আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমরা আমাদের আজকের পোস্টটিকে সাজিয়ে তুলেছি অনুচ্ছেদ বিষয়টি নিয়ে। আর আপনি কি মেট্রোরেল অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন বা কিভাবে লিখবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। কেননা আমরা আজকের পোস্টটিতে মূলত কিভাবে মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ লিখে ভালো মার্কস পাওয়া যায় এই বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফলে এখানে যানজট নৈমিত্তিক ব্যাপার। শহরের এই যানজট সমস্যা দূর করার জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমান সরকারের জন্য এটি নির্মাণ করা বড় চ্যালেঞ্জ হলেও তারা প্রকল্পটি শেষ করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ঢাকার মেট্রো রেল ব্যবস্থাকে ম্যাস রেপিড ট্রানজিট বা সংক্ষেপে এমআরটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটি সুবিধা জনক, দ্রুতগামী, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নগর কেন্দ্রিক যানবাহন।
বিদ্যুৎ চালিত এই পরিবহন স্বল্প সময়ে অনেক যাত্রী পরিবহনের সক্ষম। ২০১২ সালের ১৮ ই ডিসেম্বর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদন পায়। এটি উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রো রেল ব্যবস্থা চালু হলে এতে ঘন্টায় প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। এতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত 16 টি স্টেশন থাকবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকায় বর্তমানে প্রায় দুই কোটি লোক বসবাস করে। আয়তনের তুলনায় এই জনসংখ্যা অনেক বেশি। তাছাড়া জনসংখ্যার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যাও কম। ফলে লোকজন পাবলিক বাসে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করে। আবার যানজটের কারণে অনেকেই সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা। মেট্রোরেল প্রকল্প চালু হলে এসব সমস্যা নিরসন হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে অকেজো যানবাহন হ্রাস পাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী যানবাহন চলাচল করবে। যাত্রীরা নির্ধারিত স্থান থেকে উঠানামা করবে। ফলে একটি সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন ঢাকা উপহার পাব আমরা। ঢাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি। এই বাড়তি জনসংখ্যার চাপ মোকাবেলার জন্য মেট্রোলের প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সময়ে অনেক যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে ট্রাফিক জ্যাম দ্রুত হ্রাস পাবে। এর মধ্যে দিয়ে পরিবেশ বান্ধব ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে ঢাকা।
একটি অনুচ্ছেদ লেখার জন্য অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে অনুচ্ছেদের ভেতরে কিভাবে উপস্থাপন করতে হয়। কেননা অনুচ্ছেদ লেখার সময় উপস্থাপনটা বড় বিষয়। আপনি যদি খাতায় ভালোভাবে উপস্থাপনা করতে না পারেন তাহলে আপনার লেখার মূল ভাবটা ঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যাবে না। কিন্তু আপনি যদি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার লেখার মূলভাবটা অনেক ভালো হবে। তাই আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে লেখার ধরন ঠিক থাকছে কিনা।
আর অবশ্যই একটি অনুচ্ছেদ লেখার সময় অনুচ্ছেদের ভেতরে অনুচ্ছেদের মূল বিষয়গুলো লিখতে হয় তবেই ভালো মার্কস পাওয়া যায়। আর অনুচ্ছেদ কখনো প্যারা আকারে লেখা যায় না। কোন অনুচ্ছেদ লেখার সময় প্রথমে বুঝতে হবে অনুচ্ছেদটি কোন লিখতে হবে। এভাবে যদি কোন অনুচ্ছেদকে ভালোভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে খাতায় পরিপূর্ণ রূপে প্রকাশ করা যায় তাহলে লেখাটি দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং ভালো নম্বর তোলা যায়।মেট্রোরেল অনুচ্ছেদটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ। তাই এই অনুচ্ছেদটি সকলেরই একবার পড়ে রাখা দরকার।
কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে এইঅনুচ্ছেদটি খুঁজে পাই না। ফলে এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে না। তাই সবার কথা মাথায় রেখে খুব সহজে যেন তারা এই অনুচ্ছেদটি খুঁজে পায় সেজন্য আমরা আমাদের আজকের পোস্টটিতে মেট্রো রেল অনুচ্ছেদটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া মেট্রোরেল অুচ্ছেদটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।