আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিদিনের মতো আমরা আজকে হাজির হয়েছি ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য রচনাটি নিয়ে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে ৭ই মার্চের তাৎপর্য রচনাটি খুবই চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি কি এই রচনাটি খুঁজছেন? ৭ই মার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছেন বা আপনি এই রচনাটি লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে। আর তাই আপনি যদি ৭ ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য রচনাটি সম্পর্কে খুবই সহজ এবং সাবলীলভাবে চমৎকার ধারণা অর্জন করতে চান, তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি আপনি একটি সুন্দর ধারণা লাভ করতে পারবেন।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে কোন জাতি যখন প্রকৃতই কোন সংকটের মুখে পড়ে, তখনই ঠিক সে জাতির পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটে কোন না কোন মহাপুরুষের। আর বাংলাদেশের মানুষের কাছে এমনই একটি মহাপুরুষ হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ শতাব্দীর দ্বিতীয় অর্ধে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি যখন ভুগছে অস্তিত্ব সংকটে, তখনই বাঙালি জাতের পরিত্রাণের প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। মূলত তার অবদান বাঙালি জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির পিছনে তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। নানা কারণে তাকে তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই নির্জন কারাগারে কাটাতে হয়েছে। তবুও তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। অন্যায়- অত্যাচার মেনে নেননি। বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি বাঙ্গালীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে তিনি অসংখ্য অবদান রেখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান হলো ৭ই মার্চের দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ। যে ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শিখেছিল। আর নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিজ দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এদিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ লক্ষ জনতার শতস্ফূর্ত সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি ঘোষণা দেন, “ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ …….এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”
মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল দিক নির্দেশনা মূলক একটি ভাষণ। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে সতর্ক হতে বলেন এবং যুদ্ধের জন্য বা শত্রু বাহিনীকে মোকাবেলার জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে বলেন। তিনি বলেন যে তিনি যদি হুকুম দিতে নাও পারেন, তবুও বাঙালি যেন শত্রুদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। মূলত এই ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয় এবং নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসার টান অনুভব করতে থাকে। আর এভাবে দেশ প্রেমিক হয়ে দেশের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে প্রায় ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
বাঙালি জাতিকে এরকম জাতি হিসেবে পরিচিত করতে বঙ্গবন্ধু অসংখ্য অবদান রেখেছেন। আর তার ৭ই মার্চের ভাষণ বর্তমানে বিশ্ব স্বীকৃত। বাঙালি জাতি হিসেবে এরকম একজন নেতা পাওয়া আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয়।