পৌষ-মাঘ মাসে কুয়াশার চাদর গায়ে শীতের আগমন ঘটে। শহরের পরিবেশের চেয়ে গ্রামীণ পরিবেশে শীতের আমেজ বেশি উপভোগ করা যায়। ঠান্ডা বাতাসের শুধ্ধ স্পর্শে শীতের তীব্রতা বুঝতে পারা যায়। গায়ে চাদর জড়িয়ে উঠানে নামলেই ঘন কুয়াসার আস্তরণ দেখা যায় চারেদিকে। সামনের দিকে তাকালে মনে হয় যেন ধোঁয়া উড়ছে। গ্রামের কৃষকেরা তীব্র শীতেও লাঙ্গল-জোয়াল কাঁধে গরু নিয়ে মাঠে যায়।
পূর্বদিকে রং ছড়িয়ে সূর্য ওঠে। সেই সূর্যের আলো শিশির ভেজা ঘাসের ওপর পড়লে মুক্তার মতো মনে হয়। সাধারণত শহুরে পরিবেশে শীতের সকালের আমেজ সেভাবে বোঝা না গেলেও গ্রামীন পরিবেশে আসলে শীতের সকাল দারুন এক অনুভূতির নাম। এসময় কনকনে শীতের মধ্যে সকালের এক ঝিলিক রোদ যেন অতীব লোভনীয় হযে পড়ে।
আজকে এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় হলো শীতের সকাল অনুচ্ছেদটি। অনেক স্টুডেন্ট কে দেখা যায় যে অনুচ্ছেদ বিষয়টি না বুঝে মুখস্ত করে। এর ফলে যদি পরীক্ষায় সে মুখস্ত বিষয়গুলো না আসে তাহলে সে লিখতে পারে না বা হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু অনুচ্ছেদ আসলে মুখস্ত করার কোন বিষয় নয়। অনুচ্ছেদ মূলত বোঝার বিষয়। বুঝতে পারলে যেকোন ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত ছাড়াই লেখা যাবে খুবই সহজে। তাই যেকোনো অনুচ্ছেদে সুন্দর মার্কস তুলতে আপনাকে অবশ্যই সেই অনুচ্ছেদটির মূল বিষয়বস্তুটা বুঝতে হবে। কেননা মূল বিষয়টি না বুঝতে পারলে আপনি যতই মুখস্ত করেন না কেন আপনার ব্রেনে কখনো সেটা গেঁথে থাকবে না।
অনুচ্ছেদ হলো বাংলা ব্যাকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এই অনুচ্ছেদ পড়ানো হয়। আর অনুচ্ছেদ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা লাভ করে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। আর ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আস্তে আস্তে সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম শ্রেণীতে ধারাবাহিকভাবে অনুচ্ছেদ পড়ানো হয়।
তবে অনেক শিক্ষার্থী অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না। আসলে অনুচ্ছেদ খুবই সহজ বিষয়। অনুচ্ছেদ লিখে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। কিন্তু অনুচ্ছেদ হতে হবে অবশ্যই সাজানো গোছানো। আর অনুচ্ছেদ লেখায় মূল বিষয়গুলো থাকতে হবে। মূল বিষয়গুলো না থাকলে কোনভাবেই অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর তোলা সম্ভব হয় না।
লক্ষ্য করা যায় যে কিছু কিছু শিক্ষার্থী অনেক ভালো পড়াশোনা করেও অনেক সময় ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। তার অন্যতম কারণ হলো তারা হয়তো বুঝে বুঝে না পড়ে মুখস্ত করে এবং মুখস্ত করার বিষয়গুলো পরীক্ষায় না আসলে ঘাবড়ে যায় এবং লিখতে পারে না। আর এর জন্য পরীক্ষায় ভালো নম্বরও পায় না। আবার অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনেক পড়াশুনা করে, কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু তারপরেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারেনা। এর অন্যতম আরেকটি কারণ হতে পারে তারা পরীক্ষায় ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেনা।
যেকোনো বিষয়ে শুধু পড়লেই হবে না, সেগুলো বুঝে মাথায় রাখতে হবে এবং পরীক্ষার খাতা ঠিকমত উপস্থাপন করতে হবে। কেননা পরীক্ষার খাতায় ঠিকমতো উপস্থাপন করতে না পারলে যতই পরিশ্রম করা যাক না কেন তার ফল কোন ভাবে লাভ করা সম্ভব নয়। তাই কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি খাতায় লিখার কৌশল গুলো শিখতে হবে। তাহলে দেখা যাবে যে পরিশ্রম করলেই ভালো নম্বর পরীক্ষায় পাওয়া যাবে ভালোভাবে খাতায় উপস্থাপনের মাধ্যমে।
আর শীতের সকাল অনুচ্ছেদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনুচ্ছেদ বিষয়টি পড়ানো হয়। আর শীতের সকাল অনুচ্ছেদটি প্রায় প্রতিটা ক্লাসেই পড়ানো হয়।তাই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর উচিত এই অনুচ্ছেদটি সুন্দরভাবে বুঝে নেওয়া। কেননা যেকোন বিষয় বুঝতে পারলে, সে সম্পর্কে অনেক ভালো লিখা যায়। আর আমাদের ওয়েবসাইটে আজকের অনুচ্ছেদটি মূলত খুবই সহজভাবে দেওয়া হয়েছে। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার সহায়ক হবে।