স্বাধীনতা রচনা

স্বাধীনতা মানে মুক্তি। স্বাধীনতা মানে কারো অধীনতা নয়। স্বাধীনতা মানে মুক্ত আকাশ। তবে আমরা অনেকেই স্বাধীনতাকে অন্য অর্থে ব্যবহার করি বা স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারিনা। স্বাধীনতা মানে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করা হলেও এমন কাজ করা যাবে না, যা অন্যের ক্ষতি করতে পারে। অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে বা অন্যের কোন ক্ষতি না করে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করাই হচ্ছে স্বাধীনতা। তবে আমাদের নিজের স্বাধীনতা ভোগ করার যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনি অন্য কেউ তার স্বাধীনতা ভোগ করার জন্য সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।

নিজের স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করা যাবে না। এই বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত এই বিষয়গুলোই আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে স্বাধীনতা রচনাটি। স্বাধীনতা রচনার সম্পর্কে অনেকেই অনেক তথ্য জানতে চান। আবার এই রচনাটি লিখে পরীক্ষায় ভালো নম্বরও অর্জন করতে চান। আর তাই আপনারা যেন খুব সহজেই এই রচনা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যান এবং এ রচনাটি সম্পর্কে খুব সহজ ভাবে জানতে পারেন, এজন্য মূলত আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আশাকরি এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি হয়ে যাবেন। তবে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

বাংলা ব্যাকরণের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টপিক হচ্ছে রচনা লিখন। তবে অনেক শিক্ষার্থীই এ রচনার প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী হয়।না বা মনোযোগ দেয় না। আবার অনেকেই পরীক্ষার খাতায় ঠিকমতো রচনা লেখা উপস্থাপন করে না। এই বিষয়টি আসলে ঠিক নয়। কারণ রচনায় অনেক বেশি নম্বর থাকে। আর সুন্দরভাবে রচনা লিখতে না পারলে অনেক কম নম্বর পাওয়া যায়। আর এর ফলে সামগ্রিকভাবেই পুরো বিষয়টির রেজাল্ট খারাপ হয়ে যায়। তাই যারা বাংলা ব্যাকরণ বিষয়টিতে ভালো করতে চাই, তাদের অবশ্যই রচনাতে গভীর মনোযোগ দিতে হবে এবং সুন্দরভাবে রচনা পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে রচনায় ভালো নম্বর পাওয়া যাবে আর বাংলা ব্যাকরণেও ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হবে।

আবার যেকোন বিষয় পড়ার সময় অবশ্যই সেই বিষয়টির মূল বিষয়বস্তুগুলো ধারণ করার জন্য বুঝে বুঝে পড়তে হবে। আর যেকোনো বিষয়ে বুঝতে পারলে সেটি সম্পর্কে অনায়াসেই বিস্তারিত লেখা সম্ভব হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে না বুঝেই যে কোন বিষয় মুখস্ত করে। এর ফলে পরীক্ষার খাতায় ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনা। কেননা গ্রন্থগত বিদ্যা কখনো প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে না। এই বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিত। তাই আপনারা যারা না বুঝে যেকোনো বিষয়ে মুখস্ত করেন বা মুখস্ত করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের এখন থেকে মুখস্তের অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে বুঝে পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

আর স্বাধীনতা মানে এই নয় যে আমি অন্যের ক্ষতি করব আর নিজের যা ইচ্ছা তাই করব। অন্যের ক্ষতি করে বা অন্যের স্বাধীনতা হরণ করে নিজের ইচ্ছামত কাজ করা কখনো স্বাধীনতা হতে পারে না। কিন্তু এর বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত থাকি না। আর নিজের স্বাধীনতা ভোগ করার নামে আমরা অনায়াসে অন্যের ক্ষতি করে ফেলি, যা কখনো একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের করণীয় নয়। তাই আমাদের স্বাধীনতা ভোগের সময় তা যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয় এই বিষয়টি বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে। মূলত এই বিষয়গুলো স্বাধীনতা রচনাটির মূল বিষয়বস্ত। এগুলি পরীক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে লিখতে পারলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। স্বাধীনতা রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে আশা করছি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।