আমাদের ওয়েবসাইটটি বেঁছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে। মূলত সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই এই ভাব সম্প্রসারণটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোষ্টের মাধ্যমে।
অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ পুরা পেজ ভর্তি করে লিখে এবং এখানে কোন পয়েন্ট বা প্যারা দেয় না। এর ফলে অনেক সময় দেখা যায় যে বেশি লিখেও ভালো নম্বর পাওয়া যায় না। কারণ একটি খাতা সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য এবং একটি লিখা পারফেক্ট ভাবে উপস্থাপন করার জন্য অবশ্যই হাতের লেখা সুন্দর হওয়াটা খুবই দরকারি। তাই আপনি চাইলেই আপনার হাতের লেখাটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারবেন।
আর সেই সাথে সাথে লেখাটা হতে হবে প্যারা প্যারা আকারে এবং পয়েন্ট দিলে সেই লেখাটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। আর সাধারণত ভাব সম্প্রসারণ কে তিনটি পয়েন্টের মাধ্যমে লিখা সম্ভব হয়। যেমন প্রথমত মূলভাব, দ্বিতীয়ত ভাব সম্প্রসারণ বা সম্প্রসারিত ভাব, এবং তৃতীয়তঃ মন্তব্য। এভাবে পয়েন্ট করে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়।
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই এই ভাব সম্প্রসারণটি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে এইচএসসি পরীক্ষার্থী পর্যন্ত এই ভাব-সম্প্রসারণটি অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী পর্যন্ত প্রতিটা ক্লাস এই পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাব সম্প্রসারণ থাকে। আর প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর এই ভাব সম্প্রসারণ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা দরকার। এই ভাব সম্প্রসারণটা একবার বুঝতে পারলে মাথায় গেঁথে যাবে এবং আপনি পরীক্ষায় খুব সুন্দর ভাবে লিখতে পারবেন। আর সুন্দর ভালো নম্বর পাবেন। তাই আপনারা অবশ্যই পরিশ্রম সৌভাগ্যের সম্প্রসারণ দেখা দরকার। অন্ততপক্ষে পরীক্ষার আগের দিন হলেও ভাব সম্প্রসারণ দেখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আসলে সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই এই ভাব সম্প্রসারণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের মতো বুদ্ধিমান জীব আর কোনটি নেই৷ তাই সৃষ্টিকর্তাই মানুষকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। তাই সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষকে অবশ্যয় সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা প্রয়োজন।সেই সাথে সাথে সৃষ্টিকর্তার অন্যান্য সৃষ্টিরও সেবা করা উচিত। এ বিষয়গুলো মূলত বোঝানো হয়েছে এই ভাব সম্প্রসারণটির মাধ্যমে। এই মূল বিষয়টি বুঝরে যে কেউ খুব সহজেই এই ভাব সম্প্রসারণটি আয়ত্ত্ব করতে পারবেন।
একজন মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো সে একজন মানুষ। সে যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সে যে জাতের ই হোক না কেন বা যে ধর্মেরই হোক না কেন তার মানুষ হিসেবে যে পরিচয়, সেটি তার সবচেয়ে বড় পরিচয়। এর উপরে আর কোন পরিচয় থাকতে পারে না। জগতের সর্বত্র বিভিন্ন নীতি-আদর্শ আর বিধি নিষেধের বেড়াজালে মানব জীবন জড়িয়ে আছে। সভ্যতার কোন এক সময় মানুষ ছিল প্রকৃতির দাস ছিল। আর বর্তমানে এই দাস প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলছে।
মানুষের আছে অপূর্ব উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও অপরিসীম ইচ্ছাশক্তি। আর সেই অপরিসীম ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আর জল, স্থল, অন্তরীক্ষে উড়িয়েছে তার বিজয় পতাকা। মানুষের শক্তি, জ্ঞান ও কাজের সীমা অফুরন্ত। এই যে আধুনিক সভ্যতা, এইতো বিজ্ঞানের এই যে নব নব আবিষ্কার মানুষেরই আবিষ্কার।
মানুষ অসম্ভবকে করেছে সম্ভব। দূর কে করেছে নিকট। মানুষ মহাশূন্যের রহস্য উদঘাটনের জন্য সদা ব্যাপীত। সহজ থেকে আরও সহজতর জীবন প্রণালী খুঁজে নেওয়ার জন্য সে সদা তৎপর। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে মানুষ নিজেকে জাহির করার জন্য যতটা তৎপর পরকে আপন করার জন্য ততটা তৎপর নয়। মানুষে মানুসে ভেদাভেদ আজ নিত্য সঙ্গী, যা কখনো কাম্য নয়। এই ভাব সম্প্রসারণটি দ্বারা মূলত এই বিষয়গুলোই বুঝানো হয়েছে।