আমাদের ওয়েবসাইটি বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের পোস্টটিতে মূলত পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন, নিজের অনিষ্টের বীজ করে সে বপন এই ভাব সম্প্রসারণটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর কিভাবে লিখলে ভাব সম্প্রসারণটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে আর কম সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যাবে, সেই সমস্ত নিয়মে আজকের পোস্টটি সাজানো-গোছানো আছে।
যে মানুষ অপরের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে, পরিণামের তাকেই ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। প্রকৃতি সমতা নিয়ন্ত্রণ করে বলেই হয়তো মানুষকে এ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। জগতের অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য এখানে যে সে শুধু নিজের কথা চিন্তা করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না। তাকে তার চারপাশের জগত নিয়েও ভাবতে হয়। যে মানুষ সবসময় অন্যের উপকারের কথা ভাবে, সে সমাজ সম্মানিত হয় এবং সেই সঙ্গে তার মানসিক চিন্তারও উন্নয়ন ঘটে।
মূলত যে মানুষ পরের অনিষ্ঠ বা খারাপ চিন্তা করে বা অপরের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, সেই মানুষটি কখনো সুখী মানুষ বা ভালো মানুষ হতে পারে না। পরের অনিষ্ট চিন্তা করার মানে হচ্ছে পক্ষান্তরে নিজের অনিষ্টের বীজ বপন করা। অন্যের ক্ষতি চাইলে অবশ্যই সেই ক্ষতি সম্মুখীন একসময় নিজেকেই হতে হয়। তাই কোন অবস্থাতেই পরের ক্ষতির বা অপকার করার চেষ্টা করা উচিত নয়।
আজকের ভাব সম্প্রসারণটি অর্থাৎ পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যে জন নিজের অনিষ্টের বীজ করে সে বপন দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে ব্যক্তি অপরের ক্ষতির জন্য চেষ্টা করে বা অনিষ্ঠ কল্পনা করে, সেই ব্যক্তি পরোক্ষভাবে নিজের ক্ষতি নিয়ে চেষ্টা করল এবং একসময় সে নিজেই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই কোনভাবে কোন অবস্থাতে অপরের ক্ষতি করার চিন্তা করা যাবে না। আর ক্ষতি করাও যাবে না। কেননা এর ফলে নিজেরই ক্ষতি হতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকে অপরের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে অর্থাৎ তার যেকোন ভাবে ক্ষতি করতেই হবে এমনটা ভাবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অন্যের ভালো দেখে হিংসা করে, এগুলো করা কোনভাবে উচিত নয়। এর ফলে নিজেকে ছোট করা হয়। নিজের মন মানসিকতা খারাপের দিকে যায়। সৃষ্টিকর্তা তারই ক্ষতি করে।
এগুলো অনেক সময় অনেকেই মাথায় রাখে না। এর ফলে অন্যের ক্ষতির জন্য সময় ব্যয় করে। কিন্তু এদিকে যে নিজের সময় নষ্ট হচ্ছে তা খেয়ালই করে না অনেকেই। এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে এবং অন্যের ক্ষতির অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে। কেননা এর ফলে নিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। এই ভাব সম্প্রসারণ এর দ্বারা এই বিষয়গুলোই মূলত আলোচনা করা হয়েছে।
যেকোনো ভাব সম্প্রসারণ এর মূল বিষয়বস্তু বুঝতে পারলে সে ভাব সম্প্রসারণটি অনাআসে বিস্তারিত ভাবে লেখা সম্ভব হবে। আর পরীক্ষায় ভালো নম্বরও পাওয়া যাবে। সাধারণত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এই ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হয়। আর প্রায় প্রতিটি শ্রেণীতেই পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যে জন, নিজের অনিষ্টের বীজ করে সেই বপন এই ভাব-সম্প্রসারণটি পড়ানো হয়।
যারা অন্যের ক্ষতির কথা চিন্তা করে, তারা যেমন জীবন থাকতেও সুখী হতে পারে না। তেমনি মৃত্যুর পরেও ইতিহাসের পাতায় খলনায়ক স্বরূপ সবার ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকে। সব সময় অন্যের উপকারের কথাই ভাবা উচিত। এতে মানব জীবনের প্রকৃত সুখ ও স্বার্থকতা নিহিত। অন্যের অনিষ্ট করার চিন্তা বাদ দিলে নিজের অনিষ্ট ও জীবন থেকে বহু দূরে চলে যাবে। তাই পরের অনিষ্টের কথা বাদ দিয়ে সকলের মঙ্গলের কথা ভাবতে হবে।