আমাদের ওয়েবসাইটটি বেঁছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে। মূলত রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে ভাব সম্প্রসারণটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোষ্টের মাধ্যমে। আপনি কি রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে ভাব সম্প্রসারণটি খুঁজছেন? কিভাবে পরিক্ষার খাতায় লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এই নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন।
এই ভাব সম্প্রসারণের মাধ্যমে মূলত বোঝানো হয়েছে যেকোন বিপদ বা দুঃখের পরেই সুখ আসে। যেমন রাত যত বেশি গভীর হয়, প্রভাত তত বেশি সন্নিকটে আছে। তাই যেকোন বিপদে ধৈর্যহারা হলে চলবে না। হতাশ হওয়া যাবে না । ধৈর্য ধারণ করে বিপদকে মোকাবেলা করতে পারলেই সফলতা আসবে। এভাবেই ভাব সম্প্রসারণ লিখতে হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকেই ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি বুঝতে পারেনা। ভাব সম্প্রসারণ লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না। আবার কেউ কেউ দেখা যায় যে না বুঝে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে আর মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্য থেকে পরীক্ষায় না আসলে পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারে না বা ঘাবড়ে যায়। এর ফলেও পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না।
ভাব সম্প্রসারণ হলো বোঝার ব্যাপার। ভাব সম্প্রসারণ বুঝে যদি খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, তবে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব। তাই কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ উপস্থাপন করা যায় এবং কিভাবে লিখলে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করা যায় আর পরীক্ষার খাতায়ও না মুখস্ত করে লিখে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব, এরকম সব আকর্ষণীয় নিয়মের মাধ্যমে সাজানো গুছানো হয়েছে আজকের পোস্টটি। আপনি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে দারুন কিছু শিখতে পারবেন বলে আশা করছি।
সাধারণত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ এর সাথে প্রাথমিকভাবে পরিচিত হয় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। আর এভাবে আস্তে আস্তে ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীর ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি বুঝতে পারে না। আর না বুঝতে পারার কারণে এই ভাব সম্প্রসারণ লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারেনা। এর ফলে দেখা যায় যে তার রেজাল্টটা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ভাব সম্প্রসারণ যদি বুঝে বুঝে পড়া যায়, তাহলে ভাব সম্প্রসারনে অনেক ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব। তাই ভাব-সম্প্রসারণ পড়ার সময় অবশ্য মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। তাহলে সেই ভাব সম্প্রসারণটি আয়ত্ত্বে চলে আসবে এবং যেকোনো সময় ওই ভাব সম্প্রসারনটি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা সম্ভব হবে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ না বুঝে মুখস্ত করে। কিন্তু পরীক্ষায় যদি সেই মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে না আসে, তাহলে আর লিখতে পারে না। আর এর ফলেও কোন ভাবে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায় না। তাই মুখস্ত করার বিষয়টি ছেড়ে দিতে হবে এবং কেননা যে কোন বিষয়ে খাতায় ভালোভাবে উপস্থাপন করতে না পারলে সে বিষয়ে কখনোই ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হয় না।
রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে এই ভাব সম্প্রসারণটি দ্বারা মূলত বুঝানো হয়েছে যে বিপদের পরে আসে সুখ। কষ্ট এবং পরিশ্রমের পরেই সফলতা এবং সুখ লাভ করা যায়। তাই যত কঠোর পরিশ্রম করা যায়, তত ভালোভাবে সফলতা অর্জনের পথ সুগম হয়ে যায়। তাই শুধু কষ্টের দিকে তাকালেই হবে না, কষ্টের পরে যে সুখ আসবে এই প্রত্যাশাটি রাখতে হবে এবং পরিশ্রম করে যেতে হবে। তাহলে একসময় সফলতা লাভ করা যাবে। মূলত এই ভাব সম্প্রসারণটি দ্বারা এই বিষয়টি বুঝানো হয়েছে।