আমাদের আজকের আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু হচ্ছে আমার মুজিব রচনা। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমার মুজিব রচনাটি খুবই সহজ আর গোছালো ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন। যে কোন রচনা লিখতে হলে অবশ্যই সেই রচনাটির মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। কেননা, মূল বিষয় সম্পর্কে ধারণা না রাখলে সেই রচনাটি লেখা যায় না। আবার মুখস্ত করা ঠিক নয়। কেননা গ্রন্থগত বিদ্যা প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে না, এই বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে, না বুঝে যে কোন বিষয় মুখস্ত করে।
মুখস্ত বিষয় কখনো প্রয়োজনে কাজে লাগে না। তাই আমাদের মুখস্ত করার অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে। আর যে কোন বিষয় বুঝে পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। আর এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে আমার মুজিব রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে। এখানে মূলত আমার মুজিব রচনাটি মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছি। এই বিষয়গুলো যদি আত্মস্থ করা যায় তাহলে অবশ্যই এই রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা সম্ভব হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন উদার মানসিকতার। অসহায়, দুঃখীদের কষ্টে তিনি ব্যথিত হতেন। ছোটবেলা থেকেই অনেক অসহায় ব্যক্তিদের তিনি সহযোগিতা করেছেন। শীতের সময় তার নিজের চাদর দান করে দিয়েছেন এমন ঘটনাও বিরল নয়। আবার বর্ষাকালেও তিনি তার ছাতা দান করে দিয়েছেন এরকম ঘটনা একটি নয় বরং অসংখ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আস্তে আস্তে যখন বড় হন তখনও তিনি উদার মানসিকতার ছিলেন। আবার তিনি শিক্ষার্থী থাকাকালীন অবস্থায় তার স্কুলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী কিছু মানুষ এলে তাদের সাথে কথা বলেন এবং তখন থেকে রাজনীতির প্রতি তিনি দুর্বলতা অনুভব করেন। আর আস্তে আস্তে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এভাবেই শিক্ষা জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া শুরু হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন করার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবদান রেখেছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন। তিনি বাংলা জাতির মুক্তির জন্য ছয় দফা দাবি পেশ করেন। বাঙালির মুক্তির অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে তার এই ছয় দফা বাঙালির ম্যাগনাকার্টা নামে পরিচিত।
তাছাড়া তিনি ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে জয় লাভ করেন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বাঙ্গালীদের তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষনে তিনি বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে বলেন। মূলত মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনামূলক ছিল তার এই বক্তব্যে।
তারপর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল তার আরেক অনবদ্য অবদান। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য অসংখ্য অবদান রেখেছেন। নানা পরিকল্পনা করেছেন, কিন্তু তার সে সকল পরিকল্পনা এবং তার দেখা স্বপ্নের সোনার বাংলা তিনি গড়তে পারেনি। সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তিনি সপরিবারের নির্মমভাবে খুন হন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এটা অনেক বড় কলঙ্কময় একটি দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত বিশ্ব বরেন্দ্র নেতা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার বাঙালি জাতি হিসেবে। তাই আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নেতা হিসেবে পেয়ে অনেক গর্বিত। তাই আজ গর্ব করে বলতে পারি তিনি আমাদের মুজিব, তিনি আমার মুজিব।