জন্ম হউক যথা তথা কর্ম হউক ভালো ভাবসম্প্রসারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের পোষ্টের বিষয় হলো জন্ম হউক যথা তথা কর্ম হউক ভালো ভাব-সম্প্রসারণটি। মানুষের সম্মান ও মর্যাদা তার জন্মের দ্বারা নির্ণীত হয় না। বরং তার কর্মের দ্বারাই নির্ণীত হয়। তাই তথাকথিত নিম্ন জাতের মানুষ কর্মের দ্বারা সম্মান মর্যাদা ও গৌরবের অধিকারী হতে পারে। পৃথিবীতে মানুষ নানা জাতি, উপজাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীরতে বিভক্ত। কিন্তু সবচাইতে মানুষের বড় পরিচয় হচ্ছে সে একজন মানুষ। এই ভাব সম্প্রসারণটি লিখতে হলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে। আর ভাব সম্প্রসারণের মূল বিষয় বুঝে তারপরে লিখতে হবে।
ভাব সম্প্রসারণ আসলে মুখস্তের কোন ব্যাপার নয়। ভাব সম্প্রসারণ হলো বোঝার ব্যাপার। ভাব সম্প্রসারণ বুঝে যদি খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, তবে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব। তাই কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ উপস্থাপন করা যায় এবং কিভাবে লিখলে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করা যায় আর পরীক্ষার খাতায়ও না মুখস্ত করে লিখে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব? এরকম সব আকর্ষণীয় নিয়মের মাধ্যমে সাজানো গুছানো হয়েছে আজকের পোস্টটি। আপনি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে দারুন কিছু শিখতে পারবেন বলে আশা করছি।
আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো এই ভাব সম্প্রসারণটি। এটা প্রতিটি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাব সম্প্রসারণ। তাই প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর উচিত একবার হলেও এই ভাব সম্প্রসারণটি দেখে রাখা, যাতে করে পরীক্ষার খাতায় যেকোনো সময়ে উপস্থাপন করা যায় খুবই সুন্দর ভাবে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ একটা সহজ বিষয় হলেও অনেক সময় বুঝতে পারে না। আর ঠিকমতো বুঝতে না পারার কারণে পরীক্ষার খাতায় ভালোভাবে লিখতে পারেনা। পরীক্ষার খাতায় যদি ভালোভাবে লিখা না যায় বা উপস্থাপন করা না যায়, তাহলে একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখে কখনোই ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব নয়। আর ভালো রেজাল্ট করাও সম্ভব নয়। তাই যেকোন বিষয় লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে হলে উপস্থাপন পদ্ধতি হতে হবে খুব চমৎকার।
মানুষের জন্ম যেখানেই হোক বা যেভাবেই হোক সেটা তার দোষ নয়। মানুষের কর্ম হতে হবে ভালো। কারণ কর্মের মাধ্যমে মানুষ পরিচিত হয়। সে যদি ভালো কাজ করে, তাহলে পৃথিবীতে সে কীর্তিমান হয়ে থাকবে। তাই জন্মের দ্বারা নয় বরং কর্মের দ্বারা পরিচিত হতে হয়। তাই অবশ্যই কর্মটিকে সাধনা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এবং মানুষের কল্যাণের জন্য ভালো কাজ করতে হবে। নিজের জন্মের পিছনে কারো হাত থাকে না। কিন্তু কর্মের পেছনে সবারই করণীয় থাকে। কারণ সে যদি কঠোর পরিশ্রম করে, তাহলে সে অবশ্যই সফল হবে এবং ভালো কাজ করতে পারবে।
তাই প্রত্যেকের তার নিজের কর্মের দিকে মনোযোগী হওয়া দরকার। কেননা মনোযোগ দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করলে সফল হওয়া যাবে। সফল হতে পারলেই সে সম্মানের অধিকারী হবে। তার জন্ম যেখানেই হোক না কেন, তার জন্ম কোথায় হলো, কিভাবে হলো এ সকল ভেবে মন খারাপ না করে বা সময় নষ্ট না করে কর্মের দিকে আত্মনিয়োগ করা দরকার। এই সম্প্রসারণটি দ্বারা মূলত এই বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
যেকোন ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হলে সে ভাব সম্প্রসারণটির মূলভাব আত্মস্থ করতে হবে। কেননা সে ভাব সম্প্রসারণ এর মূল বিষয়বস্তু আত্মস্থ করতে না পারলে যতই মুখস্ত করা হোক না কেন তা কখনোই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। তাই আপনি এই ভাব সম্প্রসারণটি মূলভাবটা বুঝে নিতে আমাদের আজকের পোস্টের সহযোগিতা নিতে পারেন। কেননা এখানে এই ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়বস্তু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি বুঝে নিলে যে কোন সময় অনায়াসেই ভাব সম্প্রসারণটি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে পারবেন।