আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে ছোটদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই ছোটদের বঙ্গবন্ধু রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান বা এই রচনাটি অনেক সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে লিখতে দেওয়া হয়। বিশেষ করে জাতীয় দিবসগুলোতে রচনাটি লিখতে দেওয়া হয়। তাই অনেক শিক্ষার্থী ছোটদের বঙ্গবন্ধু রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়। এজন্য মূলত তাদের কথা ভেবে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে ছোটদের বঙ্গবন্ধু রচনার মাধ্যমে।
মূলত এখানে খুবই সহজ আর সুন্দরভাবে ছোটদের বঙ্গবন্ধু রচনাটি উপস্থাপন করেছি। আশা করি এখান থেকে আপনি এই সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। আর এভাবে যদি এই রচনাটি লিখা যায়, তাহলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। তাই আপনারা যারা ছোটদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য লাভ করতে চান, তারা আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। কেননা এখান থেকে আপনি বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। আর এভাবে যে কোন প্রতিযোগিতামূলক রচনায় বা পরীক্ষার খাতায় লিখলেও অনেক ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবেন।
বাংলা ব্যাকরণের একটি বিশেষ টপিক হচ্ছে রচনা। আর এই রচনায় অনেক বেশি নম্বর থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই রচনা সম্পর্কে সচেতন থাকি না বা ঠিকমত রচনা লিখতে পারি না। অথবা পর্যাপ্ত সময় নিয়ে রচনা লিখিনা। এর ফলে আমরা পরীক্ষার খাতায় রচনায় ঠিকমতো নম্বর পায় না বা কম নম্বর পায়। আর রচনায় কম নম্বর পাওয়ার ফলে পুরো বাংলা বিষয়টিতে নম্বর কমে যায়। এজন্য আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা সুন্দরভাবে রচনা লিখব। আর তাই রচনায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য যেকোন রচনার মূল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাটা জরুরি। এজন্য রচনা লিখার ক্ষেত্রে মূল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে লিখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন খুবই মানবদরদী। তিনি উদার মানবিকতার অধিকারি ছিলেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই অসহায় মানুষদের বিভন্নভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। একদিন ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় দেখেন একজন বয়স্ক বুদ্ধ ব্যক্তি শীতের পোশাক ছাড়া একটি গাছের নিচে বসে শীতে কাঁপছে। তখন তিনি সেই মানুষটির কষ্টে ব্যথিত হন আর নিজের গায়ের চাদর তাকে দান করেন। এই ঘটনাটি একটি মহান ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়। এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ছেলেবেলায় এই ঘটনাগুলো থেকে ছোটদের শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং তার মত মহান মানসিকতার অধিকারী হওয়া দরকার।
আবার তিনি বর্ষাকালে নিজের ছাতা দান করে দিয়েছেন এরকম ঘটনা দেখা গেছে। তিনি নিজে বৃষ্টিতে ভিজেছেন অথচ তার ছাতা অন্যকে দান করে দিয়েছেন এই ঘটনাটি মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদার মানবিকতার দিকটির কথায় বলে। ছোটদের উচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটবেলার ঘটনাগুলো পড়া এবং সেই সকল ঘটনা থেকে নিজে শিক্ষা নিয়ে নিজে উদার মানবিক হওয়া। আর সেই সাথে সাথে এরকম গুণাবলীর চর্চা করে ছোটবেলা থেকে নিজেকে নৈতিকতার গুণ সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসংখ্য অবদান রেখেছেন। সেই সাথে সাথে তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের বেশিরভাগ সময়ই কারেগারে ছিলেন। বাঙালিদের মুক্তির জন্য তিনি সকল অত্যাচার সহ্য করেছেন। তবে বাঙালিদের উপর পাকিস্তানিদের নির্মম অত্যাচার তিনি মেনে নেননি। আর এজন্য তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছেন। আর বাঙালি জাতি তার অবদান কখনো ভূলতে পারবে না। তাই তো প্রতিবছর বাঙ্গালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করে।