বাংলা ব্যাকরণের একটি বিশেষ টপিক হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। কিন্তু দেখা যায় যে অনেকেই এই ভাব সম্প্রসারণ লিখতে পারদর্শী হয় না। আবার ভাব সম্প্রসারণ লেখে ভালো নম্বরও পায় না। তাই যারা ভাব সম্প্রসারণে অনেক ভালো নম্বর পেতে চান, আবার অনেক ভালো মাধ্যমে এই নাম্বারটা অর্জন করতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটির ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে।
আজকে আমাদের বিষয় হলো ভাব সম্প্রসারণ। অনেকেই দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি বুঝতে পারেনা। ভাব সম্প্রসারণ লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না। আবার কেউ কেউ দেখা যায় যে না বুঝে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে আর মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্য থেকে পরীক্ষায় না আসলে পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারে না বা ঘাবড়ে যায়। এর ফলেও পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না।
ভাব সম্প্রসারণ হলো বোঝার ব্যাপার। ভাব সম্প্রসারণ বুঝে যদি খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, তবে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব। তাই কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ উপস্থাপন করা যায় এবং কিভাবে লিখলে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করা যায় আর পরীক্ষার খাতায়ও না মুখস্ত করে লিখে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। এরকম সব আকর্ষণীয় নিয়মের মাধ্যমে সাজানো গুছানো হয়েছে আজকের পোস্টটি। আপনি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে দারুন কিছু শিখতে পারবেন বলে আশা করছি।
আমাদের আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে মূলত বিশ্রাম কাজের অঙ্গ একসাথে গাঁথা, নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা এই সম্প্রসারণটি নিয়ে। শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ এর সাথে পরিচিত হয় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। আর দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয় এই ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি। আর এই ভাব সম্প্রসারণটি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাব সম্প্রসারণ। তাই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর এই ভাব সম্প্রসারণ একবার হলেও দেখে নেওয়া নেওয়া উচিত। তাহলে এই ভাব সম্প্রসারণটি সম্পর্কে একটা বিশদ ধারণা পাওয়া যাবে।
মূলত একটানা শুধু কাজ করলে হবে না, বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। বিশ্রাম না নিলে কোন কাজের মাধ্যমে আনন্দ পাওয়া যায় না। আর আনন্দের মাধ্যমে কাজ না করলে সেই কাজের সফলতা লাভের সম্ভাবনা খুব কম থাকে। তাই বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা আছে।
যেরকম চোখের সাথে চোখের পাতার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য, সেরকমভাব কাজেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো বিশ্রাম। তাই অবশ্যই যে কোন কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিতে হবে এবং আনন্দের সাথে কাজটা করতে হবে। তাহলে সে কাজে সফলতা পাওয়া যাবে আর সেই কাজটি করেও আনন্দ পাওয়া যাবে। মূলত এই ভাব সম্প্রসারণ এর দ্বারা এই বিষয়টি বুঝানো হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কে ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ এর সাথে পরিচিত হয় ষষ্ঠ শ্রেণীতে। আর এই ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধরনের ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো এবং শিখানো হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ ঠিক মতো বুঝতে পারে না।
আর না বুঝতে পারার কারণে অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে না বুঝেই। এর ফলে যে বিষয়গুলো সে পড়েছে সে বিষয়গুলোর মধ্যে যদি পরীক্ষায় না আসে, তাহলে সে কিছুই লিখতে পারে না। এরফলে দেখা যায় অনেক সময় অনেক পরিশ্রম করার পরও শিক্ষারর্থীরা ভালো সিদ্ধান্ত রেজাল্ট করতে পারে না। তাই অবশ্যই কোন বিষয় পড়ার সময় বুঝে নিতে হবে যেন সে বিষয়টি সম্পর্কে যেকোনো সময় বিস্তারিত লিখতে পারা যায়। আজকের পোস্টের মাধ্যমে এ ভাব সম্প্রসারণটি সম্পর্কে খুবই চমৎকার একটি ধারণা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।