স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই যেখানে বাংলাদেশ নামটি থাকবে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামটি স্বমহিমায় উজ্জ্বল থাকবে। যতদিন এই পৃথিবীতে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে, বাঙালি জাতি থাকবে, ততদিন গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। মূলত বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে জড়িত। যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেই সেখানে বাংলাদেশ নামটি থাকতে পারে না। আর তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনাটি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
এখানে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুব সহজে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তাই আপনি যদি বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান বা এই সম্পর্কে রচনা লিখতে চান বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে লিখতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর এজন্য আপনি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করবে এবং বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেও সাহায্য করবে। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পিছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। মূলত বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতৃত্বের ফলে আজকের বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য একটি নাম। স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বাধীনতার রূপ দেওয়ার জন্য, মানুষকে মুক্তির স্বাদ পাওয়ানোর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসংখ্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে কাটিয়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র বাঙ্গালীদের মুক্তির অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তার যে সকল অবদান সেই অবদান বাঙালিরা কখনো ভুলতে পারবেনা। এজন্যই বাঙালিরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত তিনি অসংখ্য অবদান রেখেছেন। মূলত তার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে এই বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতা লাভ করেছে। তার ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ঘোষণা বাঙালির মুক্ত সনদ হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি বাঙ্গালীদের প্রতিনিধিত্ব করে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা বাঙ্গালীদের অধিকার কখনোই দেননি। বাঙ্গালীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এর ফলে বাঙালিরা আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয় এবং তাদের অধিকার আদায়ের জন্য অগ্রসর হয়।
তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল এক ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে দিক নির্দেশনার নির্দেশ দেন। আর স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলেন। যে কোন সময় শত্রুদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। মূলত তার ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা যাতে আরো বেশি সচেতন হয়ে ওঠে এবং পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধ করার জন্য তাদের অত্যাচারের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।
তাছাড়া ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সারা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাঙালি জাতি তাদের মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েন। তাছাড়া স্বাধীনতার পর সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশকে পুনরায় সুন্দর বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসংখ্য কাজ করেছেন। যা বাঙালিরা কখনো ভুলতে পারবে না। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িত। আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।