আজকে আমাদের ওয়েবসাইটিতে আলোচনা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে। এখান থেকে যে কেউ বিশ্বিবদ্যালয় অনুচ্ছেদ সম্পর্কে খুব সহজ এবং চমৎকার ধারণা নিতে পারবে বলে আশা করছি।
উচ্চশিক্ষা দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করে৷ জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনে নাগরিকের জ্ঞান ও দক্ষতায় উচ্চ শিক্ষার বিকল্প যে কিছু নেই সেটা তর্কাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত। দেশে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাস্তরের প্রতিটি ধাে উত্তীর্ণ হয়ে একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা। সেটা হতে পারে দেশে কিংবা বিদেশে। আর এই উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হলো বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় উচ্চশিক্ষা লাভের একমাত্র ক্ষেত্র ছিল আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত ৬ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতা – পরবর্তী বাংলাদেশের ৫০ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে মোট ৫০ টি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট – ১৯২২ পাশ হওয়ার পর দেশে বেসরকারি উদ্যোগে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের সুযোগ তৈরি হয়।
বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৮ টি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩টি। বর্তমান সময়ে ক্রমশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় একদি দেশের দর্শন। কারণ, এখানে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করা হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যতটা জ্ঞান ও মুক্তিবুদ্ধির চর্চা হওয়ার কথা ছিল তার তুলনায় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র রাজনীতি, মাদক, গ্রুপিং, র্যাগিং ইত্যাদি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা খুব একটা প্রায়োগিক নয়। কর্মজীবনে এসব শিক্ষা ফলপ্রসু হয় না। তাছাড়া বর্তমানে বিজ্ঞান ও কারিগরি প্রযুক্তির বিশ্বে বাস্তব, কর্মমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন গবেষণাগারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু টরিবেশ ও তদারকির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হতে হবে উৎপাদনমুখী, বাজার চাহিদা ও প্রযুক্তিমুখী। এজন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন কাঠামো ও মান নিয়ন্ত্রণ যথাযথভাবে করতে হবে। তা না হলে কোন ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা সূদুর প্রসারী হবে না।
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মানেই ভালো একটা চাকরি পাওয়া যাবে বা ভালো কিছু করা যাবে এমনটা না। বিশ্ববিদ্যালয় আসলে প্রকৃতপক্ষে কিছু দিবে না৷ যা কিছু পাওযার তা নিজেকেই অর্জন করতে হবে৷ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকচিক্যে না ভূলে পরিশ্রমী হতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের দ্বারায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব। তাই সফলতা না পাওয়া পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। কেননা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে থাকলে কখনো ভালো কিছু করা যাবে না। তাই নিজের উপর নিজের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে এবং নিজের সাথে নিজের সংগ্রাম চালিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
এই বিষয়গুলোই মূলত বিশ্ববিদ্যালয় অনুচ্ছেদের মূল অংশ বলা যায়। অনেকেই দেখা যায় অনুচ্ছেদ বিষয়টিকে অনেক কঠিন মনে করে। আবার অনেকেই অনুচ্ছেদ বিষয়টিকে মুখস্ত করে। কিন্তু অনুচ্ছেদ আসলে মুখস্তের কোন বিষয় নয়। আবার কঠবন বিষয়ও নয়। অনুচ্ছেদ খুবই সহজ একটি টপিক। তবে যেকোন অনুচ্ছেদ পড়ার সময় মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। আর অনুচ্ছেদের মূল বিষয়গুলো বুঝতে পারলে এবং সেগুলো পরিক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।
আর তাই অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর পেতে হলে মুখস্ত করার অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে আর বুঝে বুঝে পড়তে হবে। কেননা যদি মুখস্ত করা হয়, আর মুখস্তকৃত বিষয়গুলোর মধ্যে যদি পরিক্ষায় না আসে তাহলে লিখা যাবে না। আর গ্রন্থগত বিদ্যা কখনো বাস্তব জীবনে কাজে আসে না। আসে গ্রন্থগত বিদ্যা অর্জনের অভ্যাস পরিহার করতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় অনুচ্ছেদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। তাই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী যেন খুব সহজেই এই অনুচ্ছেদটি বুঝতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখেই আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে। এই পোস্টের দ্বারা আপনি উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।