সংকল্প করেছ যাহা, সাধন করহ তাহা, রত হয়ে নিজ নিজ কাজে ভাবসম্প্রসারণ

প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব একটা লক্ষ্য থাকে। সেই লক্ষ্য পৌঁছানোর জন্যই মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে যায়। আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে একসময় তার লক্ষ্যে মানুষ ঠিকই পৌঁছে যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে মানুষের মন সেই কঠোর পরিশ্রম থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বা সফল না হলে হতাশ হয়ে যেতে পারে। তখন মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে যায় এবং সফলতার পথে বাধার সৃষ্টি হয়।

তাই সফল হতে হলে বা স্মরণীয়, বরণীয় হতে হলে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং সেই পরিশ্রমের পিছনে লেগে থাকতে হবে। কোনভাবে ছিটকে পড়া যাবে না। যা সংকল্প করা হয়, তা পালন করতেই হবে। তাহলে বরণীয় ও স্মরণীয় ব্যক্তিদের মতো কীর্তিমান হওয়া সম্ভব হবে।

বাংলা ব্যাকরণ সাবজেক্টটা পড়তে অনেকেই পছন্দ করে। আর ভাব সম্প্রসারণ হলো বাংলা ব্যাকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এই ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হয়। আর ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা লাভ করে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। আর ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আস্তে আস্তে সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে ধারাবাহিকভাবে এই ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হয়।

তবে অনেক শিক্ষার্থী ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না। আসলে ভাব সম্প্রসারণ খুবই সহজ বিষয়। ভাব সম্প্রসারণ লিখে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। কিন্তু ভাব সম্প্রসারণ হতে হবে অবশ্যই সাজানো গোছানো। আর ভাব সম্প্রসারণ লেখায় মূল বিষয়গুলো থাকতে হবে। মূল বিষয়গুলো না থাকলে কোনভাবে ভাব সম্প্রসারণ নম্বর তোলা সম্ভব হয় না।

লক্ষ্য করা যায় যে কিছু কিছু শিক্ষার্থী অনেক ভালো পড়াশোনা করেও অনেক সময় ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। তার অন্যতম কারণ হলো তারা হয়তো বুঝে বুঝে না পড়ে মুখস্ত করে এবং মুখস্ত করার বিষয়গুলো পরীক্ষায় না আসলে ঘাবড়ে যায় এবং লিখতে পারে না। আর এর জন্য পরীক্ষায় ভালো নম্বরও পায় না। আবার অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনেক পড়াশুনা করে, কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু তারপরেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারেনা। এর অন্যতম আরেকটি কারণ হতে পারে তারা পরীক্ষায় ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেনা।

যেকোনো বিষয়ে শুধু পড়লেই হবে না, সেগুলো বুঝে মাথায় রাখতে হবে এবং পরীক্ষার খাতা ঠিকমত উপস্থাপন করতে হবে। কেননা পরীক্ষার খাতায় ঠিকমতো উপস্থাপন করতে না পারলে যতই পরিশ্রম করা যাক না কেন তার ফল কোন ভাবে লাভ করা সম্ভব নয়। তাই কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি খাতায় লিখার কৌশল গুলো শিখতে হবে। তাহলে দেখা যাবে যে পরিশ্রম করলেই ভালো নম্বর পরীক্ষায় পাওয়া যাবে ভালোভাবে খাতায় উপস্থাপনের মাধ্যমে।

সংকল্প করেছ যাহা, সাধন করহ তাহা, রত হয়ে নিজ নিজ কাজে এই ভাব সম্প্রসারণ সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাব সম্প্রসারণ। তাই সব শিক্ষার্থীদের উচিত একবার হলেও এই ভাব সম্প্রসারণটি পড়ে রাখা এবং বুঝে রাখা। তাহলে যেকোনো পরীক্ষার খাতায় তারা বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবে বা লিখতে পারবে। এর ফলে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব হবে। তাই একবার হলেও সবাই চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।

আসলে প্রত্যেকটা মানুষের উচিত যে কাজের জন্য সংকল্প করে, সেই কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য সাধনা করা, পরিশ্রম করা, তাহলেই নিজে যেমন সফল হওয়া যাবে, তেমনি দেশ ও জাতির উপকার করাও সম্ভব হবে। যে কোন শিক্ষার্থী যেন খুব সহজেই এই ভাব সম্প্রসারণটি পেয়ে যায় এবং পড়তে পারে। আর এই ভাব সম্প্রসারণ কিভাবে উপস্থাপন করতে হবে এই বিষয়টি শিখে নিতে পারে তা মাথায় রেখেই আজকের পোস্টটি বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। এখান থেকে আপনি এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে আশা করছি।