আমাদের আজকের পোস্টটির আলোচ্য বিষয় হলো বঙ্গবন্ধু অনুচ্ছেদ। অনেকেই বঙ্গবন্ধু অনুচ্ছেদটি খোঁজ করেন, আবার দেখা যায় যে অনেকেই বঙ্গবস্তু অনুচ্ছেদটি কিভাবে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এসকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাই আপনাদের সবার কথা মাথায় রেখে আমাদের আজকের পোস্টটিতে বঙ্গবন্ধু অনুচ্ছেদটি খুবই সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। এখান থেকে আপনি চাইলে খুবই সহজেই এই অনুচ্ছেদটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আর এভাবে লিখলে আপনি পরীক্ষার খাতায় অনেক ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করছি।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি সেই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা মহান নেতা, বীরত্বে যার অঙ্গ গাথা, বজ্রে গাঁথা কণ্ঠস্বর। তিনি তো সেই ব্যক্তি যে কিনা কোটি বাঙালির আবেগের জায়গা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পিছনে যার আত্মত্যাগ স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে, তিনিই হলেন আমাদের সবার প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে লিখলে শেষ করা সম্ভব নয়। কেননা তার বীরত্বের কথা বাঙালি জাতি কোনদিনও ভুলতে পারবে না। তার অবদানের কথা কখনো অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
আর বঙ্গবন্ধু অনুচ্ছেদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণীর থেকে শুরু করে দশম শ্রেণীর প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের এই অনুচ্ছেদটি পড়ানো হয়। তাই সবার এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা জরুরী। আর এজন্য অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে বঙ্গবন্ধু অনুচ্ছেদ সার্চ করে থাকেন। তাই তাদের সকলের কথা মাথায় রেখে মূলত আজকের পোস্টটি সুন্দরভাবে বঙ্গবন্ধু অনুচ্ছেদটি দিয়ে সাজিয়েছি। মূলত এভাবে বঙ্গবন্ধু অনুচ্ছেদ লিখতে পারলে পরীক্ষায় অনেক ভালো নম্বর অর্জন করা যাবে আর ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান। ১৯২৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বয়স যখন সাত বছর, তখন তাকে স্থানীয় গীমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি করা হয়। তারপর ৯ বছর বয়সে তাকে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি মিশনারি স্কুলে লেখাপড়া করেন। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৪ সালে আইএ এবং ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনের সমর্থন ও নেতৃত্বদানকে কেন্দ্র করে বৈরী অবস্থার সৃষ্টি হলে আইন বিভাগে অধ্যায়নরত অবস্থাতেই তার ছাত্র জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বিশ্ব রাজনীতির অবিসংবাদিত কিংবদন্তি তথা বাংলা ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক জীবন শুরু করার আগেই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের দুঃখ দেখে নিজের মনের ভিতর এক প্রকার কষ্ট অনুভব করতেন। ভুখাদের মুখে তার নিজের খাবার তুলে দিয়েছেন এমন ঘটনা একটি দুটি নয়, বরং অনেক। তাছাড়া শীতকালটা এলেই অনেক অসহায় শীতার্তকে তিনি তার নিজের চাদর দান করে দিয়েছেন। তখন থেকেই তিনি ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতেন। অন্যায় কিংবা অন্যায়কারী যত শক্তিশালী হোক না কেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রতিবাদ করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতেন না।
ছয় দফা আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে জড়িত সকল আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বিশ্ব সম্মোহনীদের নামের তালিকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বাগ্রে। তিনি সগৌরবে সম্মোহনিতার আসনে সমাসীন। তবে হ্যাঁ সম্মোহনিতা হচ্ছে অত্যাকর্ষণজনিত মোহনী শক্তি, যা যুগে যুগে কোন না কোন ব্যক্তিত্বে প্রকাশ পায়। আর এসব ব্যক্তিত্বের আঙ্গুলের ইশারায় পৃথিবীর বুকে মহা বিপ্লব সংঘটিত হয়। ফলে গোটা মানবজাতির মুক্তি আসে। এটি বস্তুত ব্যাক্তি ও নেতৃত্বের সর্বোচ্চ গুণাবলীর সমন্বিত রূপ।