আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে আলোচনা করা হয়েছে জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। আপনি কি জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? কিভাবে পরিক্ষার খাতায় লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এটা নিয়ে চিন্তিত? আপনি কি মুখস্তের ঝামেলা ছাড়াই এই অনুচ্ছেদটি আয়ত্ত্ব করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর এই পোস্টটি আপনার জন্য বিশেষ উপকারি হবে বলে আশা করছি।
আসলে যেকোন অনুচ্ছেদ লিখে পরিক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য লিখার বা উপস্থাপন করার পদ্ধতিটা ভালো হতে হবে। যে যত সুন্দরভাবে পরিক্ষার খাতায় উপস্থাপন করতে পারবে, সে তত ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবে। তাই শুধুমাত্র পড়লেই হবে না। পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের লিখার কৌশলও জানতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনায় অনেক ভালো, কিন্তু পরিক্ষায় ভালো নম্বর পায় না বা ভালো রেজাল্টও করতে পারে না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো পরিক্ষার খাতায় ঠিক মতো উপস্থাপন করতে না পারা। তাই অবশ্যয় পড়ার পাশাপাশি উপস্থাপন করার দিকেও বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
সাধারণত শিক্ষার্থীরা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে অনুচ্ছেদের সাথে পরিচয় লাভ করে বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝে না। আর না বুঝে মুখস্ত করে। আসলে কোন বিষয়ই না বুঝে মুখস্ত করা ঠিক না। কেননা গ্রন্থগত বিদ্যা কখনো প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে না। আর মুখস্ত করা নির্দিষ্ট টপিকগুলো থেকে যদি পরিক্ষায় না আসে, তাহলে অনেকেই লিখতেও পারে না৷ এজন্য অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই পড়েও ভালো রেজাল্ট করতে পারে না৷
জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি সাধারণত ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। আর অনেকেই এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় খোঁজ করে। তাই তারা যেন খুব সহজেই এ বিষয় বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে, এজন্য আমাদের আজকের পোস্টটি করা হয়েছে। এখান থেকে যে কেউ জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ টি সম্পর্কে সুন্দর একটা ধারণা অর্জন করতে পারবে। কেননা এখানে জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি খুবই সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
জাতীয় পতাকা একটি দেশের পরিচয় বহন করে। জাতীয় পতাকা একটি জাতির অস্তিত্ব জানান দেয়। তাই জাতীয় পতাকার মর্যাদা অনেক বেশি। তবে এই জাতীয় পতাকা এমনি এমনি পাওয়া যায় না। প্রত্যেকটা দেশেরই জাতীয় পতাকার পেছনে বিভিন্ন রকম ইতিহাস রয়েছে।তেমনিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রামের পর, প্রায় ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে, প্রায় আড়াই লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছে স্বাধীনতা। পেয়েছে লাল সবুজের একটি পতাকা, যা বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বার পরিচয় বহন করে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় দুইটি রং ব্যবহার করা হয়েছে। লাল আর সবুজ। অনেকেই ধারণা করে জাতীয় পতাকার লাল অংশটা শহীদদের রঙের প্রতিচ্ছবি বহন করে আর সবুজ অংশটা বাংলাদেশের চিরচেনা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি বহন করে। আর মূলত এই দুইটা কারণেই জাতীয় পতাকার রং লাল ও সবুজ করা হয়েছে। আবার জাতীয় পতাকা বিভিন্ন আকৃতিরও করা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে নিদিষ্ট মাপের বাইরে যেন তৈরি করা না হয়।
জাতীয় পতাকা সবসময় সম্মানের প্রতীক। তাই জাতীয় পতাকাকে সম্মানের সহিত রাখতে হবে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং নামানোর ক্ষেত্রে নিদিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাদের রক্তের বিনিময়ে এত সুন্দর একটি পতাকা আমরা পেয়েছি, তাদের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে আমাদের সবসময় চেষ্টা করতে হবে। জাতীয় পতাকার অবমাননা মানে পুরো দেশ ও জাতির অবমাননা এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সাধারণ ভাবে বলা যায় জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি এই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। আশা করি আমাদের আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে।