দন্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার ভাবসম্প্রসারণ

আজকে আমাদের পোস্টটি সাজানো হয়েছে মূলত দন্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার এই ভাব সম্প্রসারণ বিস্তারিত আলোচনা মাধ্যমে। এখান থেকে আপনারা যদি এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটির সহায়তা নিতে পারেন। আসলে অনেক সময় দেখা যায় যে প্রকৃতপক্ষে যে অপরাধী তাকে শাস্তি দেওয়া হয় না এবং যে অপরাধী নয় তাকেই শাস্তি দেওয়া হয়। এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যাতে যে ব্যক্তি নিরপরাধী সে যেন কোনভাবে শাস্তি না পায়। আর কোন অপরাধী ব্যক্তিকে এমন শাস্তি দেওয়া যাবে না যে শাস্তি খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে এবং তার অপরাধের তুলনায় যে শাস্তি খুবই বেশি ভয়ানক হয়, সেই শাস্তিও দেওয়া যাবে না। কারণ অপরাধী ব্যক্তিরাও মানুষ।

সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ পৃথিবীতে বিচারক কতৃত অপরাধীকে শাস্তি প্রদানের বিধান রয়েছে। তবে যেকোনো শাস্তি কষ্টদায়ক। সেই কষ্টবোধে বিচারক যদি সংবেদনশীল হন, তবে সে বিচার শ্রেষ্ঠ বিচার অবিধায় অভিহিত হয়। ন্যায়ের শুভ্র পাষাণ বেদির উপর বিচারকের আসল পাতা।

নিরপেক্ষভাবে অপরাধ নির্ণয় করে অপরাধীকে শাস্তি দান করাই বিচারকের কাজ। এই কাজ অনেক কঠিন। কিন্তু অপরাধর দন্ডদানের ব্যাপারে বিচারককে সংবেদনশীল হতে হয়, হতে হয় অনুভূতি প্রবল। তা না হলে তিনি যদি অপরাধীকে নির্মমভাবে দন্ডদান করেন, দন্ডিতের বেদনায় তার হৃদয়ে যদি করুনার উদ্রেক না হয়, তবে তার দন্ডদান হয়ে উঠবে প্রবল অত্যাচার এবং তিনি হয়ে পড়েন বিচারক পদের অযোগ্য। তাই দন্ডীতের দাতা দন্ডদাতাকেও অনুভূতিপ্রবণ হতে হবে।

আর অপরাধী ব্যক্তির এমন দন্ড দেওয়া যাবে না, যে বিচারক সে দন্ডের জন্য কষ্ট পাবে না। কারণ বিচারক কখনোই চায়না যে অপরাধী ছাড়া পাক, আর নিরপরাধী শাস্তি পাক। বিচারক সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যে নিরপরাধী, তাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু অনেক সময় বিচারক না চাইলেও দোষী ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি দিতে হয়, তখন বিচারকের প্রাণ ও কাঁদে আর যে রায়ের মাধ্যমে বিচারকও কষ্ট পায়, সে রায় হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ রায় বা বিচার। এটায় মূলত এই ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়।

একটি ভাব সম্প্রসারণ ভালোভাবে লিখতে হলে অবশ্যই ভাব সম্প্রসারণের মূল বিষয়গুলো জানতে হবে। মূল বিষয়গুলো না জানা থাকলে কোন ভাবেই ভাব সম্প্রসারন লিখে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই শুধু মুখস্ত করলেই হবে না, বিষয়টি বুঝতে হবে। আর ভাব সম্প্রসারণ কোন মুখস্তের বিষয় না, ভাব সম্প্রসারণ আসলে বোঝার বিষয়। যে যত ভালোভাবে বুঝতে পারবে, সে তত সুন্দরভাবে খাতার উপস্থাপন করতে পারবে। আর উপস্থাপন করতে পারলে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হবে।

সাধারণত শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ভাব সম্প্রসারণ এর সাথে পরিচিত হয় এবং শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ধারণা লাভ করে। কিন্ত অনেক শিক্ষার্থী এ বিষয়ট অনেক সময় বুঝতে পারে না। তাই সব শিক্ষার্থী যাতে খুব সহজে ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে, তাই আমাদের পোস্টটি সাজানো হয়েছে দন্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে শ্রেষ্ঠ সে বিচার এই ভাব সম্প্রসারণটির মাধ্যমে। এই ভাব সম্প্রসারণটি প্রত্যেকটা শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের ওয়েবসাইটে এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত খুবই চমৎকারভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

দন্ডদাতার মন অপরাধীর জন্য যদি সংবেদনশীর হয়ে ওঠে, তবে তা অপরাধীর হৃদয় এবং বিবেককেও স্পর্শ করবে। ফলে অপরাধী নিজের কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হবে এবং জাগ্রত হবে তার পরিশুদ্ধ বিবেক। আর এভাবে বিচার করলে একজন বিচারক শ্রেষ্ট বিচারক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবে। আর সে বিচার ন্যায় বিচার হিসেবে পরিগণিত হবে।