নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নামকে বড় করে তোলে ভাবসম্প্রসারণ

নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নাম কে বড় করে তোলে এই ভাব সম্প্রসারণ প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত এই ভাব-সম্প্রসারণ এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে নামের দ্বারা মানুষ কখনোই বড় হতে পারে না, কিন্তু মানুষ যদি পরিশ্রমী হয় এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা লাভ করে, তার কাজের দ্বারা মহান হতে পারে, তবে তার কাজই তার নামটা বড় করে তোলে। তাই প্রত্যেকটা ব্যক্তির উচিত নামের দিকে লক্ষ্য না করে, তার কাজে মনোযোগী হওয়া এবং কাজের মাধ্যমে মহান হয়ে ওঠা। কেননা কাজের মাধ্যমে মহান হয়ে উঠতে পারলে পৃথিবী তার কথা মনে রাখবে আজীবন।

নাম পৃথিবীতে মানুষকে খ্যাতিমান বা গৌরবান্বিত করে তুলতে পারেনা। বরং মানুষই তার মহৎ কর্মের দ্বারা নাম কে বড় করে তুলে। তাই নামে নয়, কর্মে মানুষের আসল পরিচয় নিহিত। পৃথিবীতে সব পরিচিত বস্তু ও ব্যক্তিরই এক একটা নাম থাকে। অনেক সময় ব্যক্তি বা বস্তুর অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ নাম রাখা হয়। কিন্তু ব্যাক্তি বা বস্তুর যদি তার গুনাগুন ও স্বভাবের দ্বারা তাৎপর্য অর্জনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ নামের কোন মূল্যই থাকে না।

আবার সাদামাটা নামের অধিকারী কোন ব্যক্তি বা বস্তু স্বভাব ও গুনাগুনের দ্বারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা বস্তুতে পরিণত হতে পারে। আমাদের সমাজের অনেকের ধারণা যে নামই মানুষকে বড় করে তুলে। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল। চেষ্টা, সাধনা, পরিশ্রম আর অধ্যবসয়ের দ্বারা মানুষকে নিজের জীবন অর্থবহ করে তুলতে হবে। তাহলে নামের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। অন্যথায় সুন্দর ও তাৎপর্যপূর্ণ নামক কোন কাজে আসবে না।

পৃথিবীর যত মহাজ্ঞানী, মহান ব্যক্তি রয়েছে, তারা সবাই তাদের নিজ নিজ কাজে মনোযোগী ছিল এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সফলতা লাভ করেছে। আর এই কাজের মাধ্যমে তাদের নামকে বড় করে তুলেছে। যারা দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে, পরিশ্রম করে, দেশের জন্য কাজ করে দেয়, তারা সবসময় মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হয়। তাই আর তাদের নামও ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো লেখা থাকে। তাই মহান ব্যক্তির মত মহান হতে হলে অবশ্যই নামকে বড় না করে, কাজকে বড় করতে তুলতে হবে। আর কাজই একসময় সে নামকে বড় করে তুলবে। এই ভাব সম্প্রসারণ মাধ্যমে মূলত এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে বোঝানো হয়েছে।

যেকোনো ভাব সম্প্রসারণ লিখে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য অবশ্যই সে ভাব সম্প্রসারণ উপস্থাপনের পদ্ধতিটি ভালো হওয়া চাই।আর ভাব সম্প্রসারণ উপস্থাপনের পদ্ধতি ভালো হতে হলে অবশ্যই সে ভাব সম্প্রসারণটা লিখে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে৷ তাই ভাব সম্প্রসারণ অবশ্যয় বুঝতে হবে। যেকোন ভাব সম্প্রসারণ বুঝতে না পারলে তা কখনোই পরীক্ষার খাতায় ফুটিয়ে তোলা বা উপস্থাপন করা সম্ভব হয় না।

আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই না বুঝে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। আর মুখস্ত বিষয়গুলো থেকে যদি পরীক্ষায় না আসে, তবে অনেকেই সে বিষয়ে লিখতে পারে না, আর ঘাড়ে যায়। এর ফলে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করে এর জন্য প্রথমে যেটা দরকার তা হলো যে কোন বিষয় বুঝে নিতে হবে, তাহলেই তা লিখা সম্ভব হবে।

প্রত্যেকটা শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য নাম মানুষকে বড় করে তোলে না মানুষই নাম কে বড় করে তোলে এই ভাব সম্প্রসারণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেসকল শিক্ষার্থী এই ভাব সম্প্রসারণটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তারা এখান থেকে জানতে পারবেন। আর এজন্য আমাদের আজকের পোস্টটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে । আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে খুব সহজভাবে বিস্তারিত জানতে পারবেন।