আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটটি বেঁচে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমাদের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আমার বন্ধু শেখ রাসেল রচনাটি। সাধারণভাবে বলা যায় যে এই রচনাটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জাতীয় দিবসভিত্তিক বিভিন্ন দিনকে কেন্দ্র করে প্রতিযোগিতামূলকভাবে লিখতে দেওয়া হয় এবং এই রচনার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের মাঝে। তাই দেখা যায় যে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আমার বন্ধু শেখ রাসেল রচনাটি খুঁজে থাকেন।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে তারা সুন্দরভাবে সাজানো গুছানো তথ্যসমৃদ্ধ রচনা খুঁজে পায় না। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে যে কেউ যেন খুব সহজেই আমার বন্ধু শেখ রাসেল রচনাটি পেয়ে যায়, এজন্য আমাদের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে। এখান থেকে খুব সহজ এবং সাবলীল ভাবে শেখ রাসেল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি। আর এই তথ্যের মাধ্যমে আমার বন্ধু শেখ রাসেল রচনাটি লিখতে পারলে অনেক ভালো নম্বর অর্জন করা যাবে।
শেখ রাসেলের জন্মের ইতিহাস বড়ই সুন্দর। ১৯৬৪ সালের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ। দেশ তখন ভরা হেমন্তের গন্ধে আকুল হয়ে আছে। গ্রাম্য সভ্যতা ভিত্তিক আমাদের দেশের ঘরে ঘরে তখন নতুন ফসল তুলার আনন্দ। আর এমনই আনন্দের দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। তার জন্ম হয়েছিল বড় আপা শেখ হাসিনার ঘরে। সমগ্র বাড়ি জুড়ে সেদিন আনন্দের জোয়ার বয়ছিল। জন্মের কিছুক্ষণ পর শেখ হাসিনা এসে তার ওড়না দিয়ে ছোট ভাইয়ের ভেজা মাথা মুছে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। জন্মের সময় শেখ রাসেলের চেহারা ছিল স্বাস্থ্যবান। এ যেন পুরো বাঙালি জাতিরই আনন্দের একটি দিনের ঘটনা।
শেখ রাসেল হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর কনিষ্ঠ পুত্র। মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সেও নির্মমভাবে খুন হয়। কিন্তু জীবনের অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই শেখ রাসেল ওযে উঠেছিলেন বাঙালির পরম বন্ধু।
বাঙালি জাতির অন্দরমহল থেকে যুগে যুগে আবির্ভাব ঘটেছে অসংখ্য মহান ব্যক্তিত্বের। তাদের কাউকে বা আমরা যথাযথ সম্মান দিয়ে চিরকাল মনে রেখেছি, আবার অনেকেই হারিয়ে গেছেন কালের অতল গহ্বরে। তবে বাঙালি জাতি বর্তমানে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তার পেছনে কিছু না কিছু অবদান রয়েছে সেই সকল ব্যক্তিদের। তারা প্রত্যেকেই হয় তাদের জীবন দিয়ে নয়তো তাদের কর্ম দিয়ে বাঙালি জাতিকে যুগিয়ে দিয়েছেন মাথা তুঁলে দাড়ানোর রসদ। আর বাঙালি জাতির নেতা বললে যার কথাটি সর্বপ্রথম মাথায় আসে তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তারই অতি আদরের কনিষ্ঠ পুত্র হচ্ছেন শেখ রাসেল। যিনি মাত্র ১১ বছর বয়সে নির্মমভাবে কিছু বিপদগামী সেনাবাহিনীর হাতে খুন হন।
শেখ রাসেলের ছেলেবেলার বিভিন্ন ঘটনা রয়েছে। শোনা যায় মাত্র দুই বছর বয়সে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাবাকে দেখতে গেলে তিনি শেখ মুজিবুরকে দেখিয়ে দিয়ে তার আপাকে বলেছিলেন যে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে বাবা বলে ডাকতে পারবেন কিনা। এই অল্পবয়স্ক ছেলেটি তার জীবনের বেশিরভাগ অংশটুকুই কাটিয়ে দেয় তার মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে। মাত্র ১১ বছর বয়সে যখন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তখন তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
আর মাত্র ১১ বছর জীবন অতিবাহিতকারী শেখ রাসেল খুবই কম সময়ের মধ্যে বাঙালি জাতির পরম বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল এবং বন্ধু হয়ে পড়েছিলেন। তিনি হয়তো তার জীবন দশায় কর্মের মাধ্যমে বিশেষ কিছু করে যেতে পারেননি। কিন্তু এত কম বয়সেই বাঙ্গালি জাতির পরম বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। তার কথা বাঙালি জাতি কখনোই ভুলতে পারবে না। তাকে সব সময় মনে রাখবে।