অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে । মূলত অপরিচিতা গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা । এই গল্পটি একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রথম বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অপরিচিতা গল্পটি খুব চমৎকার একটি গল্প। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে এই গল্প থেকে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অনেক শিক্ষার্থী লিখতে পারেনা বা কিভাবে সৃজনশীল প্রশ্ন লিখলে ভালো নম্বর অর্জন পাওয়া যাবে , সে সকল বিষয়গুলোর সম্পর্কেও অনেক শিক্ষার্থী অবহিত থাকে না। তাই সকল শিক্ষার্থী যেন খুব সহজেই অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারে এবং এই প্রশ্নের উত্তর লিখে ভালো নম্বর পেয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারে এজন্যই মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অপরিচিতা গল্পের বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করছি। তাই দেরি না করে আপনি অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সুন্দর ভাবে আয়ত্ব করার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।

অপরিচিতা গল্পটিতে মূলত অনুপম ও কল্যাণীর কাহিনী আলোচনা করা হয়েছে। এই গল্পের নায়ক হচ্ছে অনুপম এবং নায়িকা হচ্ছে কল্যাণী। অনুপম মূলত তার পরিবারের আদর্শে বড় হয়েছে এবং পরিবারের কথায় সে মেনে চলে। তবে তার প্রধান অভিভাবক হচ্ছে অনুপমের মামা। অনুপম তার মামার কথা সবসময় মেনে চলে এবং মামার কথার বাইরে সে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সে ছোটবেলা থেকেই এভাবে বড় হয়েছে। অন্যদিকে কল্যাণী হচ্ছে এই গল্পের নায়িকা চরিত্র। কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ সেন হচ্ছে একজন চিকিৎসক। তিনি খুবই ন্যায় পরায়ণ মানুষ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে আমরা এই গল্পে দেখতে পাই।

গল্পের একপর্যায়ে দেখা যায় যে অনুপম এবং কল্যাণীর বিবাহের কথাবার্তা চলে এবং বিবাহের মুহূর্তে নানা ধরনের গহনা নিয়ে ঝামেলা হয়। অর্থাৎ অনুপমের মামা ভেবেছে কল্যাণীর বাবা তাদেরকে ঠকাচ্ছে বা কম গহনা দিচ্ছে এজন্য তিনি বারবার পরক করে দেখছিল। আর অনুপম এই বিষয়ে কোন কথা বলছিল না বলে কল্যাণীর বাবা অনুপমকে ব্যক্তিত্বশূন্যভাবে। এর ফলে কল্যাণীর বাবা সম্ভবত সে নিজেই নিজের মেয়ের বিবাহ দিতে অসম্মতি জানায় এবং অনুপমকে ফিরিয়ে দেয়। এ পর্যায়ে দেখা যায় যে অনুপম এবং কল্যাণীর বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয় না। শুধুমাত্র অনুপম তার মামার কথার বাইরে কোন কথা বলতে পারে না এই কারণে।

কিন্তু অনুপম কল্যাণীকে পছন্দ করে এবং কল্যাণীকে বিবাহ করার জন্য পরবর্তীতে নানা ধরনের চেষ্টা করলেও সে সফল হয় না। অন্যদিকে কল্যাণীও আর কখনো বিয়ে করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় এবং দেশমাতার সেবা করার জন্য আত্মনিয়োগ করে। মূলত এই বিষয়টি এই গল্পে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়গুলো যদি কোন শিক্ষার্থী সুন্দরভাবে বুঝতে পারে তাহলে এখান থেকে যেকোন সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করা সহজ হবে। আর সৃজনশীল প্রশ্নের পরিপূর্ণভাবে উত্তর করতে হলে গল্পটা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং গল্পটির মূলভাব বুঝতে হবে। কেননা গল্পটির মূল বিষয়বস্তু বুঝতে না পারলে কখনো সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সঠিক উত্তর করা সম্ভব হয় না।

অপরিচিতা গল্পটি আসলে খুবই মজার একটি চমৎকার গল্প। যদি কোন শিক্ষার্থী মনোযোগ দিয়ে এই গল্পটি এবং এই গল্পের লেখক পরিচিতি, পাঠ পরিচিতি এবং শব্দার্থ পরে তাহলে সে অনায়াসেই এখান থেকে যেকোন প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে বলে আশা করছি। তাই একজন শিক্ষার্থী যদি ভালো রেজাল্ট করতে চাই এবং ভালোভাবে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করতে চাই তাহলে তাকে অবশ্যই এই গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। আর এই গল্পের মূল বিষয়টি বুঝতে হবে।