দুর্নীতি প্রতিরোধ অনুচ্ছেদ

দুর্নীতি জাতীয় জীবনে অভিশাপস্বরুপ। জাতীয় জীবনের সকল উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এই দুর্নীতি। বর্তমানে দেশের প্রতিটি অংশেই দুর্নীতির নির্মম থাবা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে নায্য ব্যক্তিরা তাদের উপযুক্ত অধিকার পেতে ব্যর্থ বা বঞ্চিত হচ্ছে। মেধাবীরা ঠিক মতো মূল্যায়ন পাচ্ছে না। একদিকে দুর্নীতিবাজরা উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ দুর্নীতির কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে।

এর ফলে ধনি -দরিদ্রের মধ্যে আরো বেশি ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। তাই দুর্নীতি কখনো একটি দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলকর হতে পারে না। দুর্নীতির ফলে সকল ধরণের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। যে দেশ যত বেশি দুর্নীতিবাজ, সে দেশ তত বেশি পিছিয়ে। আর যেসব দেশে দুর্নীতির ছোয়া লাগে নি, যেসব দেশেই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আর সে সব জাতিই উন্নতির চরম শিখড়ে পৌঁছে যাচ্ছে।

একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে। কেননা দুর্নীতি থাকলে কখনো কোন দেশ উন্নতি করতে পারে না। একটি দেশ যখন দুর্নীতির কবলে পড়ে, তখন সেই দেশটি আস্তে আস্তে নিঃস্ব হতে থাকে। তাই দেশকে বাঁচাতে হলে দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সব মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে৷ সরকারকে দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷

দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তিদানের জন্য বিভিন্ন রকম আইন তৈরি করতে হবে৷ আর শুধুমাত্র আইন তৈরি করলেই হবে না, সেই আইনের বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে৷ আর কঠোর শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলেই দুর্নীতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে সর্বসাধারণের সচেতনতামূলক অংশগ্রহণ ছাড়া কখনোই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

বর্তমানে সকল কাজের ক্ষেত্রেই কম-বেশি দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় দুর্নীতির ফলে প্রকৃত যারা প্ররিশ্রমী, তারা তাদের প্রাপ্তটুকুও পায় না। বিশের করে চাকরির বাজারে দুর্নীতি বিষয়টি অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃতপক্ষে যারা মেধাবী বা উপযুক্ত, টাকার অভাবে তারা তাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি খুঁজে পায় না। বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদগুলো দখল করে রাখে দুর্নীতিবাজরা। আর চাকরির ক্ষেত্রে যে যত বেশি টাকা দেয়, তার তত ভালো চাকরি হয়। অযোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা কখনো ভালো কিছু আশা করা যায় না। তারা কখনো দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করে না। তারা সবসময় নিজের স্বার্থ দেখে। এমনকি শুধুমাত্র নিজের ভালোর জন্য অন্যের ক্ষতি করতেও পিছপা হয় না।

আবার দুর্নীতিবানরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দেশের স্বার্থকেও বিলিয়ে দিতে পারে। তাই কোনভাবে যেন দুর্নীতিবাজরা মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে কোনভাবেই সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। মূলত দুর্নীতি প্রতিরোধ অনুচ্ছেদটিতে এই বিষয়গুলোই সঠিকভাবে লিখলেই ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হবে। আর এই অনুচ্ছেদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। তাই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর এই অনুচ্ছেদটি পড়ে রাখা দরকার। যেন পরিক্ষায় সুন্দরভাবে লিখা যায়। আর ভালো নম্বরও পাওয়া যায়।

আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক শিক্ষার্থীই দুর্নীতি প্রতিরোধ অনুচ্ছেদটি খুঁজে। কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা বা সাজিয়ে লেখা খুঁজে পায় না। তাই সবার কথা মাথায় রেখে খুব সহজেই যেন সাজানো -গুছানো দুর্নীতি প্রতিরোধ অনুচ্ছেদটি পেয়ে যায়, এজন্য আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে। এখান থেকে যে কেউ খুব সহজেই এই অনুচ্ছেদটি সংগ্রহ করে নিয়ে রাখতে পারবেন। আর এভাবে পরিক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়াও সম্ভব হবে।

আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি দুর্নীতি প্রতিরোধ অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে খুবই সহজ আর সাবলীলভাবে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।