেদটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বর্তমান বিশ্ব যে কয়টি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন তার মধ্যে অন্যতম মাদকাসক্তি। মাদকের ব্যবহার ও অবৈধ বিস্তারে বিশ্ববাসী আজ শঙ্কিত। মাদকদ্রব্য হচ্ছে সেসব বস্তু যা গ্রহণের ফলে স্নায়ুবিক বৈকল্যসহ নেশার সৃষ্টি হয়। নিদিষ্ট সময় পর পর তা সেবনের অনুভূতি হয়। এর কুপ্রভাব মারাত্মক ও ভয়াবহ। আমাদের দেশেও মাদকের ভয়াবহতা সাংঘাতিক। আমাদের দেশে যেসব মাদকদ্রব্যের সেবন সর্বাধিক তা হচ্ছে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, মদ, বিয়ার, তাড়ি, ঘুমের ঔষধ, প্যাথেডিন ইনজেকশন, ইয়াবা ইত্যাদি। এসব মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে নেশা সৃষ্টি করাকে মাদকাসক্তি বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাদকাসক্তি হচ্ছে চিকিৎসা গ্রহণযোগ্য নয় এমন দ্রব্য অতিরিক্ত পরিমানে গ্রহণ করা ও তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া। বিভিন্ন কারণে মানুষ মাদকাসক্ত হয়। এর মধ্যে সঙ্গদোষ, কৌতুহল, পারিবারিক কলহ, ধর্মীয় মূল্যবোধের বিচ্যুতি ও মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে যুব সমাজই মাদকাসক্তিতে সবচেয়ে বেশি আসক্ত। বিশ্বব্যাপী মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং চোরা চালানের মাধ্যমে এর ব্যাপক প্রসার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করেছে। মাদকদ্রব্যের নিষ্ঠুর ছোবলে অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু তাজা প্রাণ এবং নষ্ট হচ্ছে বহু তরুনের সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার জনিত সমস্যা আজ বিশ্বব্যাপী। লাভজনক এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক চোরাচালানি চক্র। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য মাদকাসক্তি নিরাময় ও প্রতিরোধ আন্দোলনে সকল জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে৷ সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মীসহ সকল শ্রেণির মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাদকমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা দুর করতে হবে। সেই সাথে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। সাধারণ মানুষকে এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানাতে হবে। সেই সাথে মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীকে শাস্তি দানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে অনেকাংশে মাদকাসক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তবে মাদকাসক্তি নিয়ন্ত্রণ করা বা দুর করার জন্য সর্বপ্রথম যেটা দরকার তা হলো জনসচেতনতা। কেননা জনসচেতনতা তৈরি করা না গেলে কখনোই মাদকাসক্তি বা মাদকাসক্তকে নিয়ন্ত্রণ করা বা দূর করা সম্ভব হবে না। এজন্য সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে এবং সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যেন মাদকাসক্তিকে দূর করা সম্ভব হয়। তাছাড়া ‘ মাদকের না বলুন’এরকম শিরোনামে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার তৈরি এবং দেওয়াল লেখনের মাধ্যমে ও মাদকাসক্তিকে কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং জনমনে সচেতনতা তৈরির জন্য সবাইকে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। আর সরকারকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অনুচ্ছেদ মূলত খুবই সহজ একটি বিষয়। এটা মুখস্ত করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। বুঝে বুঝে পড়লেই যে কোন অনুচ্ছেদ সম্পর্কে অনায়াসেই লিখা সম্ভব। তাই পড়ার সময় অবশ্যই বুঝে পড়া দরকার। আর লিখার দিকেও মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুন্দরভাবে লিখতে পারলে বা উপস্থাপন করতে পারলে সব সময় বেশি নম্বর পাওয়া যায়। আর মাদকাসক্তি অনুচ্ছেদটিতে যদি উপরের আলোচনাকৃত বিষয়গুলো সুন্দরভাবে লিখা যায় আর লেখার কৌশলটা যদি হয় সুন্দর, তাহলে এই অনুচ্ছেদটিতে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। তাই আর দেরি না করে আপনি যদি মাদকাসক্তি অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকেন, তাহলে আমাদের পোস্টটির সাহায্য নিন আর এই অনুচ্ছেদটি নিজের আয়ত্ত্বে করে নিন খুবই সহজে।