পরিবেশ হলো আমাদের চারপাশের প্রাকৃতিক ও অপ্রকৃতিক উপাদানের সমষ্টি। পানি, মাটি, বায়ু ইত্যাদি প্রাকৃতিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট কোনো কারণে যদি পরিবেশের উপাদান গুলোর কাঙ্খিত মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পরিবেশ মানুষ বা প্রাণীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। পরিবেশের এই অস্বাস্থ্যকর অবস্থাকে পরিবেশ দূষণ বলে। পরিবেশ দূষণের প্রাকৃতিক কারণ গুলো হলো ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি। অপ্রাকৃতিক কারণ গুলো হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প- কারখানায় বিষাক্ত কেমিক্যাল এর ব্যবহার, শিল্প কারখানা ও যানবাহনের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ইত্যাদি।
এসব কারণে পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানি, মাটি, বায়ু ইত্যাদি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এছাড়া কীটনাশক, গুঁড়ো সাবান, প্লাস্টিকের ব্যবহার ইত্যাদির ফলে ও পরিবেশ দূষিত হয়। শিল্প কারখানা ও যানবাহন থেকে নির্গত সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাই, কার্বন-মনোক্সাইড, ক্লোরো-ফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি বায়ুমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পরিবেশ দূষণের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে বিশ্বের সচেতন মানুষ অনেক বেশি শঙ্কিত। কেননা পরিবেশ দূষণের কারণে মানব সভ্যতার অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন। তাই পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের সচেতন মানুষ জেগে উঠেছে। গড়ে উঠছে অনেক পরিবেশবাদী সংগঠন। এইসব সংগঠনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিবেশ দূষণ রোধে করণীয় ঠিক করতে পরিবেশ বিষয়ক নানা সম্মেলনে একচ্ছত্র হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত ধারা যুক্ত হয়েছে। তবে সর্বস্তরের মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা ব্যতীত পরিবেশ দূষণ রোধ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর উচিত পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদটা ভালোভাবে পড়ে রাখা। যেন যেকোনো সময় এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা যায়। আর আমাদের পোস্টটি সাধারণত সাজানো হয়েছে পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনার মাধ্যমে। এখান থেকে যে কেউ পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবে বলে আশা করছি। আর এই ভাবে পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদটি খাতায় উপস্থাপন করতে পারলেও অনেক ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করছে।
আমাদের চারপাশে যা কিছু রয়েছে তা নিয়ে আমাদের পরিবেশ। কিন্তু আমরা আমাদের প্রাত্যহিক নানারকম বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে এই পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান দূষণ করে চলেছি। কিন্তু এই দূষণের ফলে আমাদেরই বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। যেমন আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসগুলো বা আবর্জনা গুলো আমাদের চারপাশেই ফেলে রাখি। খোলা জায়গায় ফেলে রাখার ফলে সেইগুলোর দ্বারা বায়ু দূষিত হয় এবং দূষিত বায়ুর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারি।
আবার বিভিন অপ্রচনশীল দ্রব্যাদি মাটিতে ফেলে রাখা হয়, যার ফলে মাটি দূষিত হয়। আর দূষিত মাটি ফসল ফলানোর উপযুক্ত থাকে না। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। তাই মাটি দূষণ থেকেও বিরত থাকতে হবে। পরিবেশকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদেরই। কারণ পরিবেশ দূষিত হলে আমাদেরই ক্ষতি। আমরা বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয় এবং পরিবেশ দূষণ থেকে বিরূপ আবহাওয়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই পরিবেশ দূষণ রোধে আমাদের কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান দূষণের মাধ্যমে পারিপার্শ্বিক অবস্থা মানুষের বসবাসের অনোপযোগী হয়ে পড়ছে। তাই পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষার জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমাদের সচেতন ভূমিকায় পারে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে। মূলত এই বিষয়গুলোই পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদের মূল বিষয়বস্তু।
এই বিষয়গুলো যদি এই অনুচ্ছেদে সুন্দর ভাবে লিখে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে এই অনুচ্ছেদটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। তাই আপনারা যারা পরীক্ষায় অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে চান, তারা আমাদের আজকের পোস্টের সহায়তা নিতে পারেন। কারণ এখানে খুবই সহজ ভাবে এবং সুন্দরভাবে পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি সহজ উপায়ে পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদটি লেখার বিস্তারিত নিয়ম খুব সহজে শিখে নিতে পারবেন বলে আশা করছি।