জীবন সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা জীবনসঙ্গীত কবিতাটি নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা প্রথম বইয়ের অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ নবম দশম শ্রেণীর বাংলা প্রথম বইয়ে জীবনসঙ্গীত কবিতাটির সন্ধিবেশ ঘটানো হয়েছে। আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত জীবন সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি জীবন সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখতে হবে বা কিভাবে লিখে ভালো নম্বর অর্জন করা যাবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং নমুনা উত্তর পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে যাবেন এবং জীবন সঙ্গী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখার ধরন সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর এভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখলে আশা করি অনেক ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবেন।

যেকোন সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করার জন্য আমাদের প্রথমে প্রশ্নটি সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে হবে। অর্থাৎ প্রশ্নটিতে কি ধরনের উত্তর চাচ্ছে বা কি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে এই বিষয়টি আগে জানতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে প্রশ্নটি মনোযোগ সহকারে পড়ে না এবং কি উত্তর চাচ্ছে সেটিও ঠিকমতো দেখেনা। এর ফলে এক ধরনের প্রশ্ন করা হয় আর অন্য ধরনের উত্তর করে। আর পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর ভালো বা ভালো রেজাল্ট অর্জন করতে পারে না। এজন্য যে সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর পেতে চাই তাদের অবশ্যই প্রশ্নটি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে বা প্রশ্নটি সঠিকভাবে পড়ে যে ধরনের উত্তর চাচ্ছে সেটা বুঝে নিতে হবে।

আবার কোন কোন শিক্ষার্থী দেখা যায় যে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় সঠিক উত্তরটি না লিখে উদ্দীপক থেকে বিভিন্ন বিষয় লিখে দেয় বা আবোল তাবোল লিখে। এজন্য তারা পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না। যে সকল শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য উদ্দীপক তুলে রাখে তারা কখনোই ভালো নম্বর পেতে পারেনা। আর উদ্দীপক লিখে রাখার মাধ্যমে কখনো সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর লিখা যায় না। তাই যে সকল শিক্ষার্থীরা উদ্দীপক তুলে রাখে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরে হিসেবে। তাদেরকে উদ্দীপক তুলে রাখার বিষয়টি বাদ দিতে হবে। তা না হলে তারা কখনো ভালো রেজাল্ট করতে পারবে না।

আর বর্তমান সময়ের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখা বেশ সহজ। জটিল কোন বিষয় নয়। কিন্তু কিছু কৌশলে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখা যায়, তাহলে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। তবে দেখা যায় যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে পারেনা বা বিভিন্ন ধরনের কৌশল সম্পর্কে অবগত থাকে না। যদি যে কোন সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় তাহলে অবশ্যই ভালো নম্বর অর্জন করা যাবে।

জীবন সঙ্গীত কবিতাটি অনেক সুন্দর আর ছন্দবদ্ধ একটি কবিতা। এই কবিতাটির মূলভাব অনেক সুন্দর। যে কোন কবিতাটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে হলে সেই কবিতাটি ভালোভাবে বা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আর সেই কবিতাটি পড়ার পাশাপাশি সেই কবিতাটির মূলভাব পড়ে নিতে হবে। কেননা যে কোন কবিতার মূলভাব পড়লেই সেই কবিতাটির মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করা সম্ভব হয়। আবার সব কবিতারই শব্দার্থ থাকে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে শব্দার্থগুলো না পড়ে এড়িয়ে যাই।

কিন্তু শব্দার্থ গুলো পড়া জরুরি কেননা একটি কবিতার বিভিন্ন ধরনের শব্দের অর্থ অনেক সময় বোঝা যায় না। কিন্তু যদি আলাদাভাবে দেওয়া শব্দের অর্থ গুলো পড়ে নেওয়া যায় তাহলে সে কবিতাটি বুঝতে সুবিধা হয়। এভাবে যদি কবিতাটি বুঝে নেওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সেই কবিতাটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করা সম্ভব হবে এবং যেকোনো প্রশ্নের উত্তর করা সম্ভব হবে। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।