বাংলা ব্যাকরণের একটি বিশেষ টপিক হচ্ছে অনুচ্ছেদ। কিন্তু দেখা যায় যে অনেকেই এই অনুচ্ছেদ লিখতে পারদর্শী হয় না। আবার অনুচ্ছেদ লেখে ভালো নম্বরও পায় না। তাই যারা অনুচ্ছেদ লিখে অনেক ভালো নম্বর পেতে চান, তাদের জন্য আজকের পোস্টটি ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে।
আবার অনেকে দেখা যায় যে অনেকে অনুচ্ছেদ বিষয়টি মুখস্ত করে। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে অনুচ্ছেদ মুখস্ত করে। কিন্তু নির্ধারিত মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে যদি অনুচ্ছেদ কমন না পড়ে তাহলে ঘাবড়ে যায়। অনেকেই আবার লিখতেও পারেনা। এজন্যও অনেকে পরিক্ষার খাতায় কম নম্বর পায়। তাই মুখস্ত না করে যে কোন বিষয় বুঝে বুঝে পড়া উচিত। তাহলেই যে কোন বিষয সম্পর্কে সুন্দরভাবে লিখা সম্ভব হবে।
আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে মূলত অনুচ্ছেদ নিয়ে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোষ্টের মাধ্যমে। আপনি কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? কিভাবে পরিক্ষার খাতায় লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এই নিয়ে চিন্তিত? আর কোন চিন্তার কারণ নেই, কারণ আমাদের এখান থেকে আপনি খুব সুন্দরভাবে এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখে বাঙালি জাতি ভাষা শহীদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য তাদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এই দিনটিতে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাঙালি সোনার ছেলেদের উপর গুলি চালায়। কারণ তারা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছিল। সেখানে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর অত্যাচার এবং গুলির আঘাতে শহীদ হয় সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকেই। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে এবং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এই দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
পৃথিবীতে একমাত্র বাঙালি জাতি আছে যে কিনা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। পৃথিবীর কোন জাতি এরকম ভাষার জন্য আন্দোলন করে নি আর জীবনও দেয়নি। তাই এভাবে বীরত্বের প্রমাণ দেওয়াটা বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের কাছে অবশ্যই গৌরবের একটি বিষয়। ১৯৫২ সালের পর থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস বা ভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কোর উদ্যোগে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আর তার পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে তা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পুরো বিশ্ব পালন করছেন। বাঙালি জাতি হিসেবে এই বিষয়টি আমাদের জন্য অবশ্যই অনেক গৌরবের একটি বিষয়।
ভাষা শহীদরা তাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাদের প্রতি অবশ্যই সব সময় সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এজন্যই বাঙালিরা প্রতিবছর তাদেরকে স্মরণ করে। বর্তমান সময়ে পুরা বিশ্ব এই দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করে এবং ভাষা শহীদদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য এই দিনটি উদযাপন করে। এ বিষয়টি একজন বাঙালি হিসেবে অবশ্যই আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয়। এগুলো হচ্ছে মূলত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পাশাপাশি বাংলাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দিবস টি পালনের মাধ্যমে বিশ্ববাসী অনুভব করতে সক্ষম হবে মাতৃভাষা একটি দেশের জাতিসত্তার প্রধান বিবেচ্য বিষয়। তাই যখনই তাদের মাতৃভাষার উপর কোন আঘাত আসবে, তখনই তারা আত্মপত্ময়ী হয়ে উঠবে তাদের মাতৃভাষা রক্ষার জন্য। একই সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলার ভাষা ও বাংলাদেশের নাম। সেই সাথে বাংলা দামাল ছেলেরা, যারা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন, তাদের কথা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং তারা তাদের মহাকীর্তির জন্য অমরত্ব লাভ করে বেঁচে থাকবে আজীবন।