সঙ্গদোষে লোহা ভাসে ভাব সম্প্রসারণ

আজকের পোস্টটিতে মূলত সঙ্গদোষে লোহা ভাসে এই ভাব সম্প্রসারণটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর কিভাবে লিখলে ভাব সম্প্রসারণটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে আর কম সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যাবে, সেই সমস্ত নিয়মে আজকের পোস্টটি সাজানো-গোছানো আছে।

কথাই বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ কথাটি প্রবাদ হলেও সত্য কথা। সৎ গুনের প্রভাব অনস্বীকার্য। লোহা ওজনে ভারী। তাই লোহা পানিতে রাখলে ডুবে যাবে। কিন্তু সেই লোহা যদি এক খন্ড কাঠের উপরে রাখা যায়, তবে সেই লোহা কাঠের সাথে থেকে পানির উপরে ভাসবে। মানুষের মধ্যেও এই সৎ সঙ্গের প্রভাব বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। সঙ্গ দোষে মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। খারাপ সঙ্গীদের সাথে মিশলে মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে খারাপ আচার আচরণ শিখে যায়। আবার ভালো সঙ্গীদের সাথে মিশলে দেখা যায় যে একজন ব্যক্তি যদি খারাপ থাকে, তবে সেও ভালো হয়ে যায়। এ বিষয়টি মূলত আজকের ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়বস্তু। একটি ভাব সম্প্রসারণ এর মূল বিষয়বস্তু বুঝতে পারলে সে যে ভাব সম্প্রসারণটি অনায়াসে লেখা সম্ভব হয়।

অনেক সময় দেখা যায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ভাব সম্প্রসারণ পুরা পেজ ভর্তি করে লিখে এবং এখানে কোন পয়েন্ট বা প্যারা দেয় না। এর ফলে অনেক সময় দেখা যায় যে বেশি লিখেও ভালো নম্বর পাওয়া যায় না। কারণ একটি খাতা সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য এবং একটি লিখা পারফেক্ট ভাবে উপস্থাপন করার জন্য অবশ্যই হাতের লেখা সুন্দর হওয়াটা খুবই দরকারি। তাই আপনি চাইলেই আপনার হাতের লেখাটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারবেন।

আর সেই সাথে সাথে লেখাটা হতে হবে প্যারা প্যারা আকারে এবং পয়েন্ট দিলে সেই লেখাটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। আর সাধারণত ভাব সম্প্রসারণ কে তিনটি পয়েন্টের মাধ্যমে লিখা সম্ভব হয়। যেমন প্রথমত মূলভাব, দ্বিতীয়ত ভাব সম্প্রসারণ বা সম্প্রসারিত ভাব, এবং তৃতীয়ত মন্তব্য। এভাবে পয়েন্ট করে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। তাই আপনি ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য পুরো পেজ ভর্তি করে লিখার চেয়ে প্যারা আকারে লিখতে পারেন। তাহলে ভালো নম্বর পাবেন।

আসলে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে এই ভাব সম্প্রসারণটি প্রত্যেকটা শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর উচিত একবার হলেও এই ভাব সম্প্রসারণটি দেখা। মানুষ এমন একটি প্রাণী যে যেমন মানুষের সাথে মিশে, সে সেরকম মানুষের গুণাবলি অর্জন করে। যদি ভালো বন্ধুর সাথে বা মানুষের সাথে মিশে তাহলে সে আস্তে আস্তে ঐ ভালো মানুষটির গুণাবলি নিজের মধ্যে নিয়ে নিতে পারবে।

কিন্তু বন্ধু যদি খারাপ মানসিকতার হয়। তাহলে খারাপ মানুষটির সাথে মিশতে মিশতে এক সময় তার মধ্যেও খারাপ মানসিকতা তৈরি হয়। তাই বন্ধু নির্বাচনে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে৷ আর অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে৷ তা নাহলে নিজের মানসিকতাও অসৎ বন্ধুটির মতো হবে। এই বিষয়টিই মূলত এই ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়। এই মূল বিষয়টি বুঝতে পারলেই এই ভাব সম্প্রসারণটি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।

ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ধারণা লাভ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে। তারপর আস্তে আস্তে ভাব সম্প্রসারণে দক্ষ হয়ে ওঠে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায যে শিক্ষার্থীরা না বুঝে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। আর না বুঝে মুখস্ত করার ফলে ঠিক মতো মনে রাখতে পারে না। আবার পরিক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে ভূলে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় মুখস্ত করা নির্দিষ্ট বিষয়গুরোর মধ্যে যদি পরিক্ষায় না আসে, তাহলে অনেক শিক্ষার্থী লিখতে পারে না। এজন্য পরিক্ষার খাতায় ভালো নম্বরও পায় না৷। তাই যে কোন বিষয় না বুঝে মুখস্ত করার কোন যুক্তিকতা নেই।