বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা

আমাদের ওয়েবসাইটটি বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনাটি। এই রচনাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা। বিশেষ করে এই রচনাটি প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে জাতীয় দিবসে লিখতে দেওয়া হয় এবং পুরষ্কৃত করা হয়।

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন অর্থাৎ ১৭ই মার্চ তারিখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং এই রচনাটি লিখতে দেয়া হয়। তাই অনেক শিক্ষার্থী এ রচনাটি খুঁজে থাকেন। এজন্য তাদের কথা মাথায় রেখে মূলত আজকে আমাদের পোস্টটিতে খুবই সুন্দর ভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস রচনাটি সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনারা যদি এই রচনাটি খুঁজে থাকেন, তাহলে এই পোস্টটির সহায়তা নিতে পারেন আর এভাবে রচনাটি লিখতে পারেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে সাবেক ফরিদপুর জেলা অর্থাৎ বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতা তৃতীয় সন্তান। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কে মাথায় রেখে সেই দিনটিকে অর্থাৎ ১৭ই মার্চ তারিখকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রতিবছরের দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যেহেতু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ ই মার্চ, তাই এই দিনটি বাঙালির জাতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এজন্য বাঙালি জাতি এই দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এবং জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে প্রতিবছর উদযাপন করে।

বাঙালি জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের মূর্ত প্রতিক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব,জেদি, দৃঢ় মনোবল ও সাহসই তার চরিত্রকে বৈশিষ্ট্যময় করে তুলেছে। তার সম্পর্কে মতিউর রহমান বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন একজন আবেগপ্রবণ ও সহানুভূতিশীল মানুষ। শত্রুর প্রতি তার মনোভাব ছিল উদার। গুরুতর অপরাধ করলেও তিনি অপরাধীকে অবলীলাক্রমে ক্ষমা করে দিতেন।”

তিনি ছিলেন একজন জাদুকরি বক্তা। তার ভাষণ শুনে সবাই মুগ্ধ হয়ে যেত। এজন্য তিনি বজ্রকন্ঠ বলে পরিচয় দিতেন। অন্যায়, অবিচার, শোষণ ও জুলুমের সাথে তিনি কখনো, কোনদিন আপোষ করেননি। তার মানবিক অনুভূতি, উদারতা মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাকে কঠিন হতে দেয়নি। শান্তি প্রতিষ্ঠার অবদানের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক জুলিও কুরি শান্তি পদক লাভ করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার তিনি স্থপতি। তিনি না থাকলে হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা কখনো সম্ভব হতো না। আজকের বাংলাদেশও আমরা পেতাম না। তাই আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আর যতদিন বাংলাদেশের পতাকা উড়বে, বাংলাদেশ নামটি বিশ্বের মানচিত্রে যতদিন থাকবে, ততদিন বাঙ্গালি জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে রাখবে। মূলত যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেই, সেখানে বাংলাদেশ নামতে থাকতে পারে না, কেননা তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।

কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কতিপয় সেনাবাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশ তাকে সপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধু শুয়ে আছেন টুঙ্গিপাড়ায়। আর কোনদিন ফিরবে না বাঙ্গালীদের দুঃখ শোনার জন্য। কিন্তু তিনি মরেও অমর হয়ে আছেন। আমাদের মনের মনিকোঠায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। যতদিন পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বহমান থাকবে, যত দিন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়বে, ততদিন দেদীপ্যমান থাকবে একটি নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মূলত সকল শিশুর অন্তরে বেঁচে আছেন। বাংলাদেশের শিশু কিশোরদের মাঝে তিনি বেঁচে আছেন, বাঙালি জাতির মাঝে তিনি বেঁচে আছেন। তাইতো তার জন্ম তারিখটা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাঙালি জাতীয় প্রতিবছর এই দিনটাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।