স্কুল লাইব্রেরি অনুচ্ছেদ

আমাদের ওয়েবসাইটটি বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমাদের পোস্টটিতে আলোচনা করেছি স্কুল লাইব্রেরি অনুচ্ছেদটি নিয়ে। অনেকে দেখা যায় স্কুল লাইব্রেরি অনুচ্ছেদটি খোঁজে৷ আপনি কি এই অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারি হতে পারে। কেননা আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি স্কুল লাইব্রেরি অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে খুবই সহজ আর সাবলীলভাবে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছি। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

স্কুল লাইব্রেরি অনুচ্ছেদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্থাৎ ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণিতে অনুচ্ছেদ বিষয়টি পড়ানো হয় না। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝে না৷ সাধারণত ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে অনুচ্ছেদ বিষয়টি পড়ানো হয়। তাই শিক্ষার্থীরা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতেই অনুচ্ছেদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা লাভ করে। তারপর আস্তে আস্তে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে অনুচ্ছেদ পড়ানো হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী এই অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝতে পারে না। তাই সবাই যেন খুব সহজেই অনুচ্ছেদ বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারে এবং অনুচ্ছেদ লিখে পরিক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে, এজন্য আমাদের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে স্কুল লাইব্রেরি অনুচ্ছেদটি নিয়ে।

প্রত্যেক স্কুলে বা বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি থাকাটা প্রয়োজন। লাইব্রেরির মাধ্যমেই মানুষ বিভিন্ন প্রকার বইয়ের সাথে পরিচিত হয় মানুষের জ্ঞানের পরিধি বিকাশের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু লাইব্রেরি যদি না থাকে, তাহলে মানুষ বিভিন্ন ধরণের বইয়ের সাথে পরিচিত হবে না। মানুষের সামনে যদি বই সহজলভ্য হয়, তাহলে মানুষ বই পড়তে আগ্রহী হবে। আর বইয়ের সহজলভ্যতা তৈরি করার জন্য সম্ভব লাইব্রেরি স্থাপনের মাধ্যমে। তাই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উপর সবারই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ছাত্র জীবন থেকে যদি বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা যায়, তাহলে সেই ব্যক্তি বড় হয়েও বই পড়ার প্রতি আগ্রহী থাকে। আর শুধুমাত্র পাঠ্য বই পড়ার মাধ্যমে কখনো শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ জ্ঞানের বিকাশ সাধন করা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে তুলতে হবে৷ আর বিভিন্ন ধরণের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা অত্যাত্য জরুরি। স্কুলে যদি লাইব্রেরি থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় লাইব্রেরিতে যাবে আর বিভিন্ন ধরণের বই দেখবে। সেখান থেকে তারা পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ার জন্য আগ্রহী হবে। এভাবে আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।

যে জাতি যত বেশি বই পড়ে, সে জাতি তত বেশি উন্নত। সে জাতির জ্ঞানের পরিধি তত বেশি গভীর। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই একমাত্র জায়গা, সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরণের জ্ঞান লাভ করে। তাই স্কুল লাইফে যদি স্কুল লাইব্রেরির মাধ্যমে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়, তাহলে পরবর্তী জীবনে অনেক ভালো বই পড়ুয়া হওয়া যায়। আর এভাবে নিজের জ্ঞানের পরিধি যেমন বৃদ্ধি পায়। তেমনিভাবে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপায় পাওয়া যায়। তাই নিজের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য নিজের স্বার্থে তো বই পড়তেই হবে। সেই সাথে সাথে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্যও বই পড়া দরকার। আর এজন্য চাই লাইব্রেরি।

প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জীবনে স্কুল লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এখান থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরণের বইয়ের সাথে পরিচয় লাভ করে। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ এবং তাদের জ্ঞানের পরিধি আরো বৃদ্ধি করার জন্য প্রত্যকটা স্কুলে স্কুল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এজন্য প্রতিটি স্কুলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের সকলকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আর সাথে সাথে সরকারেরও উচিত প্রতিটি স্কুলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। তাহলেই প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব হবে।