জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে- চির স্থির কবে নীর, হায়রে জীবন নদে? ভাবসম্প্রসারণ

জন্ম মাত্রই মৃত্যু অনিবার্য। মানুষ মরণশীল। একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর জীবনের অনিবার্য অংশ। মৃত্যুকে ঠেকানোর ক্ষমতা পৃথিবীর কারো নেই। মানুষ তার নিজের জীবনকে যত সুন্দর করেই সাজাক না কেন তাকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে কোন না কোন একদিন। পৃথিবীর কোন জায়গায় গেলেই এই মৃত্যু থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। তাই মৃত্যুকে ভয় পাওয়া যাবে না। মৃত্যুর ভয়কে জয় করতে হবে এবং জীবনে সফল হওয়ার জন্য লড়াই করে যেতে হবে। আর মৃত্যুর ভয়কে যখন জয় করা যাবে এবং জীবনের সফল হওয়া যাবে, নিজ কর্মের মাধ্যমে তখন অমরত্ব লাভ করা যাবে।

কোন জীব পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে না, সে যত চেষ্টাই করুক না কেন। কিন্তু মানুষই একমাত্র প্রাণী যে কিনা তার কর্মের মাধ্যমে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে বা অমূলত্ব লাভ করতে পারে। তাই এমন কিছু কর্ম করতে হবে যার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া যায় এবং মৃত্যুর পরেও সবাই তাকে মনে রাখে। তবে এ কথা সত্য যে যত যাই করা হোক না কেন একটি প্রাণীর শেষ পরিণতি কিন্তু মৃত্যু।

জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে, চিরস্থির কবে নীর, হায়রে জীবন নদে এই ভাব সম্প্রসারণটি দ্বারা মূলত জীবনের শেষ পরিণতি যে মৃত্যু এই বিষয়টি বুঝানো হয়েছে। আর মৃত্যুকে যে বরণ করে নিতে পারে না, সে কখনো জীবনে সফল হতে পারেনা। তাই মৃত্যুকে স্বীকার করে নিতে হবে এবং জীবনের সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এটি মূলত আজকের ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়।

আজকের পোস্টটি থেকে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে খুবই কম সময়ের মধ্যে ভাব সম্প্রসারণ লিখে দারুন নম্বর তোলা যায়। আবার অনেকে দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে কিন্তু নির্ধারিত মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে যদি ভাব সম্প্রসারণ কমন না পড়ে তাহলে ঘাবড়ে যায়। অনেকেই আবার লিখতেও পারেনা। এর ফলে অনেকেই ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। তাই ভালো রেজাল্ট করার জন্য অবশ্যই মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়া উচিত। যেকোন বিষয় বুঝে পড়লে সেই বিষয় সম্পর্কে অনায়াসেই অনেক ভালো লিখা যায়।

ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ধারণা লাভ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে। তারপর আস্তে আস্তে ভাব সম্প্রসারণে দক্ষ হয়ে ওঠে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায যে শিক্ষার্থীরা না বুঝে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। আর না বুঝে মুখস্ত করার ফলে ঠিক মতো মনে রাখতে পারে না। আবার পরিক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে ভূলে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় মুখস্ত করা নির্দিষ্ট বিষয়গুরোর মধ্যে যদি পরিক্ষায় না আসে, তাহলে অনেক শিক্ষার্থী লিখতে পারে না। এজন্য পরিক্ষার খাতায় ভালো নম্বরও পায় না৷। তাই যে কোন বিষয় না বুঝে মুখস্ত করার কোন যুক্তিকতা নেই।

আবার অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় কঠোর পরিশ্রম করে, অনেক বেশি পড়াশুনা করে। কিন্তু তবুও পরিক্সায় ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। এর অন্যতম কারণ হলো তারা পরিক্ষার খাতায় ঠিকমতো উপস্থাপন করতে পারে না৷ তাই শুধু পড়াশুনা করলেই হবে না, সেই বিষয়টা কিভাবে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে এই কথাটিও মাথায় রাখতে হবে। তাই সুন্দরভাবে খাতায় যেকোন লিখা উপস্থাপন করার কৌশল শিখতে হবে।

মূলত এই ভাব সম্প্রসারণটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যার জীবন আছে, তাকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে। কোনভাবেই মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়। সৃষ্টিকর্তা পবিত্র কোরআনে বলেছেন যে প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তাই যে যত দূরে যাক না কেন, জীবনে যত উন্নতি করুক না কেন, তার শেষ পরিণতি হল মৃত্যু। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতেই হবে।