বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাদক নির্মূলের গুরুত্ব রচনা

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটি সাজিয়েছি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে মাদক নির্মূল এর গুরুত্ব এই রচনাটির মাধ্যমে। মূলত আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে এই রচনাটি খুবই সহজ এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে যাবেন।

ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কোন জাতি যখন প্রকৃতই কোন সংকটের মুখে পড়ে, তখনই ঠিক সে জাতির পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটে কোন না কোন মহাপুরুষের। আর বাংলাদেশের মানুষের কাছে এমনই একটি মহাপুরুষ হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ শতাব্দীর দ্বিতীয় অর্ধে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি যখন ভুগছে অস্তিত্ব সংকটে, তখনই বাঙালি জাতের পরিত্রাণের প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরুষ তিনি। লাল সবুজের পতাকার উপহারদাতাও বলা যায় তিনি। ইতিহাসে বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুর নামটি অবিচ্ছেদ্য। তিনি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু দয়ালু মানুষ ছিলেন। তার ইতিহাস বোধ বাঙালি জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার পথ দেখিয়েছিলেন। বাঙ্গালির চাওয়া তাদের দাবি আশা ও আকাঙ্ক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন খোদা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুস্থ-সবল, জ্ঞান- চেতনা সমৃদ্ধ কোনো রকম ভেদ বৈষম্যহীন, শোষনমুক্ত, অসম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক মানুষের, উন্নত, সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের দর্শনকে সংজ্ঞায়িত করা যায় এভাবে সব মানুষের জন্য পাঁচ ধরনের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। এর মধ্যে থাকবে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সুযোগ, সামাজিক সুবিধা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, সুরক্ষার স্বাধীনতা। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম দর্শন ছিল বৈষম্যহীন অর্থনীতি ও সমাজ বিনির্মাণের বিষয়টি ছিল অন্যতম অনুষঙ্গ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে যেতে পারেননি। কিন্তু বর্তমানে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার পেছনে অন্যতম প্রধান বাধা হচ্ছে মাদকাসক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশের মাদকাসক্তির প্রভাব এতই বেশি যে যুবসমাজ বেশির ভাগই এই মাদকের ছোবলে আসক্ত। আর একটি জাতির সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে যুব সমাজ। আর যুব সমাজ দিন দিন মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং এই বিষয়টা একটি দেশের এবং একটি জাতির জন্য আসলে খুবই হতাশার একটি বিষয়।

এজন্য আমাদের বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই এই মাদকের ভয়াল থাবার হাত থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে। মূলত বাংলাদেশ থেকে মাদকের ব্যবহার এবং মাদক গ্রহণ একেবারে না করতে পারলে বা মাদককে নির্মূল করতে পারলেই সোনার বাংলা গড়ে তোলা অনেকটা সহজ হবে। আর এজন্য মাদকের সহজলভ্যতা দূরীভূত করার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যুব সমাজকে সচেতন হতে হবে এবং মাদকের সহজলভ্যতা দূর করতে হবে।

যেকোনো দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার। মাদক গ্রহণকারী ব্যক্তি কখনো সুস্থ সবল মস্তিষ্কের অধিকারী হতে পারে না এবং দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্য কাজ করতে পারে না। তাই মাদককে নির্মূল করতে হবে। আর মাদকের ব্যবহার না করার জন্য আমাদের যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি মাদকদ্রব্য গ্রহণের ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে হবে। আর সরকারকেও এই বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং যুব সমাজকে মাদকের ভয়ংকর কষাঘাত থেকে বের করে আনা সম্ভব। যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে বাঁচাতে পারলেই যুবসমাজ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে এবং আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।