আজকে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাজিয়েছি দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য এই ভাব সম্প্রসারণটির মাধ্যমে। বিদ্বান হওয়া মানেই সুজন হওয়া নয়। চরিত্রহীন ব্যক্তি ও বিদ্বান হতে পারে। কিন্তু সে সুজন নয় দুর্জন। তার বিদ্যা মানব কল্যাণে ব্যয় হয় না। তাই তার সঙ্গ গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ সে বিদ্বানের মোড়কে নিজেকে জড়িয়ে রেখে মানুষকে কলুষিত করতে পারে। যে কারণে তাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
বিদ্বান ব্যক্তি সর্বত্র সম্মান পান। বিদ্যার মত এত অমূল্য সম্পদ মানুষের আর কোন কিছুতেই নেই। বিদ্যা শিক্ষার উদ্দেশ্য হল চরিত্র গঠন করা। লেখাপড়া শিখে চরিত্র গঠন করা যদি না যায়, তবে সে বিদ্যার কোন সার্থকতা নেই। চরিত্র দ্বারা গুণান্বিত ব্যক্তি সমাজে সকলের শ্রদ্ধার পাত্র হয়। কিন্তু বিদ্বান যদি সুজন না হয়, তাহলে তার সান্নিধ্য কেউ কামনা করে না।
বিদ্যা শিক্ষা করে যে ব্যক্তি বিদ্যার মর্যাদা রাখতে পারে না। সে যদি মানুষের উপকার না করে না নিজের স্বার্থ আদায়ে অমানুষ হয়ে যায়, সে ব্যক্তি দুর্জন। দুজনের দ্বারা বিদ্যার অপমান করা হয়। এরা বিষধর সাপের মত। এদের দ্বারা সমাজ ও জাতির উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে। তারা নিজেদের কাক তুল্য চেহারা ঢাকার জন্য সময়ে ময়ূরের রুপ ধারণ করতেও কার্পণ করে না। এরা ভদ্র বেশি শয়তান। মিথ্যা দ্বারা এরা সমাজের মানুষকে প্রতারণা করে। এগুলোই মূলত এই ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়।
কোন শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর পেতে চান এই ভাব সম্প্রসটি লিখে, তাহলে আর দেরি না করে আমাদের পোস্ট থেকে আপনি ভাব সম্প্রসারণ লেখার নিয়ম গুলো সংগ্রহ করে নিন আর এভাবে খুব সহজেই আয়ত্ত করে নিতে পারবেন। এভাবে বুঝে নিলে দেখবেন আপনি খুব সহজেই পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য ভাব সম্প্রসারণটা আয়ত্ত করে ফেলেছেন।
পরীক্ষার খাতায় সবাই লিখে কিন্তু সবাই ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। আবার ভালো নম্বর পায় না। এর পেছনের কারণ অনেকগুলো থাকতে পারে। কিন্তু অনেকগুলো কারণ এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো তারা সুন্দরভাবে খাতায় লেখাগুলো উপস্থাপন করতে পারে না। আবার অনেকেই দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি না বুঝেই মুখস্ত করে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে। আর পরীক্ষার সময় যদি সে মুখস্ত করা ভাব সম্প্রসারণ গুলো থেকে কমন না আসে তাহলে অনেকেই ঘাবড়ে যায় বা লিখতে পারেনা।
আসলে দুর্জন যত বড় জ্ঞানীই হোক না কেন, তারা দ্বারা কখনো ভালো কাজ হতে পারে না। সে যত বেশি জ্ঞানী হবে, তত বেশি ক্ষতিকারক হবে। কেননা যখন তার জ্ঞানের পরিধি বেশি হবে, তখন সে মানুষের, দেশের ক্ষতি করার জন্য নতুন নতুন উপায় বের করবে। আর অপরের ক্ষতি করবে। দুর্জন ব্যক্তি যতই জ্ঞানী হোক না কেন, সে কখনো একটি জাতির জন্য, একটি দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। তাই সে জ্ঞানী হলেও কোন রকম মূল্যায়ন সে পায় না। সে পরিত্যাজ্যই হয়। তাই বিদ্বান হতে হবে, কিন্তু দুর্জন হওয়া যাবে না। কেননা দুর্জন কোনভাবেই কারো কাছ থেকে মূল্যায়ন পায় না। সে সবসময়ই দেশ এবং জাতির জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে পরিচিত হয়।
এই ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়টা বুঝতে পারলে যে কেউ খুব সহজেই এই বিষয়টা নিয়ে ভালোভাবে লিখতে পারবে আর ভালো নম্বরও অর্জন করতে পারবে। তাই যে কোন বিষয় পড়ার সময় মুখস্ত না করে বুঝতে হবে আর খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। কেননা ঠিকমতো উপস্থাপন করতে না পারলে কখনোই ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব নয়। আর ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য অবশ্যয় কৌশলী হতে হবে। এজন্য আপনি আমাদেন আজকের পোস্টের সহায়তা নিতে পারেন। আশা করি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন।