অপরিচিতা গল্পের অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে থাকি, যার মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা রকমের তথ্যের সন্নিবেশ ঘটানো হয় । ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে । মূলত অপরিচিতা গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা । এই গল্পটি একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রথম বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অপরিচিতা গল্পটি খুব চমৎকার একটি গল্প। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে এই গল্প থেকে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অনেক শিক্ষার্থী লিখতে পারেনা বা কিভাবে সৃজনশীল প্রশ্ন লিখলে ভালো নম্বর অর্জন পাওয়া যাবে , সে সকল বিষয়গুলোর সম্পর্কেও অনেক শিক্ষার্থী অবহিত থাকে না।

তাই শিক্ষার্থীরা যেন খুব সহজেই যেকোন বিষয় বুঝতে পারে এবং যেকোনো প্রশ্নের উত্তর সুন্দর ভাবে লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারে এই জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে তাহলে অপরিচিতা গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবে। আর এই প্রশ্নের উত্তর গুলো কিভাবে লিখলে ভালো নম্বর অর্জন করা যাবে সেই পদ্ধতি গুলো শিখতে পারবে খুব সহজেই।

একটি সৃজনশীল প্রশ্নের সাধারণত চারটি অংশ থাকে এবং সৃজনশীল প্রশ্নের নম্বর থাকে দশ। চারটি অংশের ক নম্বরে থাকে জ্ঞান মূলক প্রশ্ন, খ নম্বরে থাকে অনুধাবনমূলক প্রশ্ন, গ নম্বরে থাকে প্রয়োগমূলক প্রশ্ন এবং ঘ নম্বরে থাকে উচ্চতর দক্ষতা মূলক প্রশ্ন। আর এই চারটি প্রশ্ন লিখার জন্য মোট দশ নম্বর থাকে। ক নম্বর অর্থাৎ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন থাকে এক মার্ক, অনুধাবনমূলক প্রশ্ন থাকে দুই নম্বর, প্রয়োগমূলক প্রশ্ন থাকে তিন নম্বর এবং উচ্চতর দক্ষতা মূলক প্রশ্ন থাকে চার নম্বর। এই মোট দশ নম্বর।

কোন শিক্ষার্থী যদি একটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে এবং সঠিকভাবে লিখতে পারে তাহলে সে অনেক ভালো নম্বর পাবে। আবার অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যায় যে ফুল নম্বর পেয়ে যায়। এর ফলে অনেক ভালো রেজাল্ট করতে পারে। তাই প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর একটি সৃজনশীল প্রশ্ন লেখে ভালো রেজাল্ট করতে হলে বা ভালো নম্বর পেতে হলে চারটি অংশই সুন্দরভাবে বুঝতে হবে, সুন্দরভাবে উত্তর করতে হবে। তাহলে ভালো নম্বর অর্জন করা যাবে। কোন একটি অংশ যদি বাদ দেওয়া যায় তাহলে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেকটি অংশের দিকে সমান ভাবে মনোযোগী হওয়া দরকার এবং সব অংশেরই উত্তর করাটাও জরুরি।

অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সঠিকভাবে লিখতে পারেনা। যে প্রশ্নটি খ নম্বরে থাকে সেই প্রশ্নটিই হচ্ছে অনুধাবনমূলক প্রশ্ন। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জন্য নম্বর হচ্ছে দুই। অনুধাবনমূলক প্রশ্ন যদি কোন শিক্ষার্থী খুবই সুন্দর ভাবে লিখতে পারে তাহলে সে দুই নম্বর পাবে। কিন্তু অনুধাবনমূলক প্রশ্ন কিভাবে লিখতে হবে এই সম্পর্কে অনেক শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ ধারণা থাকে না। ফলে সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় ভালো নম্বরও পায় না। আর রেজাল্টও তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়ে যায়। তাই রেজাল্ট ভালো করার জন্য বা ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য অবশ্যই অনুধাবনমূলক প্রশ্নের দিকে আমাদের খেয়াল করাটা দরকার।

অপরিচিতা গল্পটি যদি সুন্দরভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়া যায় তাহলে এই গল্পটির মূল বিষয়বস্তু সুন্দরভাবে বোঝা যাবে। আর মূল বিষয়বস্তু বুঝতে পারলেই এখান থেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই করা যাবে। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্ন বুঝতে সুবিধা হবে। তবে অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর হতে হবে খুব সুন্দর। এই প্রশ্নের উত্তর খুব বেশি বড় লেখার প্রয়োজন হয় না। যদি মূল বিষয়টি উপস্থাপন করা যায় তাহলে ছোট লিখেও অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যায়।