গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা, নহে ধন হলে প্রয়োজন ভাবসম্প্রসারণ

আজকে মূলত আলোচনা করা হয়েছে গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন এই ভাব সম্প্রসারণটি। মূলত এই ভাব সম্প্রসারণের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে মুখস্থ বিদ্যা কখনো কাজে লাগে না। একটা নিদিষ্ট সময় পর এই বিদ্যা মানুষ ভূলে যায়। যখন প্রয়োজন তখন মুখস্ত বিষয়টি মনে করে যায় না। আবার নিজের সম্পত্তি বা টাকা পয়সা যদি অন্যের কাছে থাকে, তবুও নিজের বিপদের সময় সেই সম্পত্তি বা টাকা -পয়সা কোন কাজে আসে না। তাই মুখস্ত বিদ্যা অ্জন করা যাবে না। যেকোন বিষয় শিখতে হরে তা অবশ্যয় বুঝতে হবে। আর নিজের সম্পত্তি কখনো অপরের নিকট রাকা যাবে না৷ কেননা প্রয়োজনে যদি সেই সম্পত্তি বা বিদ্যা কাজে লাগানো না যায়, তবে সেই বিদ্যা বা সম্পত্তির অর্জনের পিছনে বৃথা শ্রম দেওয়া হবে।

গ্রন্থগত বিদ্যা যা আত্মস্থ করা হয়নি এবং অন্যের অধিকার থাকা সম্পত্তি যা স্বীয় করায়ত্ত হয়নি এ সমস্তই নিরর্থক। কারণ প্রয়োজনের মুহূর্তে এগুলোর যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। পৃথিবীতে মানুষের জীবনে ধন সম্পদ ও বিদ্যার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিদ্যা মানুষের অজ্ঞানতা দূর করে শাশ্বত সুন্দরের পথ নির্দেশ করে। কিন্তু বিদ্যা যদি গ্রন্থের ভিতরেই মলাটাবদ্ধ হয়ে নির্জীব হয়ে থাকে, মানুষ যদি তা আত্মস্থ না করে কিংবা চলমান জীবন প্রবাহে কাজে লাগাতে না পারে, তবে সে বিদ্যা মূলত কোন বিদ্যাই নয়।

সার্থক ও সুন্দর জীবনে প্রয়োজনের বিদ্যাকে গ্রন্থের বন্দিশালা থেকে মুক্ত করে আত্মস্থ করতে হবে। পরের হাতে সংরক্ষিত সম্পত্তি কে করায়স্থ করতে হবে। বিদ্যা আর ধন-সম্পদ যখন মানুষের যথার্থ প্রয়োজন মিটায় তখনই তার সার্থকতা। মূলত বিদ্যা ও ধন সম্পদ যখন মানুষের যথার্থ প্রয়োজন মেটায় তখনই তার সার্থকতা। কিন্তু মানুষের যথার্থ প্রয়োজনে সময় যদি তা কাজে না লাগে তবে সেই বিদ্যা ও ধন সম্পদের কোন মূল্যই নেই।

মূলত গন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন এই ভাব সম্প্রসারণটি দ্বারা উপরের আলোচনাকৃত বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে। যেকোনো ভাব সম্প্রসারণ লিখে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য অবশ্যই সে ভাব সম্প্রসারণ উপস্থাপনের পদ্ধতিটি ভালো হওয়া চাই।আর ভাব সম্প্রসারণ উপস্থাপনের পদ্ধতি ভালো হতে হলে অবশ্যই সে ভাব সম্প্রসারণটা লিখে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে৷ তাই ভাব সম্প্রসারণ অবশ্যয় বুঝতে হবে। যেকোন ভাব সম্প্রসারণ বুঝতে না পারলে তা কখনোই পরীক্ষার খাতায় ফটিয়ে তোলা বা উপস্থাপন করা সম্ভব হয় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই না বুঝে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। আর মুখস্ত বিষয়গুলো থেকে যদি পরীক্ষায় না আসে, তবে অনেকেই সে বিষয়ে লিখতে পারে না, আর ঘাড়ে যায়।

এর ফলে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করে এর জন্য প্রথমে যেটা দরকার তা হলো যে কোন বিষয় বুঝে নিতে হবে, তাহলেই তা লিখা সম্ভব হবে। কিন্তু অনেকেই ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি বুঝতে পারে না। তাই সবাই যেন খুব সহজেই গন্থগত বিদ্যা আর পরহস্থে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন এই ভাব সম্প্রসারণটি বুঝতে পারে, তাই অত্যন্ত সহজভাবে সাজানো হয়েছে আজকের পোস্টের মাধ্যমে।

গ্রন্থগত বিদ্যা এবং পরহস্তের ধন জীবনের প্রয়োজনীয় সময়ে অপ্রবহিত থাকে বিধায় এগুলো প্রকৃতপক্ষে কোন বিদ্যা বাঁধন নয়, বিদ্যা এবং ধনকে নিজের আয়ত্ত দেখে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারার মধ্যে রয়েছে প্রকৃত সার্থকতা প্রত্যেকটা শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য এই ভাব সম্প্রসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর উচিত এই ভাব সম্প্রসটি একবার হলেও দেখে নেওয়া। আর এজন্য আমাদের আজকের পোস্টটির সহায়তা নিতে পারেন। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।