আমাদের ওয়েবসাইটটি বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় দর্শনীয় স্থান অনুচ্ছেদটি। অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী এই অনুচ্ছেদটি খোঁজ করেন। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে খুবই সহজভাবে দর্শনীয় স্থান অনুচ্ছেদটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের পোস্টটিতে। এখান থেকে এই অনুচ্ছেদ থেকে খুবই সুন্দর একটি ধারণা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।
সাধারণত দর্শনীয় স্থানগুলো একটি দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক -বাহক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন রকম ঐতিহাসিক সাক্ষ্য বহন করতে সাহায্য করে দর্শনীয় স্থানগুলো। ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ আমাদের এই বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শাসক এই দেশকে শাসন করেছেন। তারা তৈরি করেছেন বিভিন্ন রকম প্রাসাদ, মন্দির, মসজিদ ইত্যাদি। এগুলো এখন আমাদের দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশ প্রাকৃতিকভাবেও অনেক সুন্দর আর মনোরম। এদেশে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি নানারকম সৌন্দর্যে ভরপুর বন, পাহাড়ও বর্তমানে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এসব দর্শনীয় স্থানগুলো দ্বারা সেসব এলাকার বিভিন্ন সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তার মধ্যে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাঘা মসজিদ, দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির, নওগার পাহাড়পুর, বগুড়ার মহাস্থানগড়, নাটরের দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী ও রানী ভবানির বাড়ি, পুঠিয়ার জমিদার বাড়ি গাজিপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ি, ঢাকার আহসান মঞ্জিল, নারায়ণগঞ্জের সোনার গাঁ, কুমিল্লার ময়নামতি ইত্যাদি। প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দিনাজপুরের রামসাগর, নাটরের চলনবিল, নেত্রকোণার বিড়িসিরি, সিলেটের জাফলং, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ইত্যাদি। মূলত ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহাসিক সত্য বারঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। আর প্রাকৃতিক বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোর মাধ্যমে বিবিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
দর্শনীয় স্থানগুলো থেকে মূলত বিভিন্ন ধরণের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের দর্শনীয় স্থান রয়েছে। সেসব স্থানগুলো সবারই দেখা উচিত এবং সেসব স্থান সম্পর্কে জানা উচিত। আর এসকল স্থান দেখার জন্য মানুষ দুর -দুরান্ত থেকে ছুটে আছে। সৌন্দর্য উপভোগ করে আর জ্ঞানের পরিধিও বৃদ্ধি করে। সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিবছরই বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শিক্ষকদের উচিত এসকল দর্শনীয় জায়গাগুলোতে নিয়ে যাওয়া। তাহলে শিক্ষার্থীরা আনন্দ লাভের পাশাপাশি ঐ সব স্থানগুলো থেকে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবে, যা তাদের জ্ঞানের পরিধিকে আর সমুন্নত করবে।
এই বিষয়গুলোই মূলত এই অনুচ্ছেদটির মূল বিষয়। যেকোন অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর পেতে হলে অবশ্যই মূল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাটা জরুরি। কেননা মূল বিষয়গুলো না লিখে যদি আবোল-তাবোল লিখা হয়, তাহলে কখনো ভালো নম্বর পাওয়া যাবে না। আবার ভালো নম্বর পেতে হলে হাতের লেখার দিকেও মনোযোগী হতে হবে। লেখা খারাপ হলে মূল বিষয়গুলো লিখলেও অনেক শিক্ষক ভালো নম্বর দেয় না। তাই হাতের লেখার দিকে যত্নশীল হতে হবে। লিখা খারাপ হলে বার বার অনুশীলন করতে হবে। আর অনুশীলনের মাধ্যমেই আস্তে আস্তে লেখা সুন্দর হবে।
অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝতে পারে না। আর বুঝতে না পারার জন্য এই বিষয়টি নিযে চিন্তায় থাকে। আসলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা অনুচ্ছেদ আসলে কঠিন কোন বিষয় নয়৷ অনুচ্ছেদ খুবই সহজ বিষয়। অনুচ্ছেদ পড়ার সময় মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে৷ বুঝতে পারলেই যেকোন অনুচ্ছেদ সম্পর্কে অনায়াসেই লিখা সম্ভব হবে।
আবার অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় লিখার সময় প্যারা আকারে লিখতে পছন্দ করে৷ কিন্তু অনুচ্ছেদ বিষয়টিতে প্যারা করে লিখতে হয় না। এই বিষয়টি অনেকেই জানে না৷ তাই অনুচ্ছেদ লিখার সময় এই বিষটি মাথায় রাখতে হবে। আশা করি দর্শনীয় স্থান অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আজকের পোস্টটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।