আমাদের আজকের পোষ্টের মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে বাংলাদেশ অনুচ্ছেদ। অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ অনুচ্ছেদটি খোঁজ করে। আপনি কি বাংলাদেশ অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। কেননা আজকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে সকল বিষয় খুবই সহজভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে যে কেউ খুব সহজেই এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ ধারণা নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
সুজলা- সুজলা, শস্য- শ্যামলা সাগর -মেখলা, বন -কুন্তলা অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। উদার প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে অপার সৌন্দর্য আর মাধুর্যে সমৃদ্ধ করেছে এই বাংলাদেশ। এই সৌন্দর্য অকৃত্রিম, যতদূর দৃষ্টি যায় সবুজ মাঠ। আবার কোথাও সবুজের অবগুন্ঠন ভেদ করে সোনালী শস্যের উঁকি ঝুঁকি, কখনো মেঠো পথের ধারে মৌন তাপসের মত দাঁড়িয়ে থাকে বিশাল বট কিংবা অশ্বত্থ গাছ। গাছপালায় ঘেরা ছোট ছোট ছায়া মাখা ঘর গুলো যেন শান্তির নীড়।
পুকুর, নদী, বিল কিংবা ঝিলে কাকের চোখের মতো স্বচ্ছ কালো পানি। সেখানে ফুটে আছে সাদা, লাল কিংবা গোলাপী শাপলা। এর পাশেই হয়তো এক জায়গায় রাজহাঁস আপন মনে খেলছে পানির মধ্যে। ঠিক দুপুরে কাছেই কোথাও একটানা ডেকে চলেছে ঘুঘু। পল্লীর সন্ধ্যার রূপটি যেন আরো মধুময়। গোধূলি বেলায় রাখাল মাঠ থেকে গরু নিয়ে ঘরে ফিরে। পাখিরা ফিরে আপন নীড়ে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী গুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম পরিচায়ক। শীতে নদীগুলো শুকিয়ে গেলেও বর্ষা এলে যেন দুকূল ছাপিয়ে নতুন প্রাণ পায়।
বিভিন্ন ঋতুর রূপ বৈচিত্র্য ও বাংলাদেশের নৈস্বর্গিক দৃশ্যের পরিবর্তন ঘটে গ্রীষ্মের আগমনে। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি রুক্ষ, বিবর্ণ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ভয়াল রুদ্র রূপ নিয়ে ধুলোর ঝড় তুলে কালবৈশাখী। বর্ষার অঝোর বারি পাত পল্লী প্রকৃতিকে শান্ত ও কোমল করে তুলে। কখনো ভারী বর্ষণ, কখনো বা রিমঝিম বৃষ্টির ছন্দ অপূর্ব এক দৃশ্যের অবতারণা করে। শরতের মেঘ- বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার মাঝে উপস্থিত হয়। হেমন্তর ঘরে ঘরে নতুন ধানের আগমনে চারিদিকে আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই পিঠাপুলের বার্তা নিয়ে কড়া নাড়ে কনকনে শীত। এরপর আসে ঋতুরাজ বসন্ত। তখন পল্লীর সর্বত্র যেন ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক রূপববৈচিত্রের এমন নৈস্বর্গিক দেশ আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই এদেশ আমাদের গর্বের ধন।
আসলে কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। কারণ এই যে এত সুন্দর একটি দেশ আমাদের বাংলাদেশ, এই দেশটি বিভিন্ন জিনিসে সমৃদ্ধ হয়ে আছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন এদেশের অংশ, তেমনি ভাবে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই দেশে। এ দেশের মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করছে। তাছাড়া বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পারলে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাই সবাইকে একযোগে ভূমিকা পালন করতে হবে।
তবে বাংলাদেশ শব্দটি বা কথাটি অর্জন করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এমনি এমনি এই বাংলাদেশ কথাটি পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নেয়নি। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পরে প্রায় ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এবং আড়ায় লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এবং পৃথিবীর মানচিত্রের স্বাধীন -সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম লিখিত হয়েছে।
বাঙালি জাতি হিসেবে এই বিষয়টা অবশ্যই আমাদের কাছে একটি গর্বের বিষয়। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা আবার বেশি কঠিন। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেহেতু অর্জিত হয়েছে, সেহেতু বাংলাদেশ নামটিকে পৃথিবীর বুকে চিরকাল টিকিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এই বিষয়গুলো মূলত বাংলাদেশ অনুচ্ছেদটিতে লিখতে পারলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। আর এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন বলেও আশা করছি।