আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমাদের পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে শিশুশ্রম অনুচ্ছেদটি। এখান থেকে আপনি শিশুশ্রম অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন বলে আশা করছি। কেননা এই পোস্টটিতে খুবই সহজ এবং সাবলীলভাবে শিশুশ্রম অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী শিশুশ্রম অনুচ্ছেদটি খুঁজে থাকে। কিন্তু খুব সহজভাবে কিভাবে উপস্থাপন করা যাবে বা কিভাবে লিখলে পরিক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এই বিষয়টি অনেকেই জানে না। আবার অনেকেই অনুচ্ছেদ বিষয়টি ঠিকমতো বুঝতে না পেরে মুখস্ত করে। আবার কেউ কেউ কঠিন ভেবে পড়ে না। এর ফলে পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। কিন্তু অনুচ্ছেদ আসলে তেমন কঠিন বিষয় না। আবার এটা মুখস্তেরও কোন বিষয় না। বুঝে বুঝে পড়লে যেকোন অনুচ্ছেদই সুন্দরভাবে লিখা যায়। আর ভালো নম্বরও পাওয়া যায়।
তবে অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝতে না পেরে মুখস্ত করে। এর ফলে মুখস্ত নির্দিষ্ট বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে পরিক্ষায় না এলে লিখতে পারে না। তাই সবার কথা মাথায় রেখে যেন মুখস্তের ঝামেলা ছাড়ায় খুব সহজভাবে যেন সবাই শিশুশ্রম অনুচ্ছেদটি আয়ত্ব করতে পারে এবং এভাবে পরিক্ষার খাতায় উপস্থাপন করে ভালো রেজাল্ট করতে পারে, এজন্য আমাদের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে।
শিশুকাল অতিক্রমের আগে অর্থের বিনিময়ে বা বিনা বেতনে কেউ কায়িক শ্রমে নিয়োজিত হলে তাকে শিশুশ্রম বলে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংখ্যা এই ধরণের শ্রমকে শোষন বলে বিবেচনা করে। বহুদেশে এটিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং আমাদের দেশেও শিশুশ্রমকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শিশুশ্রমকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে ১২ই জুন বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়। মূলত অস্বচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা শিশুশ্রমের সাথে নিয়োজিত৷
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে গ্রেট ব্রিটেনে সর্বপ্রথম শিশুশ্রম একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহৃিত হয়। ২০০৬ সালের শিশু সনদে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের শ্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবুও থেমে নেই শিশুশ্রম। লেখা পড়ার খরচ না দিতে পারা, সংসারের অস্বচ্ছতা পিতা-মাতাকে বাধ্য করে শ্রমে নিযুক্ত করতে। শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে৷
একটি দেশের গুণগত ও টেকশন উন্নয়নের লক্ষ্যে যে সকল বিষয়ক গুরুত্ব দেওয়া হয় তার মধ্যে শিশশ্রম কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের মাঝে সুপ্ত থাকে অমিত সম্ভাবনা।আজকের শিশুই আগামী দিনের কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ,, অর্থনীতিবিদ বা শিক্ষাবিদ। ভবিষ্যতের কর্ণধার এই শিশুদের নির্ঝঞ্বাট ও মসৃণ পথচলা নিশ্চিত করতে পারলেই একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনের পথ অনেকটা সুগম হয়।
তাই রাষ্ট্র, সমাজ ও সুযোগ থাকলে ব্যক্তি উদ্যোগে শিশুশ্রম বন্ধে তৎপর হওয়া জরুরি। শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে ও তাদের বিকাশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তবেই আজকের শিশু আগামীর সম্পদে পরিণত হবে। শিশুশ্রম রোধে আমাদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে৷ শিশুদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষা সামগ্রী সহজলভ্য করতে হবে। গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করকে হবে।
শিশুশ্রম রোধ করে শিশুদের স্কুলমুখী করতে পারলে এবং বিভিন্ন কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলেই এই বিশার জনসমষ্ঠিকে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব হবে। শিশুদের সুন্দর আগামী গড়তে তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে সরকারকেও বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নিতে হবে। শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সাথে সকলের সচেতনাপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।তাহলেই শিশুশ্রম রোধের পাশাপাশি শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।