বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর ভাব সম্প্রসারণ

আমাদের ওয়েবসাইটে আজকে মূলত বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টির চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনারা যারা এই ভাব সম্প্রসারণটি খুঁজছেন বা এভাবে ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন, তারা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। আসলে পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টির চিরকল্যাণকর, তার অর্ধেক পুরুষ এবং অর্ধেক নারী করেছে। কোনভাবে একার পক্ষে এগুলো করা সম্ভব নয়। নারীকে বাদ দিয়ে যেমন পুরুষ একা আগাতে পারবে না। তেমনি পুরুষকে বাদ দিয়ে ও নারী কোনভাবে একা আগাতে পারবে না।

মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে নারী পুরুষের উভয়ের অবদান সমান। সভ্যতার উন্নতির মূলে রয়েছে নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াস। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে নারী ও পুরুষের হাত ধরে এই পৃথিবী সভ্যতার পথে এগিয়ে চলেছে। সভ্যতার এ অগ্রযাত্রায় মানবজাতির উভয় অংশের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, অবহেলিত, নির্যাতিত হয়ে আসছে। নারী ও পুরুষ উভয়ই মানুষ। এই দুই সত্তার মাঝে যে কারো অধিকার খর্ব করা হলে তা হবে মানব অধিকার হরণ করার শামিল।

নর এবং নারী একে অপরের পরিপূরক সত্তা। মানুষ তার মেধা আর কাজ, পরিশ্রমে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে বর্তমান সভ্যতার তিলেত্তমাসম্ভব মূর্তি। এ নির্মান অভিযাত্রায় নারী ও পুরুষ সমান অংশীদার। সভ্যতার বৃদ্ধি মূলে পুরুষের পরিশ্রমের আর সংগ্রামের পদচিহ্ন খোদিত হলে সেখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে সহ অবস্থান করবে নারীর সেবা আর কর্তব্যনিষ্ঠা।

তাই নারী-পুরুষ উভয়েরই সমানভাবে দরকার। তাই উভয়কেই সমান অধিকার দিতে হবে এবং সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সমাজ এবং দেশের কল্যাণ হবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে নারী পুরুষের ভেদাভেদ করা হয় এবং নারীদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ সুবিধা এবং অধিকার দেওয়া হয় না। এর ফলে নারীরা অনেক সময় পিছিয়ে থাকে। আর নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজ পিছিয়ে থাকে এবং সর্বোপরি দেশ পিছিয়ে থাকবে। তাই পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও সমানভাবে এগিয়ে নিতে তাদেরকে সমাধিকার প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ দিতে হবে। তাদের কাজের প্রাপ্য সম্মান করতে হবে। এগুলোর মূলত আজকের ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়বস্তু।

একটি ভাব সম্প্রসারণ এর মূল বিষয়বস্তু বুঝতে পারলে সে ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে অনায়াসে লেখা সম্ভব হবে। তাই একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখে ভালো নম্বর অর্জন করার জন্য ভাব সম্প্রসটি বুঝে নেওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য প্রত্যেকের উচিত পড়ার সময় মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়া। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকে না বুঝে মুখস্ত করে আর মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে পরীক্ষায় যদি না আসে, তাহলে সে লিখতে পারে না বা ঘাবড়ে যায়। এর ফলে পরীক্ষা ভালো রেজাল্ট করতে পারেনা। আবার অনেকেই কঠোর পরিশ্রম করে এই মুখস্ত করার পিছনে। কিন্তু পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হয় না অনেক সময়। কারণ মুখস্ত করে ভাব সম্প্রসারণ কখনো ভালোভাবে লেখা সম্ভব নয়। ভাব সম্প্রসারণ বুঝে নিতে হবে আর বুঝে নিতে পারলে খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। আর খাতায় উপস্থাপন করতে পারলে ভালো নম্বর অর্জন করা যাবে।

বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর এই ভাব সম্প্রসারণ আমাদের আজকের পোস্টে খুবই সহজ এবং সুন্দরভাবে দেওয়া হয়েছে।এখান থেকে আপনি খুব সহজেই এই ভাব সম্প্রসারণটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর এই ভাব-সম্প্রসারণটি প্রতিটা শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ভাব সম্প্রসারণটি দেখার জন্য আমাদের পোস্টটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।