আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমাদের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে। আপনি কি এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে চান? কিভাবে পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করলে এই অনুচ্ছেদটিতে আপনি ভালো নম্বর অর্জন করবেন এটা জানতে চান ? তাহলে এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্যই!
পয়লা বৈশাখ হল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। যা কিছু জীর্ণ, পুরনো, অশুভ ও অসুন্দর, তা পিছনে ফেলে নতুন একটি কেতন উড়িয়ে বাঙালি বর্ণের উৎসবের মাধ্যমে বরণ করে নেয় এই দিন। বাংলাদেশে এই উৎসব খ্রিস্টীয় এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে উদযাপিত হয়। এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় উৎসব। পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোন না কোন ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে ধর্মীয় অনুসঙ্গ নেই। ধর্ম- বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকল বাঙালি এই উৎসব উদযাপন করে থাকে। সে হিসেবে এটি বাংলাদেশের একটি সর্বজনীন লোক উৎসব।
একটি অসাম্প্রদায়িক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক দেশ গঠনে পহেলা বৈশাখের ভূমিকা রয়েছে। সম্রাট আকবরের নির্দেশে জ্যোতির্বিদ ফতেহ্উল্লাহ সিরাজী বাংলা সনের প্রবর্তন করেন।
অনেক স্টুডেন্ট কে দেখা যায় যে অনুচ্ছেদ বিষয়টি না বুঝে মুখস্ত করে। এর ফলে যদি পরীক্ষায় সে মুখস্ত বিষয়গুলো না আসে তাহলে সে লিখতে পারে না বা হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু অনুচ্ছেদ আসলে মুখস্ত করার কোন বিষয় নয়। অনুচ্ছেদ মূলত বোঝার বিষয়। বুঝতে পারলে যেকোন ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত ছাড়াই লেখা যাবে খুবই সহজে। তাই যেকোনো অনুচ্ছেদে সুন্দর মার্কস তুলতে আপনাকে অবশ্যই সেই অনুচ্ছেদটির মূল বিষয়বস্তুটা বুঝতে হবে। কেননা মূল বিষয়টি না বুঝতে পারলে আপনি যতই মুখস্ত করেন না কেন আপনার ব্রেনে কখনো সেটা গেঁথে থাকবে না।
অনুচ্ছেদ খুবই সহজ একটি বিষয়। এখানে মুখস্ত করার কিছু নাই। অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝার বিষয়। বুঝতে পারলে যে কোন সময় অনুচ্ছেদ অনায়াসেই বিস্তারিত লেখা যায়। তবে হাতের লেখাটা সুন্দর হওয়া দরকার। হাতের লেখা সুন্দর হলে এবং খাতায় সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে অনুচ্ছেদ লিখে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যায়। তাই হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার দিকে এবং উপস্থাপন পদ্ধতিটার দিকে মনোযোগী হওয়া দরকার। তাহলে এই অনুচ্ছেদ লিখে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালি জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী দিন। এই দিনটি বাঙালি জাতি অনেক উৎসব- উদ্দীপনার মাধ্যমে পালন করে। প্রাচীন কাল থেকেই বাংলা নববর্ষ উদযাপনের রীতি বাঙ্গালীদের মধ্যে প্রচলিত আছে। আর সেই প্রাচীনকাল থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে বাঙালি জাতি। সাধারণত বাংলা সনের পহেলা বৈশাখ তারিখে বাংলা নববর্ষের উৎসব উদযাপন করা হয়। এই দিনে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়। আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে দেশীয় নানা রকমের সংস্কৃতির চর্চা করা হয় এবং বিভিন্ন গান -বাজনার আয়োজন করা হয়। বাংলা নববর্ষ মূলত বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যবাহী একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ধারণ করে। তাই নববর্ষের দিনটা গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। তাই তারা বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উদযাপন করে এবং নিজেদের মধ্যে আনন্দ করে। মূলত বাংলা নববর্ষ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই বিষয়গুলোই বোঝানো হয়েছে। কেউ যদি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে খাতায় উপস্থাপন করতে পারে তাহলে সে অনেক ভালো নম্বর পাবে।
বাংলা নববর্ষের দিনে বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন করা হয় আর এসব মেলার সাথে একান্ততা প্রকাশ করে অংশ নেয় নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পায়জামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়ায়। চারিদিকে এক বর্ণিল পরিবেশ তৈরি হয়। মূলত এটাই অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু। এগুলোই সুন্দরভাবে লিখতে পারলে এই অনুচ্ছেদটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।