কম্পিউটার অনুচ্ছেদ

আমাদের ওয়েবসাইটটি বেছে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমরা হাজির হয়েছি অনুচ্ছেদ নিয়ে। অনেকেই দেখা যায় যে অনুচ্ছেদ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকে। কিভাবে অনুচ্ছেদ লিখতে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বা কতটুকু লিখতে হবে, আবার কিভাবে লিখতে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে এই বিষয়গুলো অনেক শিক্ষার্থীরই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে কুম বুঝে। তাই যারা অনুচ্ছেদ বিষয়টি নিয়ে ভয় পায়, তাদের কথা মাথায় রেখে মূলত আজকের পোস্টটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

অনুচ্ছেদ নিয়ে আসলে ভয়ের কোন কারণ নেই। অনুচ্ছেদ খুবই সহজ একটি বিষয়। আর সুন্দরভাবে পরিক্ষার খাতায় লিখতে পারলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যায়। আবার অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় অনুচ্ছেদ মুখস্ত করে। কিন্তু অনুচ্ছেদ আসলে মুখস্তের বিষয় না। অনুচ্ছেদের মূল বিষয়টি বুঝে নিতে পারলেই এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে লিখা সম্ভব। তাই মুখস্ত না করে বুঝতে হবে। আবার কেউ কেউ দেখা যায় অনেক বেশি করে লিখে৷ কিন্তু বেশি লিখলেই বেশি নম্বর পাওয়া যাবে এমনটা নয়। অতিরিক্ত না লিখে মূল বিষয়টি সঠিক ভাবে পর্যাপ্ত পরিমানে লিখলেই আর হাতের লিখাটা সাজানো গোছানো হলেই ভালো নম্বর পাওয়া যায়।

আজকের পোষ্টের মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হলো কম্পিউটার অনুচ্ছেদ। কম্পিউটার অনুচ্ছেদটি বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। শিক্ষার্থীরা সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণির থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত অনুচ্ছেদ পড়ে। কিন্তু অনুচ্ছেদের সাথে প্রাথমিকভাবে পরিচিত হয় ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝতে পারেনা।

যে সকল শিক্ষার্থী অনুচ্ছেদ বিষয়টি বুঝতে পারেনা বা অনুচ্ছেদ বিষয়টি পরীক্ষার খাতায় ভালোভাবে উপস্থাপন না করতে পারার জন্য ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে না, তাদের কথা মাথায় রেখে মূলত আজকের পোস্টটি সাজিয়ে তুলেছে কম্পিউটার অনুচ্ছেদটি লিখার বিভিন্ন সব কৌশলের মাধ্যমে। আপনারা যারা কম্পিউটার অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন তারা খুব সহজে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজভাবে কম্পিউটার অনুচ্ছেদটি পেয়ে যাবেন।

কম্পিউটার শব্দের অর্থ হলো গণনাকারী অর্থাৎ কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন করে। কম্পিউটার প্রযুক্তির আধুনিকতম সংযোজন। কম্পিউটার হঠাৎ করে আবিষ্কৃত হয়নি। এর পিছনে রয়েছে বহু কালের বহু মানুষের অবদান।

তবে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। আর আধুনিক কম্পিউটারের জনক হলেন জন ভন নিউম্যান। গঠন এবং ক্রীয়ানীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ১.অ্যানালক, ২. হাইব্রিড ৩. ডিজিটাল কম্পিউটার। ডিজিটাল কম্পিউটার আবার চার প্রকার। যথা: সুপার, মেনফ্রেম, মিনিফ্রেম এবং মাইক্রো কম্পিউটার।

বর্তমান সময়ে মাইক্রো কম্পিউটারের ও বিভিন্ন ভার্সন বাজারে এসেছে। যেমন ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ডেস্ক, টেবলেট, পিসি প্রভৃতি। একটি কম্পিউটারে অনেক যন্ত্রাংশ থাকলেও এর গঠন নীতির প্রধান দুটি ধাপ পরিলক্ষিত হয়। একটি সফটওয়্যার এবং অন্যটি হলো হার্ডওয়্যার। কম্পিউটারের মাধ্যমে দূর অনুধাবন অর্থাৎ উপগ্রহর সাহায্যে দূর থেকে ভূমন্ডল অবলোকন করা সম্ভব হচ্ছে।

আমরা পৃথিবীতে অবস্থান করে যেমন মহাকাশের খবরা- খবর, চিত্র ও অন্যান্য তথ্য পেয়ে যাচ্ছি। তেমনি মহাকাশ থেকেও পৃথিবীকে অবলম্বন সম্ভব হচ্ছে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারছি।

মূলত কম্পিউটার অনুচ্ছেদের দ্বারা এই বিষয়গুলো বুঝানো হয়। এই বিষয়গুলো যদি কোন শিক্ষার্থী তার পরীক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে সে ভালো নম্বর পাবে বলে আশা করছি। তাই আপনারা যারা কম্পিউটার অনুচ্ছেদ লিখে ভালো নম্বর পেতে চান, তারা আমাদের আজকের পোষ্টের সহায়তা নিতে পারেন। আশা করি আজকের পোস্টটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।